সিলেটে অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহন

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা | ছবি: আবু বকর

গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা | ছবি: আবু বকর

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন সিলেটের অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা।

গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সরকার, যা আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এতে সারাদেশের মতো বিপাকে পড়েছেন সিলেটের সাধারণ জনগণ। জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে গাড়ি পাচ্ছেন না তারা। বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশের বসবাসকারী সাধারণ জনগণ বিশেষ প্রয়োজনেও সিলেট নগরে আসতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল চত্বর থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক।

সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে ১১টায় চন্ডিপুল চত্বরে গিয়ে যাত্রী তুলতে দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের।

বিজ্ঞাপন
গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা | ছবি: আবু বকর

যাত্রীরা জানান, অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা চন্ডিপুল চত্বর থেকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার, রশিদপুর, দয়ামির, নাজিরবাজার, ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর, গোয়ালাবাজার ও হবিগঞ্জের শেরপুর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছেন। এসব জায়গায় ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে দেড়শো টাকা পর্যন্ত।

তানভীর আহমদ নামে এক যাত্রী বলেন, আমি লালাবাজারে যাব। আগে লালাবাজার যেতে ১৫-২০ টাকা লাগতো। অ্যাম্বুলেন্সে লাগছে ৬০ টাকা।

যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি নেই তাই কিছু যাত্রী নিচ্ছি। আমরা তো কাউকে জোর করে গাড়িতে তুলছি না। যাত্রীরা খুশি হয়েছে টাকা দিচ্ছে।