করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আইনজীবীদের মক্কেলের জামিন দরখাস্ত ও নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত হাজিরার পরিবর্তে সময় চেয়ে দরখাস্তের আবেদন করতে বলা হয়েছে। একই সাথে দেওয়ানী মামলার পক্ষ-বিপক্ষের উপস্থিত বাধ্যতামূলক নয় বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ মার্চ) বিকেলে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়সার স্বাক্ষরিত এক জরুরি নোটিশে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
জরুরি নোটিশে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত কারণে কোর্ট প্রাঙ্গণে লোক সমাগম না হওয়ার উদ্দেশে আপাতত চলতি মাসের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের জামিন দরখাস্ত ও নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত হাজিরার পরিবর্তে সময়ের দরখাস্ত করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং দেওয়ানী মামলার পক্ষ-বিপক্ষের উপস্থিত বাধ্যতামূলক নয়৷
ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এর সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে একদিন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাড়ি ফিরবে। তবে সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই মুবতাছিন রহমান মাহিন লাশ হয়ে ফিরল বাড়িতে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া তার নিজ এলাকার আর জামিয়াতুল করীমিয়া নুরুল উলূম মাদ্রাসায় জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে, শনিবার (২৩ নভেম্বর) গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থীদের বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে মুবতাছিন রহমান মাহিনের মৃত্যু হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আইইউটি'র শিক্ষার্থী ছিলেন রংপুরের বাসিন্দা মুবতাছিন রহমান মাহিন।শনিবার (২৩ নভেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়োজিত বনভোজনে শ্রীপুরে দ্বিতল বাসে প্রথম বিদ্যুতায়িত হন মাহিন। তাকে ছটফট করতে দেখে ছুটে যান বন্ধু জোবায়ের আলম (সাকিব)। এগিয়ে গিয়ে দুই বন্ধুই মারা যান। এই দুর্ঘটনায় তাদের আরেক বন্ধু মীর মোজাম্মেল নাঈমেরও (২৩) মৃত্যু হয়। তারা তিন বন্ধু গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশ করে পরিবারে উঁকি দেয়া স্বপ্ন পূরণের আগেই লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তিন বন্ধুর।
জানা গেছে, রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা ইমতিয়াজুর রহমানের ছেলে মুবতাছিনের বাবা। তিনি নীলফামারী সৈয়দপুর শাখার এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। মাহিনের মা নাজমুন্নাহার একজন গৃহিণী। পরিবারে বড় ছেলে মুবতাছিন রহমান মাহিন। ছোট ভাই মোস্তায়িন রংপুরের পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন তারা।
মুবতাছিনের চাচা হাসানুর রহমান বলেন, এত সুনামখ্যাত একটা প্রতিষ্ঠান তাদের গাফলতিতে আজ আমার ভাতিজা মাহিম চলে গেল৷ রাষ্ট্রব্যবস্থা সড়কে বিদ্যুতের তার এমনভাবে রাখা যেখানে বিদ্যুতের তারই কেড়ে নিল ফুলের মত প্রাণ। মাহিনের মত আর কারো প্রাণ যেন অকালে ঝড়ে না যায়। সুস্থ সন্তান ৪ মাস পর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বের তার আগেই লাশ হয়ে ফিরল, এই দায়ভার কে নিবে? আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সকাল থেকেই মাহিনের লাশ বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের মাঝে দেখা যায় শোকার্ত আহাজারি। তারা বলছেন,পরিবারের বড় ছেলে মাহিন। এত কষ্ট করে তাকে মানুষ করেছে বাবা- মা। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবহেলার জন্য নিষ্পাপ মাহিনের প্রাণ গেল। এটা কখনোই দুর্ঘটনা নয়, অবহেলাজনিত মৃত্যু।’
রাজশাহীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ৮ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ ইউনিটের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফলক উন্মোচন ও ফিতাকেটে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দ আইসিইউ, সিসিইউ ও পিসিসিইউ ওয়ার্ড পরিদর্শন ও চিকিৎসাধীন রোগীদের খোঁজখবর নেন।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, হৃদরোগ একটি মারাত্নক রোগ। এ রোগে আক্রান্তরা মারাত্নক ঝুঁকিতে থাকেন। এটি অন্য রোগের মত নয়। তীব্রভাবে আক্রান্তরা খুব বেশি সময় পান না। রাজশাহীতে হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন কারণে প্রতি পাঁচ জন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এমন খাদ্যভাস পরিহার করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্যাদি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় ও উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। পরিমিত খাদ্যভাস, শারিরীক পরিশ্রম, ব্যায়াম আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। এ হাসপাতালের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাপতি মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ডাইরেক্টর কাম চিফ কনসালটেন্ট ও ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. রইছ উদ্দিন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও আইসিইউ প্রধান ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভেচছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০'র অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো হামলা চলমান রয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে এ সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার ভুল চিকিৎসায় ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালায়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়াদী কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ডিএমআরসি কলেজের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালায়।
