খুলনার ১৩৬ স্থানে হবে পশু কোরবানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এবারো নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে। এবার মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৬টি স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর নির্ধারিত স্থান ছিল ১৭২টি।

কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছর ঈদুল আজহায় নগরীতে ৯ হাজার ৫শ পশু কোরবানি দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছিল শতকরা ৪৫ ভাগ। ভালো সুফল না পাওয়ায় ৩১টি ওয়ার্ডে কিছু স্থান কমিয়ে এবার ১৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেসিসির নির্ধারিত স্থানগুলো হচ্ছে- খুলনা নগরীর ১ নং ওয়ার্ডে জাতীয় তরুণ সংঘ মাঠ, দিঘির পশ্চিম পাড়, কালিবাড়ী দিঘির পাড়, পশ্চিমপাড়া মতির বাগানবাড়ী, মহেশ্বরপাশা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি রোড, শহীদ জিয়া মহাবিদ্যালয় মাঠ ও মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিক পাড়া, খানা বাড়ি।

২ নং ওয়ার্ডে কেডিএ আবাসিক জামে মসজিদের সামনে, অ্যাজাক্স জুট মিলস ফুটবল খেলার মাঠ, মীরেরডাঙ্গা তেঁতুলতলা মাঠ, সেনপাড়া জহির উদ্দিন গণ বিদ্যাপীঠ স্কুল মাঠ ও রেলগেট কৃষ্ণ মোহন স্কুল মাঠ।

৩ নং ওয়ার্ডে মহেশ্বরপাশা সাড়াডাঙ্গা মাঠ, কার্ত্তিক কুল ঈদগাহ ময়দান, মধ্যডাঙ্গা স্কুল মাঠ ও মাঠের বাড়ি স্কুল।

৪ নং ওয়ার্ডে দেয়ানা দক্ষিণপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, দৌলতপুর কলেজিয়েট স্কুল মাঠ, দেয়ানা উত্তরপাড়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ ও দেয়ানা মোল্লা পাড়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ।

৫ নং ওয়ার্ডে আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান, কল্পতরু চত্বর, দত্তবাড়ি ইসহাকিয়া মাদরাসা ময়দান, তিন দোকানের মোড় খানজাহান আলী মাদরাসা ময়দান ও দৌলতপুর বাজার তুলাপট্টি সংলগ্ন খোলা চত্বর।

৬ নং ওয়ার্ডে পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ প্রাঙ্গণ, পাবলা শেরে বাংলা স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ, পাবলা কারিকরপাড়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ ও পাবলা মধ্যপাড়া দাসের ভিটা।

৭ নং ওয়ার্ডে কাশিপুর ফুটবল মাঠের উত্তর পার্শ্বে, মোল্লা বাড়ির সামনে ও শহিদ কমিশনারের বাড়ির সামনে।

৮ নং ওয়ার্ডে খানজাহান আলী মাদরাসা ক্রিসেন্ট গেট, ক্রিসেন্ট আলিম মাদরাসা মাঠ ও গোয়ালপাড়া কমিউনিটি সেন্টার।

৯নং ওয়ার্ডে গোয়ালখালী ক্যাডেট স্কীম মাদরাসার সম্মুখে, মুজগুন্নী নেছারিয়া মাদরাসার সম্মুখে, মুজগুন্নী উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠ ও বাস্তুহারা কলোনি ঈদগাহ মাঠ।

১০ নং ওয়ার্ডে দারুল মোকাররম মাদরাসা মাঠ, চিত্রালী সুপার মার্কেট সংলগ্ন, খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা, ২১৮ নং রোড ঈদগাহ সংলগ্ন, স্কাউট মাঠ, বঙ্গবাসী স্কুল রোড, স্কুলগেট সংলগ্ন ও নয়াবাটি মোড়।

১১ নং ওয়ার্ডে খালিশপুর নিউ মার্কেট সংলগ্ন কসাইখানা, প্লাটিনাম শ্রমিক ক্লাব প্রাঙ্গণ, তৈয়্যেবা কলোনি মাদরাসা ও পিপলস নিউ কলোনি প্রাঙ্গণ।

