সাভারে করোনাভাইরাসে আরও দুইজন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার নাজমুল হক মিঠু।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, সাভারে নারীসহ নতুন আরো দুইজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে একজন সাভারের হেমায়েতপুরের শ্যামপুর এলাকার ও অপরজন সাভারে ফুলবাড়িয়ার এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি আইডিসিআরের মাধ্যমে জানা গেছে বলেও জানান তিনি।
আক্রান্ত ওই দুইজনের ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। আইডিসিআর তাদেরকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে বললেও তারা তা করেননি। বিষয়টি জানার সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে তাদের মিরপুর লালকুঠির হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
করোনা আক্রান্তদের এলাকা লকডাউন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক এএফএম সায়েদ।
রাজধানীর কলাবাগানে অফিস ভাড়া দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাড়িওয়ালা। অফিসের মালিক বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না করে উল্টো বাড়ির মালিকের নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে হেনস্তার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বাড়ির মালিক ইসমাইল হোসেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সেলিম শেখ গত ০১/১২/২০২৩ইং তারিখে ফেয়ার দিয়া কমপ্লেক্স এর ৬/আই ফ্ল্যাটটি মাসিক ৫৫,০০০/-(পচান্ন হাজার) টাকা ভাড়ায় নিয়ে অফিস পরিচালনা করছিলেন। ভাড়া নেওয়ার পর তারা ফ্ল্যাটের বিভিন্ন কাজ করে যার ফলে তাদের এক মাসের ভাড়া মুওকফও করে দেই। কিন্তু ফ্লাট ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই তারা অনিয়মিত ভাবে ভাড়া প্ররিশোধ করত, আজ নয় কাল দিবে বলে গত এপ্রিল/২০২৪ মাস হইতে এখন পর্যন্ত তালবাহান করে আসছে। আমি গত ২৭/১১/২০২৪ইং তারিখ সকালে আমার ফ্ল্যাটের ভাড়া জন্য বিবাদীর অফিসে গিয়ে দেখি অফিসের দরজা খোলা এবং ভিতরে প্রবেশ করে দেখি অফিসের কোনো মালামাল নাই। তারা ছয় মাসের ভাড়া বাবাদ(৫৫,০০০X৬=৩,৩০,০০০/-(তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা এবং বিদ্যুৎ বিল ৩২,০০০/-(বত্রি হাজার) টাকা পরিশোধ না করিয়া পালিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, নূরতাজ ডটকমের কাছে ৬ মাসের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। তার সেই ভাড়া পরিশোধ না করে তারা মালপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমার নামে থানায় তাদের অফিসের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ করেছে।
তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাস থেকেই ভাড়া দেয়ার বিষয়ে গড়িমসি করে আসছেন নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শেখ। তাকে উকিলের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছি আমি, সর্বশেষ গত মাসে নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শেখকে ভাড়া পরিশোধ না করায় অফিস খালি করার নোটিশ দেই, তারপরে তারা ভাড়া না দিয়ে আমার নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, সেলিম শেখ আরও অনেক মানুষের থেকে প্রতারণা করেছেন। এখন সেসব লোক আমার বাড়িতে এসে তাকে খুঁজছে, আমাকে নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় কলাবাগান থানার ১৬নং ওয়ার্ডের বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ভূইয়ার নাম জড়িয়েও আনা হয়েছে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আব্দুল মান্নান ভূইয়া জানান, আমি কখনো নূরতাজের অফিসেও যাইনি। আমার বাসা একই বিল্ডিংয়ে হওয়ায় বাড়ির মালিক আমাকে বিষয়টি জানালে আমি এটা সমাধান করতে বলি। এদিকে সেলিম শেষ আমাকে জড়িয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। অথচ আমি চাঁদাবাজি লুটপাট তো দূরের কথা ওনার সাথে এর আগে আমার কথাও হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শেখের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখা যৌথভাবে এই কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিলে প্রতিবাদী স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা ; দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ ; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগানে ভারতকে সতর্ক করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে জেলা শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন শাপলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা নেতৃবৃন্দ। বক্তারা ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননা করে ভারত সীমালঙ্ঘন করেছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীলতার জন্য ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায় দিয়ে বক্তারা বলেন, ‘ ভারতে বসে শেখ হাসিনা “র” এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এরপর যদি আর ন্যূনতম কোনও ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করা হয় তাহলে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা কঠোরভাবে তার জবাব দেবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মুকুল মিয়া বলেন, ‘জুলাই পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে আর একবার যদি ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হয় তাহলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেব। এদেশের মানুষ জীবন দিয়ে এই স্বাধীনতা পেয়েছে। প্রয়োজনে আবারও জীবন দিবে। তবুও আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে এ দেশে ফিরে আসতে দেবে না।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে ভারতীয় একটি ডানপন্থি সংগঠনের নেতৃত্বে একদল লোক আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে বিক্ষোভ ও হামলা করেন। এ সংগঠনটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়।
ঘটনার পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা তার দেশের বিক্ষোভকারীদের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ আমি এই ঘটনার নিন্দা করি। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা যায়, কিন্তু এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে আলমসাধু চালক সেলিম (৩৫) ও জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কর্চাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজীর মেয়ে শিশু রাফিয়া খাতুন (৪)।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার হিজলগাড়ি ও জীবননগর উপজেলার কর্চাডাঙ্গা গ্রামে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে বোনের বাড়ি পাটকাঠি দিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন আলমসাধু চালক সেলিম। পথে হিজলগাড়ী মাদ্রাসার নিকট পৌঁছালে আলমসাধুর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় হিজলগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। যেহেতু নিহত আলমসাধু চালকের বাসা বেগমপুর ক্যাম্পের আওতায়, তাই তাদের ইনচার্জকে জানানো হয়েছে। তিনি এসে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।’
অপর দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্চাডাঙ্গায় বাড়ির অদূরের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল শিশু রাফিয়া। এসময় একটি আলমসাধু তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে জীবননগর থানার শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী জানান, শিশুটি রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় একটি আলমসাধু ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ে চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিতকরণে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ বিষয়ে এক নির্দেশনাপত্র জারি করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, উপযুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী ৪ ডিসেম্বর সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
জারিকৃত উক্ত পত্রে জানানো হয়, ইহা সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে সাজেকের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে আধিপত্যের লড়াইয়ে লিপ্ত থাকা উপজাতীয় আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীরা তাদের আধিপত্য বিস্তারে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবারও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক হাজার রাউন্ড গুলি বিনিময় করেছে। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে স্থানীয় পুরো বাঘাইছড়ি উপজেলাজুড়ে চরম আতঙ্কময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সামনের ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের আগমনে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।