করোনাকালে সাধারণ রোগীর চিকিৎসার কী হবে?

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


সাদিয়া কানিজ লিজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতীকী

প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

“আমার ছোট চাচা গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল/ক্লিনিক ঘুরে ডাক্তার না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় আজ রাত ১২টা ২০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন... তার এ মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? করোনা? বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা না কতিপয় দায়িত্বহীন ডাক্তার?”

নিজের ফেসবুক পোস্টে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কষ্টের কথা প্রকাশ করেছেন নাসিম বানু শ্যামলী নামে এক ভুক্তভোগী।

শুধু তিনিই নন, যাদের অভিযোগ করার জায়গা নেই তারা অনেকেই ফেসবুকে এভাবে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন। ভুক্তভোগ এসব মানুষ জানেন না এ ঘটনায় কাকে দায়ী করবেন। তবে সমন্বয়হীনতার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আর্তি জানিয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ খানের এক বাসিন্দা জানান, তার মা জ্বর নিয়ে রাজধানীর ৭-৮টি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা মেডিকেলের আইসোলেশনে মারা যান। নমুনা সংগ্রহের ২৪ ঘণ্টা পর রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর আগে ফোন দিয়েছেন অনেকগুলো হাসপাতালে কিন্তু কেউ কোন সারা দেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি মায়ের করুণ মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি চাই না আমার মায়ের মতো আর কেউ এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। ঢাকা মেডিকেলে রোগীর প্রতি এত অবহেলা, এমন অব্যবস্থাপনা থাকতে পারে, সেখানে না গেলে জানতেই পারতাম না। নমুনা সংগ্রহের আগেই সেখানকার একজন ডাক্তার একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলেছিলেন, আমার মা করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু পরে রিপোর্ট নেগেটিভ এলো। কিন্তু ততক্ষণে আমার মা আর নেই।”

ঢাকা মেডিকেলের আইসোলেশনে মারা যাওয়া রোগীর করোনারভাইরাসের নেগেটিভ রিপোর্ট

এর আগে গত ২৯ মার্চ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে রাজধানীর ৫-৬টি হাসপাতাল ঘুরে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা আলমাস উদ্দিন। করোনা সন্দেহে চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানায় হাসপাতালগুলো। তার সন্তানেরা বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সারাদিন ঘোরার পর শেষে উপায় না পেয়ে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ভর্তি করার পরদিনই তার মৃত্যু হয়।

এমন উদাহরণ আছে আরো। চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল। অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২৯৪৮ জন।

করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগী এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা না পাওয়ার সমস্যা বেড়েই চলছে।

তবে স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্দেশনা দিয়েছেন এমন ঘটনা রোধে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরও প্রায় দিনই বিপাকে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। সর্দি-কাশি বা জ্বর নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগী গেলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পরামর্শ দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালেও নামমাত্র চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী একজনের ফেসবুক পোস্ট

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনার যে উপসর্গের কথা আমরা বলছি সেটা কমন কিছু উপসর্গ। তবে আমরা টেস্ট করেই কনফার্ম হই রোগীর করোনা হয়েছে কিনা। তবে টেস্ট করে হয়তো উপসর্গ থাকলেও অনেক সময় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি মানে কিন্তু এই সিজনে এটা ইন্ডিকেট করছে না যে রোগী করোনা আক্রান্ত হয়নি। দুই-তিনদিন পর আবার টেস্ট করলে অনেক সময় আবার পজিটিভ আসে। এই ধরনের কিছু বিভ্রান্তিকর বিষয় আছে।

তিনি বলেন, যাই হোক রোগীর যে উপসর্গ আছে তাতে করোনা না হলেও আমরা তাদের সিমটোমেটিক ম্যানেজমেন্ট দিচ্ছি। যেহেতু এখনো এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা বের হয়নি। রোগীর যদি অবস্থা একটু ভালো থাকে তবে আমরা বাসায় রেখেই ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যেতে বলি। অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলি।

করোনা আক্রান্ত না হলেও অনেকের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হচ্ছে, এসব রোগীকে কিছু কিছু হাসপাতালে চিবিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, এ ক্ষেত্রে করণীয় জানতে চাইলে ঢামেক পরিচালক বলেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি হচ্ছে, এমন রোগীকে আমরা বলছি না বাড়ি চলে যেতে। এ্যাজমা, হার্টের সমস্যা হলেও অনেক সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, এটা ঠিক। শুরুতে আমরা তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু করোনা রোগী ভরে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে একটু জটিলতা হতে পারে তাকে সেখানে নেওয়া হবে কি না। কারণ, যে হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না সেখানে উপসর্গ আছে এমন রোগী নেওয়া হলে অন্য রোগীরাও সমস্যায় পড়তে পারে। তারপর হাসপাতালের বিভিন্ন স্টাফ, ডাক্তাররাও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেন।

সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন এটা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ, ওই রোগীর মাধ্যমে অন্য রোগী ইফেক্টেড হতে পারে। তাই আমাদের উপায় বের করতে হবে। একজন রোগীর জন্য যেমন আমরা অন্য রোগীর সমস্যা করতে পারি না, তেমনি সেই রোগীকেও ফেলতে পারি না। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে সাসপেক্ট কেসগুলোকে আলাদাভাবে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। সেটা নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যেই হয়তো এই ধরনের রোগীদের ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

   

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;