বরিশালে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসবরিশাল বিভাগ জুড়ে সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রায় তিন শতাধিক হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ ও চিকিৎসা সেবার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। তবে এর একটি হাসপাতালেও নেই করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কেন্দ্র। তবে এই হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রায় সাড়ে ৯শ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে জরুরি ভিত্তিতে শেবাচিম হাসপাতালে পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেবাচিমে পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, ঢাকাসহ দেশের ১২ কেন্দ্রে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে বলে ঘোষণা দেন আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। কিন্তু কবে শেবাচিমে পরীক্ষা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডাক্তার মো. বাকির হোসেন বার্তা২৪.কম জানান, শেবাচিম হাসপাতালে করোনার সংক্রামক শনাক্তকরণের জন্য একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে৷ পরীক্ষা কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য এখানে সব রকমের পরিবেশ আছে বলেও জানান তিনি।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই বরিশালে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে একটি পরীক্ষা কেন্দ্র চেয়ে আবেদন করা হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। এবং পরীক্ষা কেন্দ্রটি দ্রুত স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে তাগিদ পত্রও পাঠানো হয়েছে।
কবে পরীক্ষা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘোষণা হলেই কার্যক্রম শুরু হয়। কেননা, পরীক্ষা কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য কয়েকটি বিভাগ কাজ করে। কমপক্ষে ৫০০ স্কয়ার ফুট জায়গা নির্ধারণ, নকশা তৈরি, মাইক্রোলজি ও প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগের সমন্বয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। যা সময় সাপেক্ষ বিষয়। তাই কবে করোনার শনাক্তকরণ পরীক্ষা কেন্দ্রটি চালু হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, শেবাচিমে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সবাই এর সুফল ভোগ করতে পারবে। তাই এখানে একটি দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে। আবেদন পাওয়ার পর পরীক্ষা কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে বলেও জানান এই জেলা প্রশাসক।
এদিকে, বরিশালে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক সাংবাদিকদের জানান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ একটি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে কথাও হয়েছে। ইতোমধ্যে এখানে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।