‘চিকিৎসকরা কমিউনিটি থেকেও আক্রান্ত হচ্ছেন’

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা/ছবি: সংগৃহীত

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা/ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকরা শুধু রোগীর সংস্পর্শ থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন না তারা কমিউনিটি থেকেও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্সে রুমে সরাসরি প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করে আইইডিসিআর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নতুন করে দেশে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। এদের মধ্যে ২ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ২৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন পরুষ আর তিনজন মহিলা। এদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক আছেন। 

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, অবশ্যই ঘরের ভিতরে থাকবেন। নাক-চোখ-মুখ স্পর্শ করবেন না। আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে যাবেন না। যেকোন প্রয়োজনে জেলা, মন্ত্রণালয়ের পর্যায়ে কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করবেন। ঢাকার বাইরে করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রাম ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআই- এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এছাড়া ঢাকার জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও শিশু হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে।

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যখনই মনে হয়েছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হতে পারে তখনই আমরা সেই স্থান লকডাউন করে নিয়েছি। সেখানে আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া সেখানে আমরা রোগী খুঁজছি। লক্ষণ ও উপসর্গ কারও মধ্যে আছে কিনা সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি না। সেখানে গিয়ে প্রতিদিন খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করি নতুন কারো মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ বা কোন ধরনের আক্রান্তের চিহ্ন পাওয়া যায় কিনা। ওইসব এলাকায় যারা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ না থাকলেও তাদেরকে আমরা পরীক্ষা করছি।