করোনাভাইরাস: রোগের চেয়ে আতঙ্ক ক্ষতিকর

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা.২৪.কম
রোগের চেয়ে আতঙ্ক মারাত্মক, ছবি: সংগৃহীত

রোগের চেয়ে আতঙ্ক মারাত্মক, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিকে বলা হচ্ছে 'ইউরোপের চীন'। করোনাভাইরাসের আক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ইউরোপ মহাদেশে সর্বপ্রথম ঘটেছে ইতালিতে। সেখানে রোগের চেয়ে রোগটি সম্পর্কে আতঙ্ক ও জনমনে মহামারীর ভয়ের কারণে ক্ষতি হচ্ছে অনেক বেশি।

ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্গিও মেটারেলা করোনাভাইরাসের 'রিয়েল ফেয়ার' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন 'জনমনে সৃষ্ট মহামারীর ভয়'কে। দেশটির মনস্তাত্ত্বিক এসোসিয়েশনের বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে সৃষ্ট 'ভীতি, চাপ ও উদ্বেগ' কমাতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে।

ফিওনা ক্যামেরন লিস্টার নামে একজন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যকর্মী তার ব্লগে ইতালির 'রিয়েল ডেনঞ্জার অব করোনাভাইরাস' শিরোনামে জানাচ্ছেন, রোগের বিপদ তো আছেই এবং তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। কিন্তু জনমনে যে ভীতি ও উৎকণ্ঠা, তা থামানো জরুরি। কারণ, করোনা মহামারী হতে পারে, এই ভীতিই করোনার আসল বিপদ বা 'রিয়েল ডেনঞ্জার'।

ইতালিতে করোনা মোকাবেলায় কাজ করছেন, এমন একাধিক সূত্র আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, রোগের বিস্তার সামলানোর পাশাপাশি আক্রান্তদের চিকিৎসা ও শুশ্রূষা দিয়ে সারিয়ে তোলা হচ্ছে। মৃত্যুর হারও কমিয়ে আনা গেছে।

কিন্তু বিপদ হয়েছে অন্যত্র। মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চেতনায় আঘাত করে মনোবল ভেঙে দিয়েছে করোনাভাইরাস। এতে বিরাট ক্ষতির হয়েছে। মানুষ ব্যক্তিগত বা সামাজিকভাবে রোগটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারছেনা। উল্টা আতঙ্কগ্রস্ত ও আক্রান্ত হচ্ছে।

ইতালির অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সঠিক তথ্যের বদলে গুজব প্রচারিত হয়েছে বেশি। নানা ধরনের অবৈজ্ঞানিক ও অসমর্থিত তথ্যের কারণে মানুষ করোনাভাইরাস মোকাবেলার সাহস হারাচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

করোনা নিয়ে এই গণআতঙ্কের ফল হয়েছে মারাত্মক। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিপণি বিতান কোনও ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ হয়ে পড়েছে। সামনের মাসে বসন্ত উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন 'ভেনিস ক্যার্নিভ্যাল'-এর স্টল ভাড়া, প্যাভিলিয়ন নেওয়া ও টিকেট বিক্রির হার এতোটাই তলানিতে ঠেকেছে যে, উদ্যোক্তারা প্রথমবারের মতো এই অভিজাত উৎসবের আয়োজন বাতিল ঘোষণা করেছেন। একজন বিষণ্ণ ও হতাশ মানুষের মুখচ্ছবি সম্বলিত পোস্টার প্রকাশ করে শুরুর আগেই ক্যার্নিভ্যালের পর্দা টানা হয়েছে।

ভেনিস ক্যার্নিভ্যাল বাতিলের বিষন্ন পোস্টার, ছবি: সংগৃহীত
ভেনিস ক্যার্নিভ্যাল বাতিলের বিষন্ন পোস্টার, ছবি: সংগৃহীত 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে নানা রোগের বিস্তার ও মহামারী নতুন কিছু নয়। কোনও কোনও রোগ এপিডেমিক বা মহামারী হয়ে পেনডেমিক বা বিশ্ব-মহামারীতেও পরিণত হয়েছিল। প্লেগ, বসন্ত, কলেরা, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ অতীতে বিশ্বব্যাপী মহামারীর আকার ধারণ করেছিল।

কিন্তু অতীতের সঙ্গে বর্তমানের ফারাক হলো, তখন জনস্বাস্থ্য ও সতর্কতার বিষয়গুলো এতো প্রখর ছিলনা। চিকিৎসাবিজ্ঞানও ছিল পিছিয়ে। ফলে মহামারীতে লোকক্ষয় হয়েছে অনেক বেশি।

তবে, সে পরিস্থিতির যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। এখন উন্নত স্বাস্থ্যবিধি, ঔষধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা এবং সামাজিক সচেতনতা অনেক বেড়েছে। এই সক্ষমতার কারণে অতীতের মতো অবাধে রোগ ছড়াচ্ছে না এবং অকাতরে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে না। হলেও সেটাকে ঠেকানো যাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মনোবল ও মনস্তাত্ত্বিক শক্তি যদি ভেঙে পড়ে, তবেই আসল বিপদ নেমে আসে। রোগের চেয়ে রোগের আতঙ্ক ক্ষতি করে বেশি। এমন ভীতি ও শঙ্কা মহামারী আকারে রোগটি ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে, এমনই অভিমত স্বাস্থ্য রোগ বিশেষজ্ঞদের।