১২ নং ওয়ার্ডে আরাবিয়া মসজিদ চত্বর, স্যাটেলাইট স্কুল চত্বর, হাউজিং তিন তলা, শ্রমিক ভবন চত্বর ও বায়তুল কেরাম মসজিদ চত্বর।

১৩ নং ওয়ার্ডে চরের হাট ঈদগাহের পার্শ্বে, কাজী ইমতিয়াজ উদ্দিনের বাড়ির সামনে, দত্তপাড়া, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে, আলমনগর নূরানীয়া জামে মসজিদের পার্শ্বে ও ২নং নেভী গেট।

১৪ নং ওয়ার্ডে মুজগুন্নী মহাসড়ক, রোড নং-৮ এর মাথায়, বয়রা মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সামনে, কাজী আ. বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও রায়ের মহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ।

১৫ নং ওয়ার্ডে হালদার পাড়া (কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে), পালপাড়া রোলিং মিল মসজিদ মাদরাসা মাঠ ও পলিটেকনিক কলেজের ভেতরের মাঠ।

১৬ নং ওয়ার্ডে জোড়াগেট সিঅ্যান্ডবি কলোনি মসজিদ চত্বর, বয়রা ফারুকিয়া মাদরাসা চত্বর, বয়রা হাজী মুনসুর স্কুল চত্বর, নূর নগর ইসলাম মিশন মাদরাসা চত্বর ও বয়রা মেইন রোড টেক্সটাইল মিল জামে মসজিদ চত্বর।

১৭ নং ওয়ার্ডে ছোট বয়রা সবুজ সংঘের মাঠ, সোনাডাঙ্গা আ/এ ১ম ফেজ বায়তুল মোকারম মসজিদের সামনের মাঠ, সোনাডাঙ্গা আ/এ ২য় ফেজ মসজিদের মাঠ, সোনাডাঙ্গা আ/এ ৩য় ফেজ মসজিদের সামনের মাঠ ও হাফিজ নগর আমানত জামে মসজিদের মাঠ।

১৮ নং ওয়ার্ডে তালিমুল মিল্লাত খালাসী মাদরাসা প্রাঙ্গণ, সবুজবাগ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ, ওমর (রা.) ঈদগা মাঠ ও গল্লামারী কসাইখানা। ১৯ নং ওয়ার্ডে ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠ, ডালমিল মোড় সংলগ্ন ন্যাশনাল স্কুল মাঠ, গোবরচাকা শিশু একাডেমির মাঠ, কেডিএ এভিনিউ তেঁতুলতলা মোড় চত্বর ও পল্লীমঙ্গল স্কুল মাঠ।

২০ নং ওয়ার্ডে বাগানবাড়ি জামে মসজিদ চত্বর, শেখপাড়া মেইন রোড চত্বর, ফারাজিপাড়া মেইন রোড, দ্বীনওয়ালি জামে মসজিদ চত্বর, ফেরিঘাট জিন্নাহ মসজিদ চত্বর ও ২০ নং ওয়ার্ড অফিস চত্বর।

২১ নং ওয়ার্ডে হেলাতলা রোড স্বর্ণপট্টি চত্বর, বিশ্ব ইসলাম মিশন দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণ, ৪নং ফুড ঘাট চত্বর, রেলওয়ে হাসপাতাল রোড, বায়তুন নাজাত মাদরাসা চত্বর ও স্যার ইকবাল রোড, এ হোসেন প্লাজার সামনে।

২২ নং ওয়ার্ডে করোনেশন বিদ্যা নিকেতন গগন বাবু রোড, খুলনা জিলা স্কুল, হাজী আবু হানিফ মাদরাসা নতুন বাজার ও খান এ সবুর রোড মহিলা মাদরাসা।

