মুক্তাগাছায় চাল চুরির দায়ে জেল-জরিমানা-মামলা

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের ১১ বস্তা চাল আত্মসাতের দায়ে এক ডিলারকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মুক্তাগাছার ৮ নং দাওগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজনু সরকারের ছোট ভাই ওএমএস ডিলার গুলশান সরকারকে তিনদিনের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদুর রহমান।

অপরদিকে ৪৭ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে দাওগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন মামুন এবং ২১ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে তারাটি ইউনিয়নের দুই ডিলার কথিত আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ ও শফিকুল ইসলাম বিপ্লবের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সুফি আফজালুর আলম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়মানুযায়ী বিতরণ না করে দাওগাঁও ইউনিয়নের ডিলার গুলশান সরকার চন্দনীআটা গ্রামের বেগম নামের এক নারীর বাড়িতে ১১ বস্তা চাল এবং একই ইউনিয়নের অপর ডিলার মামুন অন্যত্র ৪৭ বস্তা চাল গোপনে লুকিয়ে রাখেন।

একই অবস্থায় তারাটি ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামের ডিলার ফরিদ ও শফিকুল ইসলাম বিপ্লব বাড়ির রান্নাঘর, রান্নাঘরের পেছনের জঙ্গল ও ঘরের বিভিন্ন স্থানে ২১ বস্তা চাল লুকিয়ে রাখেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে গুলশান সরকারকে জেল-জরিমানা ও বাকিদের নামে বুধবার রাতে থানায় নিয়মিত মামলা হয়।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, গুলশানকে জেলে পাঠানো হয়েছে ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

কোম্পানীগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
কোম্পানীগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান

কোম্পানীগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে দশটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরএলাহী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দোকান মালিকরা। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চরএলাহী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.মিজানুর রহমান মিজান। তিনি বলেন, চরএলাহী বাজারে প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। রাতে হৃদয়ের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে মুদি দোকান, মোটরসাইকেল গ্যারেজ, ব্যাটারিচালিত অটোেরিকশা গ্যারেজ, কসমেটিকস দোকানসহ ১০টি দোকান পুড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদয়ের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জামিল মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে দশটি দোকান পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

মেট্রোরেলের আরও ২ স্টেশন খুলছে আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ইতিমধ্যে এই দুটি স্টেশন খোলার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। মেট্রোরেল সেবা পরিচালনাকারী ডিএমটিসিএল সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, গত ১৫ মার্চ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশন চালু হয়। তারও আগে চালু হয় উত্তরা উত্তর, আগারগাঁও, পল্লবী, উত্তরা সেন্টার, মিরপুর-১০ স্টেশন। শুধু দুটি স্টেশন উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া বাকি ছিল। আগামীকাল উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশনও যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যাত্রীসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারে উড়াল রেলপথের মধ্যে উত্তরার (দিয়াবাড়ী) অংশ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ এ বছরের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা আছে সরকারের।

মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত অংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে জাইকা দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। সরকার ব্যয় করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সামরিক বাহিনীর ১,১২৯ জন সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছে কাতার



তাইফুর রহমান, বার্তা২৪.কম, কাতার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর এক হাজার ১২৯ জন সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছে কাতার। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশ কাতারের দোহায় বাংলাদেশ ও কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের এক হাজার ১২৯টি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ওয়াকার উজ জামান বলেন, কাতারের আর্মড ফোর্স হলো প্রফেশনাল আর্মড ফোর্স। বাংলাদেশের আর্মড ফোর্সেসের সঙ্গে কাতার কাজ করলে দুই দেশের বাহিনীই উপকৃত হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে দুই দেশের আর্মড ফোর্সেসের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপিত হবে। পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যেও সেতুবন্ধন স্থাপিত হবে।

চুক্তিটি স্বাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, এই চুক্তি এখানেই শেষ না। ভবিষ্যতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী থেকে আরও লোক নেওয়া সম্ভব হবে। আপাতত এক হাজার ১২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের দেশেও একটা রেমিট্যান্স যাবে। আমরা হিসাব করেছি ৩ মিলিয়ন ডলার প্রতিমাসে রেমিট্যান্স যাওয়া সম্ভব হবে। এমনকি কাতারে আমাদের সৈন্যদের থাকা-খাওয়া সব ফ্রি থাকবে।

এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বাংলাদেশ ও কাতারের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা ও কাতারে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ঈদের ৭ দিন ফেরিতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ রাখতে ঈদের আগের তিন দিন ও পরের ৩ দিনসহ ৭ দিন ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক এর বাইরে থাকবে।

এছাড়া, রাতের বেলা স্পিডবোট ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে ৫ দিন ও পরের ৫ দিন অর্থাৎ ১৭-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বক্ষণিক (দিন ও রাত) সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিত জানানো হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ আছে। শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে মোটরসাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে, কালবৈশাখীর ঝড়ের আশঙ্কা থাকে। এসময় সবাইকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নৌপুলিশ আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবে। সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী ওঠানামা করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নদী বন্দরগুলোতে যাত্রীসেবার জন্য যেসব ওয়াশরুমের সুবিধা আছে সেগুলোর সংখ্যা ও সেবার মান বাড়াতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রী পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যেন চলাচল করতে না পারে সেজন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীদের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা নেবে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করা নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পবিত্র ঈউল ফিতরেকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে নৌসেবা নিতে পারে সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক। পদ্মা সেতু আমাদের অনুভূতির জায়গা দখল করে নিয়েছে। অনেকে মনে করেছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষে আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নৌপথে আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে নৌসেবা নিতে পারে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে। সেবা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;