ইতালির অভিজ্ঞতায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস নিয়ে যে কোনও আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয়ে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন বিশ্বের সকল দেশের অধিবাসীদের। গুজব বা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত বা সামাজিক উৎকণ্ঠা যাতে মোটেও বাড়তে না পারে, সে বিষয়েও হুশিয়ার করেছেন তারা। তাদের মতে, সতর্ক ও সচেতন থেকে প্রয়োজনীয় বিধি-নিষেধ পালন করে চলাই এ পরিস্থিতিতে বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি সবার মধ্যে রোগটিকে প্রতিরোধের জন্য দৃঢ় মনোবল ও কমিটমেন্ট বজায় রাখা দরকার। তাহলেই রোগটি মহামারীর আকার ধারণ করে বিপজ্জনক পর্যায়ে যেতে পারবেনা।

রোগের সঙ্গে মানুষের শরীর ও মনের নিবিড় সম্পর্কের নিরিখে দেখা গেছে, দুর্বল শরীর ও ভীত মনের মানুষ দ্রুত আক্রান্ত হয়। তাদের রোগমুক্তির হারও কম এবং উপশম গতিও শ্লথ। ফলে ভীতি বা আতঙ্কিত হয়ে নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানগত দিকের পাশাপাশি সামাজিক সাহস ও ব্যক্তিগত-মনস্তাত্ত্বিক মনোবল দিয়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে একযোগে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

   

ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আগে থেকেই ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির বাঁ পায়ের কিছু অংশ ছিল না। লাঠি দিয়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করতেন।

তিনি জানান, রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও মৃত্যু হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভিক্ষুক প্রকৃতির। ফকিরাপুল এলাকাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং ওই এলাকায় থাকতেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে দিঘিরহাট নামক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাক একটি যাত্রীবাহী ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান চালক সহ গুরুতর আহত হয় ৬ জন।

তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাইয়ুম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। বাকি ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে এবং হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মৃত আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন ধুবনী এলাকায়।

ঘাতক ট্রাকটিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে সিংগীমারি ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।

হাতীবান্ধা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আরিফ জানান, সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে ছয়জনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোর সুমন (১৬) মারা গেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সুমনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।

সুমন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ মাস পূর্বে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গিয়েছিলেন সুমনসহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ২৫-৩০ জন কিশোর। সেখানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চিওড়া সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণে লেবার হিসেবে কাজ করছিলেন তারা।

রোজার ঈদের জন্য ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে এলো আসেননি কিশোর সুমন ও জিলানী। ঈদের পরদিন ওই এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী খোকন মিয়া।

রংপুরে ৫ দিন চিকিৎসার পর সুমনের স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিশেষায়িত একটি ক্লিনিকে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বজনরা টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা না করে শুক্রবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমনকে। নিয়ে আসার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে শনিবার সকাল ১১টায় মারা যায় সুমন।

সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলে চিকিৎসক। সুমনের মাথা, ঘাড়ে ও দুই হাতে প্রচুর আঘাত রয়েছে। আইসিউতে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এত টাকা কোথা থেকে পাবো। এজন্য গতকাল ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম।

সুমনের বাবা আরও জানান, ঠিাকাদার খোকন তাকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপরে আর খোঁজ নেননি তিনি। আজ সকালে মৃত্যুর খবর জানালে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পরিবারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর নিয়ে খোকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।

আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডংগা) বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ছেলেটির চিকিৎসা করানো সামর্থ নেই তার বাবার। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ছেলের চিকিৎসা না করে বাড়ি নিয়ে আসেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যায় সুমনের দাফন হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমাদের কেউ অবগত করেনি। তবে পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

পশু বিক্রির জন্য ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে ডিএনসিসি



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অস্থায়ীভাবে ৯টি হাট বসানোর পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্য হাটগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান করেছেন সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত কোন হাটের জন্য কারা দরপত্র জমা দিয়েছে সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির গাবতলী স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ও খিলক্ষেত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা।

সূত্র জানায়, পূর্বের মত এবারও কোরবানির পশুর হাট পাঁচ দিনের জন্য বসানো হচ্ছে। হাটগুলোতে ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারেন তার জন্য বিশেষব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ক্রেতারা হাট থেকে পশু কেনার পর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েচে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে অস্থায়ীভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথ বসানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা এক কোটি ৩৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা ছয় কোটি টাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা এক কোটি ৭৪ লাখ দু' হাজার ৭২৭ টাকা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং এক কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ টাকা, মোহাম্মদপুর বসিলার খালি জায়গা দু' কোটি ২০ লাখ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও খিলেখত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ডিএনসিসির এই সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাট শুরুর আগে নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকে। সকল প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই হাটের তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;