স্বপ্নের মাধ্যমে করোনার ওষুধ আবিষ্কারের দাবি, যুবকের দণ্ড

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

 

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় করোনাভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারের দাবিদার এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করা ওই ব্যক্তির সহকারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামে এ সাজা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহিম সুজন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলে, শাহীন মিয়া (২২)। আর জরিমানা হওয়া ব্যক্তি শাহীন মিয়ার বাবা ও সহাকারী জসিম উদ্দিন। তারা নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার শাহিন মিয়া খামারগাঁও গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার আগে মুসল্লিদের সামনে হাজির হয়ে তার ওষুধ আবিষ্কারের কথা বলেন। এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, আমার আবিষ্কার করা ওষুধ অন্য ধর্মের কেউ খেলে অবধারিতভাবে মৃত্যু হবে। যদি সে মুসলিম হয়ে খায় তাহলে সে ভাল হয়ে যাবে।

শাহিন রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে একটি চানাচুর কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। সেখানে কাজ করার সময়ই তিনি স্বপ্নটি দেখে বাড়িতে আসার পর ওষুধটি বানাতে সক্ষম হন বলে দাবি করেন। এনিয়ে তিনি সরকারে সঙ্গে চুক্তি করার অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও জানান। এ ঘোষণার পর থেকেই শাহিনের বাড়িতে লোকজন জড়ো হতে থাকে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন ঘটনাস্থলে গেলে শাহীন মিয়া তার ওষুধ আবিষ্কার ও মসজিদে গিয়ে ওষুধের প্রচারণা চালানোর কথা শিকার করেন। পরে সেখানে আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে শাহীনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও তার বাবাকে জরিমানা করে। এ সময় ঘরের ভেতর একটি হাঁড়িতে রাখা কিছু তরল ধ্বংস করা হয়।