শনিবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে করোনা আকান্ত হওয়ার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ওয়াসফিয়া নাজরীন তার স্ট্যাটাসে লেখেন, 'হ্যাঁ, আমি কোভিড১৯-এর সঙ্গে লড়াই করছি। তবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমি যেটা নিয়ে যুদ্ধ করছি তার কিছুটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য-বন্ধুর সহায়তায় এ পোস্ট করছি। কুসংস্কার ভাঙার আশা নিয়ে, ভুল ধারণা এবং ভুল তথ্য যা বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। আমি আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশ নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, দেশের জনগণকে আঘাত করছে এ করোনা। মহামারি রোগটি দীর্ঘ হতে চলেছে এবং আমাদের সচেতনতা ও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি দরকার।
উল্লেখ্য, ওয়াসফিয়া এখন পর্যন্ত সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশি এবং দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১২ সালের ২৬ মে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেষ্টের চূড়ায় ওঠেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় (সেভেন সামিট) করেছেন।
সাধারণত হেফজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে। তবে ৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বেলায় হলো ব্যতিক্রম। মাত্র ৮ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে সে। যা রীতিমতো অবাক করেছে তার শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
তার শিক্ষকরা জানান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রথমে দুই থেকে তিন পৃষ্ঠা সবক দেওয়া শুরু করে। এরপর কখনো পাঁচ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিত।
তারা আরও জানান, সবাই যখন বিকেলে খেলাধুলা করত, তখন রুমে বসেই পড়ত মোহাম্মদ ওমর ফারুক। যেদিন হাফেজ হয়, সেদিনও যথারীতি তাকে পড়তে দেখেন তারা।
বিস্ময়কর ও প্রখর মেধাবী এই মোহাম্মদ ওমর ফারুক রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার দারুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে রামগতি উপজেলার জিয়া উদ্দিন (রানার) ছেলে।
হাফেজ মুহাম্মদ ওমর জানায়, ৮ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরে নিজেও খুশি এবং বড় হয়ে অনেক বড় আলেম হতে চায় সে।
মুহাম্মদ ওরর ফারুকের বাবা জিয়া উদ্দিন বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ওর মায়ের (মুহাম্মদ ওমরের) অনেক আসা ছিল হাফেজ হওয়ার। সেই ইচ্ছা সে পূরণ করেছে। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ছেলের শিক্ষকদের প্রতি।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শাহাদাত হোসাইন জামিল বলেন, আল্লাহপাক কবুল করেছেন বলেই মাত্র ৮ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে মুহাম্মদ ওমর ফারুক। এত অল্প সময় কোরআন মুখস্থ করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। এটি মাদরাসার জন্যও গর্বের।
জানা গেছে, মোহাম্মদ ওমর ফারুক ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর কোরআন মুখস্থ করা শুরু করে। পরে ৮ মাসেই তা শেষ করে বিস্ময়কর এই প্রতিভাধারী।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে বার্ষিক ওরশ ও মেলার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কাঞ্চনপুর ইউপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান খালেক ও তার ছেলে ছোটন এবং বিপক্ষ গ্রুপের শাহাদাত, শাহ আলমসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী কাঞ্চনপুর শাহ্ মিরান দরগাহ শরীফে অনুষ্ঠিত হবে পীরানে গাউসুল আযম দস্তগীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর পৌত্র (নাতি) বিশ্ব ওলী হযরত সৈয়দ শাহ্ মিরান (রহঃ)-এর বার্ষিক ওরশ। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দরগাহ এলাকায় কয়েক হাজার দোকানি অস্থায়ী মেলার আয়োজন করেন। তবে মেলার আয়োজনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
স্থানীয়রা জানান, মেলার দোকান বরাদ্দ ও আয়োজনে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সাবেক চেয়ারম্যান খালেক ও তার ছেলে ছোটন গুরুতর আহত হন। একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের শাহাদাত ও শাহ আলমসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরই ওরসকে কেন্দ্র করে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে এলাকাটি শান্ত রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলা, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী উঠানামাসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট দীর্ঘদিনের যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ফলে যানজট নিরসন ঘটিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সবগুলো ট্রাফিক বিভাগ।
এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই ধারাবাহিকতায় যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ও শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুইদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ২০০ টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। একই সঙ্গে অভিযানকালে ৩৫ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৮ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তালেবুর রহমান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) এক দিনে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ২০০ মামলায় ৩৫ টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৮ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
এদিকে এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের সমাধান খুঁজতে পুলিশ ও দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাঁচ হাজার টাকার চুক্তিতে অস্ত্র উঁচিয়ে একাই ২৮ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন তৌহিদুল ইসলাম ফরিদ (৩২)।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন।
এর আগে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার কমলনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
তৌহিদের বিরুদ্ধে ৫টি হত্যাসহ অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শমশের পাড়ার বড় পুকুরপাড় এলাকার মনু সওদাগর বাড়ির মো. সেকান্দরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, তৌহিদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাতক্ষীরার কামালনগর এলাকা থেকে শুক্রবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। নগরীর চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
তৌহিদুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলে জানিয়েছেন।
মো. রইছ উদ্দিন আরও বলেন, তৌহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত অস্ত্রটি পাকিস্তানি শুটারগান এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে। তার ব্যবহৃত এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে অভিযান চলমান আছে। তৌহিদুলের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তিনি একজন পেশাদার সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫টি হত্যাসহ অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের ১২টি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের পরে গ্রেফতার তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক ও মহিউদ্দীন ফরহাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর জন্য ৫ হাজার টাকায় চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলাম।