করোনাকালে সাধারণ রোগীর চিকিৎসার কী হবে?

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস



সাদিয়া কানিজ লিজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রতীকী

প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

“আমার ছোট চাচা গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল/ক্লিনিক ঘুরে ডাক্তার না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় আজ রাত ১২টা ২০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন... তার এ মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? করোনা? বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা না কতিপয় দায়িত্বহীন ডাক্তার?”

নিজের ফেসবুক পোস্টে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কষ্টের কথা প্রকাশ করেছেন নাসিম বানু শ্যামলী নামে এক ভুক্তভোগী।

শুধু তিনিই নন, যাদের অভিযোগ করার জায়গা নেই তারা অনেকেই ফেসবুকে এভাবে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন। ভুক্তভোগ এসব মানুষ জানেন না এ ঘটনায় কাকে দায়ী করবেন। তবে সমন্বয়হীনতার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আর্তি জানিয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ খানের এক বাসিন্দা জানান, তার মা জ্বর নিয়ে রাজধানীর ৭-৮টি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা মেডিকেলের আইসোলেশনে মারা যান। নমুনা সংগ্রহের ২৪ ঘণ্টা পর রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর আগে ফোন দিয়েছেন অনেকগুলো হাসপাতালে কিন্তু কেউ কোন সারা দেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি মায়ের করুণ মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি চাই না আমার মায়ের মতো আর কেউ এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। ঢাকা মেডিকেলে রোগীর প্রতি এত অবহেলা, এমন অব্যবস্থাপনা থাকতে পারে, সেখানে না গেলে জানতেই পারতাম না। নমুনা সংগ্রহের আগেই সেখানকার একজন ডাক্তার একেবারে নিশ্চিত হয়ে বলেছিলেন, আমার মা করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু পরে রিপোর্ট নেগেটিভ এলো। কিন্তু ততক্ষণে আমার মা আর নেই।”

ঢাকা মেডিকেলের আইসোলেশনে মারা যাওয়া রোগীর করোনারভাইরাসের নেগেটিভ রিপোর্ট

এর আগে গত ২৯ মার্চ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে রাজধানীর ৫-৬টি হাসপাতাল ঘুরে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা আলমাস উদ্দিন। করোনা সন্দেহে চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানায় হাসপাতালগুলো। তার সন্তানেরা বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সারাদিন ঘোরার পর শেষে উপায় না পেয়ে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ভর্তি করার পরদিনই তার মৃত্যু হয়।

এমন উদাহরণ আছে আরো। চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিল। অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২৯৪৮ জন।

করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগী এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা না পাওয়ার সমস্যা বেড়েই চলছে।

তবে স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্দেশনা দিয়েছেন এমন ঘটনা রোধে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরও প্রায় দিনই বিপাকে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। সর্দি-কাশি বা জ্বর নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে রোগী গেলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পরামর্শ দিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালেও নামমাত্র চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগী একজনের ফেসবুক পোস্ট

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনার যে উপসর্গের কথা আমরা বলছি সেটা কমন কিছু উপসর্গ। তবে আমরা টেস্ট করেই কনফার্ম হই রোগীর করোনা হয়েছে কিনা। তবে টেস্ট করে হয়তো উপসর্গ থাকলেও অনেক সময় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি মানে কিন্তু এই সিজনে এটা ইন্ডিকেট করছে না যে রোগী করোনা আক্রান্ত হয়নি। দুই-তিনদিন পর আবার টেস্ট করলে অনেক সময় আবার পজিটিভ আসে। এই ধরনের কিছু বিভ্রান্তিকর বিষয় আছে।

তিনি বলেন, যাই হোক রোগীর যে উপসর্গ আছে তাতে করোনা না হলেও আমরা তাদের সিমটোমেটিক ম্যানেজমেন্ট দিচ্ছি। যেহেতু এখনো এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা বের হয়নি। রোগীর যদি অবস্থা একটু ভালো থাকে তবে আমরা বাসায় রেখেই ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যেতে বলি। অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলি।