২৩ নং ওয়ার্ডে গ্লোক মনি শিশু পার্ক, “ল” কলেজ মসজিদ প্রাঙ্গণ, পিটিআই মোড়, পুরাতন জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যালয় ও ইয়োলোর মাঠ, সামসুর রহমান রোড।

২৪ নং ওয়ার্ডে দারুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণ, মুসলমানপাড়া, ২৪ নং ওয়ার্ড অফিস প্রাঙ্গণ ও অগ্রণী ব্যাংক টাউন মসজিদ প্রাঙ্গণ।

২৫ নং ওয়ার্ডে বসুপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গণ, ২৫ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন খোলা জায়গা, সিদ্দিকীয়া মাদরাসা মাঠ, হক রাইস মিল চাতাল, ইসলাম কমিশনার মোড়ের পাশের মাঠ ও খোরশেদ নগর প্রবেশ মুখ চত্বর।

২৬ নং ওয়ার্ডে পশ্চিম বানিয়াখামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খোলা চত্বর, কাশেমাবাদ জামে মসজিদ খোলা চত্বর, বসুপাড়া বাঁশতলা বরকতিয়া মাদরাসা সংলগ্ন খোলা চত্বর ও ২৬ নং ওয়ার্ড অফিস চত্বর।

২৭ নং ওয়ার্ডে খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা, পূর্ব বানিয়াখামার, মারকাজুল উলুম মাদরাসা সংলগ্ন মাঠ, বাইতুন নাজাত মাদরাসা ও মিস্ত্রিপাড়া পৌর-বাজার।

২৮ নং ওয়ার্ডে পশ্চিম টুটপাড়া প্রাইমারি স্কুল রোড, বিনোদনী হাসপাতাল রোড, টুটপাড়া, মিয়াপাড়া ২য় গলি, দক্ষিণ টুটপাড়া বালুর মাঠ ও দক্ষিণ টুটপাড়া ঈদগাহ মাঠ।

২৯ নং ওয়ার্ডে খুলনা আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণ, কয়লাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও সবুরননেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

৩০ নং ওয়ার্ডে চাঁনমারী আহম্মাদীয়া এতিমখানা মাদরাসা চত্বর, দক্ষিণ টুটপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ চত্বর, শেখ মকবুল আহম্মেদ জামে মসজিদ এর পাশে ও টুটপাড়া আমতলা হাসপাতাল চত্বর।

৩১ নং ওয়ার্ডে লবণচরা ইসলামপাড়া ছোট বান্দা, দুই কালভার্টের পাশে ফাঁকা জায়গায়, লবণচরা মোক্তার হোসেন সড়কের মাঝখানে স্কুল চত্বর, মোজাহিদপাড়া আল-আমিন জামে মসজিদের সম্মুখে, ৩১ নং ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন খোলা চত্বর ও জিন্নাহপাড়া শিশু মেলা স্কুল মাঠ।

খুলনা সিটি করপোরেশনের সিনিয়র ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রেজাউল করিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এবারো নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রতিটি স্থানের উপরে সামিয়ানা টানানো, কোরবানি দাতাদের বসার জন্য ৫০টি করে চেয়ার, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, মাদুর এবং মাংস পরিবহনের জন্য বস্তা ও প্রতিটি স্পটে দুটি ভ্যান থাকবে। এই উদ্যোগ কার্যকর করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সকলের উচিত কেসিসির নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা। তাতে শহরের পরিবেশ ভালো থাকবে। আমরা সবাই পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাব। বিশেষ করে এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার সচেতন হতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে খুলনা সিটি করপোরেশন হবে পরিচ্ছন্ন নগরী।’

 

   

রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নগরীতে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশকিছু তুলার বস্তা পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার গুদামে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার  গোডাউনে আগুন জ্বলে উঠে। এতে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। 

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দোতলায় একটি পাকা গোডাউন ঘর ছিল, সেখানে আগুন লাগলে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তুলার বস্তা ছাড়া অন্য কিছু পোড়া যায়নি।

তিনি বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

;

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

;

