‘প্রবাহ’ প্রকল্পে বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছে বান্দরবানের ৫ হাজারের বেশি মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রথমবারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাত্রা শুরু করল ‘প্রবাহ’/ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাত্রা শুরু করল ‘প্রবাহ’/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএটি বাংলাদেশের সিএসআর প্রকল্প ‘প্রবাহ’ এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি পাচ্ছেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশের আর্সেনিকপ্রবণ বিভিন্ন অঞ্চলে সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনার পর গৃহীত এই উদ্যোগটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাত্রা শুরু করল ‘প্রবাহ’।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রবাহ’ পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টটির উদ্বোধন করেন। এসময় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

প্লান্টটি উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলায় নিরাপদ ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায় বিএটি বাংলাদেশ তার ‘প্রবাহ’ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা সদরে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ‘প্রবাহ’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহে সহযোগিতা করার জন্য বিএটি বাংলাদেশকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় প্রায়ই চরম সংকটে পড়তে হয় নাইক্ষ্যংছড়ি ও এর আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। তখন তারা পাহাড়ি ঝিরি কিংবা কূপ খননের মাধ্যমে খাবার পানির চাহিদা পূরণ করে থাকে। তাছাড়া, পাথুরে স্তরের কারণে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করাটা একই সাথে বেশ কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল; যা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

স্থানীয়দের বিশ্বাস, ‘প্রবাহ’ এর এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পানির সমস্যার সমাধান হবে। প্লান্টটি প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম, যা দিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের নিত্যদিনের পানির চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, বিশুদ্ধ পানির জন্য আগে তিনি প্রতিমাসে তাকে ৩,০০০ টাকা খরচ করতে হতো। প্রবাহ প্রকল্প চালু হবার পর সেই টাকাটা তিনি সঞ্চয় করতে পারছেন। প্লান্টের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি বিএটি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষত: আর্সেনিকপ্রবণ এলাকাগুলোর সুপেয় পানির অভাব পূরণে ২০০৯ সালে ‘প্রবাহ’ নামে নিরাপদ খাবার পানির এই বিশেষ প্রকল্পটি চালু করে বিএটি বাংলাদেশ। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানান পুরস্কারও পেয়েছে প্রবাহ। এই প্রকল্পের আওতায় গত ১১ বছরে দেশের ১৪টিরও বেশি জেলায় ৮৮টি পানি শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, নাটোর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে বিএটি বাংলাদেশের পানি শোধনাগার রয়েছে। ‘বান্দরবান’ এই তালিকায় নতুন সংযোজন।

পাহাড়ি অঞ্চলে নিরাপদ পানির যোগান, বিশেষত: শুস্ক মৌসুমে পানির সংকট সমাধানে প্রকল্পটির গুরুত্ব নিয়ে বিএটি বাংলাদেশের ডিভিশনাল লিফ ম্যানেজার মামুনুর রশিদ বলেন, প্রবাহ প্রকল্পটির মাধ্যমে আমরা গত ১১ বছর ধরে দেশের আর্সেনিকপ্রবণ বিভিন্ন অঞ্চলে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করে মানুষের সহযোগিতা করার চেষ্টা করে আসছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো প্রবাহ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমি আশাবাদী যে, আমাদের এই প্রচেষ্টা নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার মানুষজনকে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে।

   

রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নগরীতে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশকিছু তুলার বস্তা পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার গুদামে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার  গোডাউনে আগুন জ্বলে উঠে। এতে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। 

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দোতলায় একটি পাকা গোডাউন ঘর ছিল, সেখানে আগুন লাগলে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তুলার বস্তা ছাড়া অন্য কিছু পোড়া যায়নি।

তিনি বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

;

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

;

যাত্রী সংকটে বরিশাল-ঢাকা রুটে চলছে একটি লঞ্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট চরম আকার ধারন করেছে। এ কারণে জনপ্রিয় এই রুটে এখন একটিমাত্র লঞ্চ চলাচল করছে। মঙ্গলবার বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মাত্র একটি লঞ্চ। বুধবার (১৫ মে) ছেড়ে গেছে দুইটি। যা সাধারণ মানুষের কাছে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন উভয় রুটে ৭ থেকে ৮ টি লঞ্চ চলাচল করতো। সেখান থেকে কমে অর্ধেকে নেমে আসে। এখন তা একটিতে নেমে এসেছে।

বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের যাত্রী মো. লোকমান হোসেন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে মাত্র একটি লঞ্চ চলবে তা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রী সংকটের ফলে মালিক পক্ষের রোটেশনের কারনে একটি করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। কিন্তু দুইটি করে লঞ্চ চালানোর কথা ছিল।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৫/৭ শ’র বেশি যাত্রী হয় না। একটি লঞ্চ দিয়ে তা পরিবহন সম্ভব। তাই হয়তো মালিকরা মিলে একটি করে লঞ্চ চালাচ্ছে।

একটি করে লঞ্চ চালানোর জন্য যাত্রী ভোগান্তি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য ২০ টি লঞ্চ রয়েছে। 

প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৬/৭টি এবং একইভাবে বরিশাল থেকে ৬/৭টি ছেড়ে যেতো। ঈদ ও কোরবানির সময় একেকদিন ২০/২৫ টি লঞ্চও চলাচল করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী সংকট শুরু হয়। বর্তমানে যে যাত্রী রয়েছে তাতে দুইটি লঞ্চ ঠিক ছিল। কিন্তু একটি লঞ্চ চলাচল যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটি লঞ্চ চালানোর কারণে কেবিন নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নয়-ছয় করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি লঞ্চে ঠাসা যাত্রী। তবে সেটি ধারণ ক্ষমতার বেশি নয়। লঞ্চের নিচতলা ও দুই তলার ডেকে যাত্রী ভর্তি। লঞ্চ যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুইটি লঞ্চ থাকলে তারা স্বাচ্ছন্দে যেতে পারতেন। কিন্তু একটি লঞ্চ হওয়ায় গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, যত যাত্রী রয়েছে তা নিয়ে দুইটি লঞ্চ চললে আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই একটি লঞ্চ চালানো হচ্ছে। তারা স্বীকার করেছেন, একটি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা একটু গাদাগাদি হয়।

দেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নৌ-রুট বরিশাল-ঢাকা। লিফটসহ নানা অত্যাধুনিক সুবিধার লঞ্চগুলোতে এক সময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় থাকত। ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি,  প্রথম শ্রেণির এক শয্যা ও দুই শয্যার কেবিন, সোফা পেতে হেনস্তা হতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু পাল্টে দেয় সেই চিত্র। যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রী সংকটের অজুহাত দিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ মালিকরা সিন্ডিকেট করে। তারা রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এখনো যত সংখ্যক যাত্রী রয়েছে তাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লঞ্চ প্রয়োজন। কিন্তু মালিকরা বিআইডব্লিউটিএ ও যাত্রীদের জিম্মি করে একটি/দুইটি লঞ্চ চালায়। এতে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, যাত্রী সংকটে লঞ্চ এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রত্যেক লঞ্চ মালিক কম বেশি ঋন নিয়েছেন। তারা এখন ঠিকমতো ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। একটি লঞ্চ ব্যাংক নিয়ে গিয়ে কেটে বিক্রি করছে। এক স্বনামধন্য কোম্পানীর একটি লঞ্চ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

শুধু ঢাকা বরিশাল নয়, দক্ষিনাঞ্চলের সকল রুটে যাত্রী নেই জানিয়ে সুন্দরবন নেভিগেশনের মালিক রিন্টু বলেন, এ ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।

;

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

;