করোনা আক্রান্ত না হলেও অনেকের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হচ্ছে, এসব রোগীকে কিছু কিছু হাসপাতালে চিবিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, এ ক্ষেত্রে করণীয় জানতে চাইলে ঢামেক পরিচালক বলেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি হচ্ছে, এমন রোগীকে আমরা বলছি না বাড়ি চলে যেতে। এ্যাজমা, হার্টের সমস্যা হলেও অনেক সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, এটা ঠিক। শুরুতে আমরা তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু করোনা রোগী ভরে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে একটু জটিলতা হতে পারে তাকে সেখানে নেওয়া হবে কি না। কারণ, যে হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না সেখানে উপসর্গ আছে এমন রোগী নেওয়া হলে অন্য রোগীরাও সমস্যায় পড়তে পারে। তারপর হাসপাতালের বিভিন্ন স্টাফ, ডাক্তাররাও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেন।

সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন এটা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ, ওই রোগীর মাধ্যমে অন্য রোগী ইফেক্টেড হতে পারে। তাই আমাদের উপায় বের করতে হবে। একজন রোগীর জন্য যেমন আমরা অন্য রোগীর সমস্যা করতে পারি না, তেমনি সেই রোগীকেও ফেলতে পারি না। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে সাসপেক্ট কেসগুলোকে আলাদাভাবে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। সেটা নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যেই হয়তো এই ধরনের রোগীদের ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনজিও পরিচালকসহ আটক ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনজিও পরিচালকসহ আটক ৩

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনজিও পরিচালকসহ আটক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে গ্রাহকের কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎকারী ভুয়াএনজিও’র পরিচালক, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৫)।

সােমবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজারের মহানন্দা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার অফিস কক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মহানন্দা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (এমপিইউএস) এর পরিচালক ও মূলহোতা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (৪২)। তিনি কাছিয়াবাড়ী এলাকার মৃত মাহাবুবুল আলমের‌ ছেলে। অপর আসামিরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে (মাঠকর্মী) মোঃ শিমুল আলী (২৮) ও ঘাটনগর এলাকার মোঃ আনিরুল ইসলামের ছেলে (অফিস সহকারী) মোঃ ফিরোজ আলী (২৪)।

মঙ্গলবার ( ২১ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট রিয়াজ শাহরিয়ারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন- তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চক্রের সাথে সংঘবদ্ধভাবে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের টাকা গ্রহণ করে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে মহানন্দা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (এমপিইউএস) নামে একটি ভুয়াএনজিও প্রতিষ্ঠা করে। এনজিওতে বিভিন্ন গ্রাহককে টাকা বিনিয়োগ এবং ঋণ নেয়ার জন্য উস্কানি প্রদান করে। অসহায় লোকজন তাদের উস্কানিতে টাকা বিনিয়োগ করে এবং তাদের এনজিও হতে ফাঁকা চেক জমার মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করলে এনজিও কর্মীরা ব্লাংক চেক ব্লাক মেইল এর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা এবং গ্রাহকের জমাকৃত ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এছাড়াও ব্লাংক চেক ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের নামে মামলা দেয়া এবং মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। অসংখ্য ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব চাঁপাইনবাগঞ্জের চৌকষ গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে ২০ মার্চ ওই এলাকা থেকে এনজিও পরিচালক ও মূলহোতাসহ প্রতারক চক্রের ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০ পিচ ভুয়াপাশ বই, ৯ টি চেক/লোন রেজিস্ট্রার খাতা, ৫ টি ব্লাংক চেক ৪টি মোবাইল ফোন ও ৮ টি বিভিন্ন প্রকার সীল-উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সাঁথিয়ায় অটোরিকশা-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পাবনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনার সাঁথিয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা-পিকআপ সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার সমাসনারী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পাবনা থেকে ডাক বিভাগের একটি পিকআপ ভ্যান ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে সমাসনারী নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হন পাঁচজন। তাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে প্রতিবন্ধিতা দূর করা সম্ভব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবন্ধিতা যত কঠিনই হোক না কেন মানসিক দৃঢ়তা, ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে তা দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