আক্রমণের প্রতিবাদে আজ ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ডিএমআরসি কলেজ, নটরডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজ, খিলগাও সরকারি কলেজসহ ৩০ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়াদী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে এক পক্ষ অপর পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে এখন পর্যন্ত এক সাংবাদিকসহ প্রায় ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলেও এখনো সংঘর্ষ চলমান।
ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থী জানায়, আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশেপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ করতে আসলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পুনরায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।
সাভারের আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশন ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্তিতে নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শ্রমিকরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থিত তাজরীন ফ্যাশন এর বন্ধ কারখানার মূল ফটকের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আহত শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি শুরু করে।
পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ আর পুনর্বাসনের দাবিতে প্রতিবছর তাজরীনের পোড়া ভবনের সামনে আজকের দিনে উপস্থিত হয়ে নিহতদের স্মরণ করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনসহ স্থানীয় শ্রমিকরা। একদিকে সুচিকিৎসার অভাবে আহত শ্রমিকদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। আবার অনেকেই কর্মক্ষমতা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আগুন থেকে বাঁচতে স্বামী রবিনকে নিয়ে ৪ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন গর্ভবতী পোশাক শ্রমিক ফাতেমা। কর্মহীন দিশেহারা দম্পতি শুরু করেন অন্যের জমিতে সবজি চাষ, পরে শুরু করেন ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। কিন্তু প্রায় দশ বছর পর এ বছর মে মাসে মারা যান রবিন। স্বামীর মৃত্যু, শিশু সন্তান জান্নাত ও ফাইজাকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ফাতেমা এবার একাই সৈনিক। স্বামীর হাতে গড়া ছোট্ট চায়ের দোকানই বেঁচে থাকার শেষ সম্বল।
তাজরীন ফ্যাশননে কোয়ালিটি কন্ট্রোরাল হিসেবে কাজ করতেন রবিন। ২০২২ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। ফাতেমা খাতুন বলেন, চায়ের দোকান দেয়ার দুই মাসের মাথায় মারা যায় আমার স্বামী। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে আমার পক্ষে একা সংসার চালানো তো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দিনে বেচাবিক্রি হয় ৫ থেকে ৭শ টাকার। এই টাকা দিয়ে দোকানের মালামালও কিনতে হয়। আবার আমারও চলতে হয়। স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতি মাসে ১ বস্তা চাল কিনে দেন। চাওয়া এখন একটাই, ক্ষতিপূরণ।
রোববার সকাল থেকে আশুলিয়ায় কারখানাটির সামনে নিহত শ্রমিকদের স্বজনরা ফুল হাতে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ শ্রম ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিল্প পুলিশও। শিল্প পুলিশ -১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মূল স্টেকহোল্ডার এই শ্রমিক ভাই-বোনরা। তাদের জন্যেই আমাদের কাজ, আমাদের সব কিছু। তাদের জন্যেই এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ তৈরি হয়েছে। আশা করি প্রসিকিউশন বিভাগ এবং সবাই মিলে দ্রুত বিচার টা সম্পন্ন হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকে এবং এ ধরণের ঘটনা যেন না ঘটে।
এসময় শ্রমিক নেতারা বলেন, আজকে তাজরিনের ১২ বছর কিন্তু এ ঘটনায় কোনো বিচার এখনো হয়নি। নিহত শ্রমিকদের পরিবারগুলো কষ্টে দিন পার করছে। আর আহত শ্রমিকরা পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করছেন। আমাদের দাবি তাজরিনের এই ভবনটি ভেঙে এখানে শ্রমিকদের পুনর্বাসন অথবা হাসপাতালে তৈরি করা হোক ও খুনি দেলোয়ারের ফাঁসি হোক।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার এক যুগ পরও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার চায়নি তাই বিচার হয়নি। শ্রমিকরা এখনো উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার পেল না। শ্রমিকদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার যেন দোষীদের বিচার ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন।
বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, নতুন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হয়; খোঁজ-খবর নিয়ে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে মোট ১১৭ জন পোশাকশ্রমিক নিহত ও ২০০ জনের অধিক আহত হন। অগ্নিকাণ্ডের পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক যুগেও শেষ হয়নি বিচারকাজ।
সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অবস্থিত তাজরীন ফ্যাশনের ভবনটি এখন শুধুই সময়ের স্বাক্ষী। দীর্ঘ এতগুলো বছর পরে ভবনটিকে দেখলে অনেকটা ভুতুরেই মনে হয়। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকরা এদিন কারখানার সামনে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।