যাত্রী সংকটে বরিশাল-ঢাকা রুটে চলছে একটি লঞ্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট চরম আকার ধারন করেছে। এ কারণে জনপ্রিয় এই রুটে এখন একটিমাত্র লঞ্চ চলাচল করছে। মঙ্গলবার বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মাত্র একটি লঞ্চ। বুধবার (১৫ মে) ছেড়ে গেছে দুইটি। যা সাধারণ মানুষের কাছে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন উভয় রুটে ৭ থেকে ৮ টি লঞ্চ চলাচল করতো। সেখান থেকে কমে অর্ধেকে নেমে আসে। এখন তা একটিতে নেমে এসেছে।

বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের যাত্রী মো. লোকমান হোসেন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে মাত্র একটি লঞ্চ চলবে তা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রী সংকটের ফলে মালিক পক্ষের রোটেশনের কারনে একটি করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। কিন্তু দুইটি করে লঞ্চ চালানোর কথা ছিল।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৫/৭ শ’র বেশি যাত্রী হয় না। একটি লঞ্চ দিয়ে তা পরিবহন সম্ভব। তাই হয়তো মালিকরা মিলে একটি করে লঞ্চ চালাচ্ছে।

একটি করে লঞ্চ চালানোর জন্য যাত্রী ভোগান্তি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য ২০ টি লঞ্চ রয়েছে। 

প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৬/৭টি এবং একইভাবে বরিশাল থেকে ৬/৭টি ছেড়ে যেতো। ঈদ ও কোরবানির সময় একেকদিন ২০/২৫ টি লঞ্চও চলাচল করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী সংকট শুরু হয়। বর্তমানে যে যাত্রী রয়েছে তাতে দুইটি লঞ্চ ঠিক ছিল। কিন্তু একটি লঞ্চ চলাচল যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটি লঞ্চ চালানোর কারণে কেবিন নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নয়-ছয় করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি লঞ্চে ঠাসা যাত্রী। তবে সেটি ধারণ ক্ষমতার বেশি নয়। লঞ্চের নিচতলা ও দুই তলার ডেকে যাত্রী ভর্তি। লঞ্চ যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুইটি লঞ্চ থাকলে তারা স্বাচ্ছন্দে যেতে পারতেন। কিন্তু একটি লঞ্চ হওয়ায় গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, যত যাত্রী রয়েছে তা নিয়ে দুইটি লঞ্চ চললে আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই একটি লঞ্চ চালানো হচ্ছে। তারা স্বীকার করেছেন, একটি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা একটু গাদাগাদি হয়।

দেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নৌ-রুট বরিশাল-ঢাকা। লিফটসহ নানা অত্যাধুনিক সুবিধার লঞ্চগুলোতে এক সময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় থাকত। ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি,  প্রথম শ্রেণির এক শয্যা ও দুই শয্যার কেবিন, সোফা পেতে হেনস্তা হতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু পাল্টে দেয় সেই চিত্র। যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রী সংকটের অজুহাত দিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ মালিকরা সিন্ডিকেট করে। তারা রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এখনো যত সংখ্যক যাত্রী রয়েছে তাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লঞ্চ প্রয়োজন। কিন্তু মালিকরা বিআইডব্লিউটিএ ও যাত্রীদের জিম্মি করে একটি/দুইটি লঞ্চ চালায়। এতে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, যাত্রী সংকটে লঞ্চ এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রত্যেক লঞ্চ মালিক কম বেশি ঋন নিয়েছেন। তারা এখন ঠিকমতো ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। একটি লঞ্চ ব্যাংক নিয়ে গিয়ে কেটে বিক্রি করছে। এক স্বনামধন্য কোম্পানীর একটি লঞ্চ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

শুধু ঢাকা বরিশাল নয়, দক্ষিনাঞ্চলের সকল রুটে যাত্রী নেই জানিয়ে সুন্দরবন নেভিগেশনের মালিক রিন্টু বলেন, এ ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।

;

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

;