তারা বলেছেন, বিশ্বেও সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হলো প্রতিবন্ধী মানুষ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় একশ’ মিলিয়ন মানুষ নানা ধরনের প্রতিবন্ধিতার শিকার। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দেশে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ।

সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) ও সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে আয়োজিক সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তারা এসব তথ্য জানান। ‘অক্ষমতা এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি’ বিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র দেয়া হয়।

প্রশিক্ষণ পর্বের প্রধান বক্তা ছিলেন এটুআই প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য। তিনি জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা একজন সফল মানুষ। ২০১৮ তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেছেন। আলোচনায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজের জীবনের নানা বাধা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাকে জয় করার নানা অভিজ্ঞতা ও সফলতা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার চরাঞ্চলে ‘ডিজঅ্যাবিলিটি প্রকল্পে’র কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন ফ্রেন্ডশিপের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আয়শা তাহসিন খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, উত্তরের চরাঞ্চলে বসবাসকারী শারীরিক অক্ষমদের (প্রতিবন্ধী) জন্য জীবনযাত্রা খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিক্ষার হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। সাধারণ মানুষের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি লড়াই-সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের। তাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে এ বিশেষ উদ্যোগ।

এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে শারীরিক অক্ষম ব্যক্তিদের সীমাবদ্ধতা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহবানও জানান ফ্রেন্ডশিপের জেষ্ঠ্য পরিচালক। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এমন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি- ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এটুআই এবং ফ্রেন্ডশিপের মহৎ উদ্যাগকে সাধুবাদ জানান তিনি।

ফ্রেন্ডশিপের সহকারী পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান জানান, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নে সমাজে তাদের অবদান আছে এবং তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশ- এটা প্রতিষ্ঠিত করা প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।

এছাড়াও প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করেন- ফ্রেন্ডশিপ নেদারল্যান্ড এর পরিচালক বেটেকে দ্য গাই ফোর্টম্যান, এটুআই প্রকল্পের কমিউনিকেশন এক্সপার্ট আদনান ফয়সাল, ফ্রেন্ডশিপের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার নুসরাত জেরিন, টিম লিডার আবু মোহাম্মদ শিহাব, টেকনিক্যাল লিডার নুসরাত জেরিন। পুরো প্রশিক্ষণটি সাংকেতিক ভাষায় উপস্থাপন করেন আরাফাত সুলতানা লতা।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ইন্টারপোলের রেড নোটিশের খবরে আরাভের খোলা চিঠি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সেটি ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

ইন্টারপোলে রেড নোটিশের খবর শুনে সোমবার (২০ মার্চ) রাতে আরাভ খান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সবার কাছে দোয়া চান আরাভ। এর কয়েক ঘণ্টা পরই বাংলাদেশের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দেন তিনি।

আরাভ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, খোলা চিঠি বাংলাদেশ, আসসালামু আলাইকুম। আমি আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সর্বদাই আমার দোয়া থাকবে আপনাদের ওপর। আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি বাঁচি আর না বাঁচি এ কথা আমার মনে থাকবে।

জানি না আমার জীবনে আমি জেনে না জেনে যে ভুলগুলো করেছি, আপনারা যারা আমার পাড়া-প্রতিবেশী এবং আমাকে যারা চিনেন, যাদের সঙ্গে আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তারা আমাকে মাফ করে দিবেন।

তিনি আরও লেখেন, দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি না কাল আমার সঙ্গে কী হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায় বিচার, সেটা হয়তোবা সম্ভব না। যাইহোক, আল্লাহ একজন আছে। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, আরাভ খান আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে বাংলাদেশে স্বর্ণ পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন তিনি।

আরাভের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। শ্বশুরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন। এ কারণে ২০১৫ সালে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ক্যামেরা চুরির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;