আন্দোলনে ২ হাজার মানুষকে খুন করেছে হাসিনা: মির্জা ফখরুল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২ হাজার মানুষকে খুন করেছে শেখ হাসিনা উল্লেখ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে সব রকম ভাবে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত করার কারণে আমাদের জেলে রাখা হয়েছে। নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার চালানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা ঈদগাহ ময়দান মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে এক জনসভায় এসব বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ক্ষমা করেননা। তিনি যাকে খুশি মালিক বানান আবার যাকে খুশি ফকির বানিয়ে দেন। শেখ হাসিনা নিজেকে রাজরাণী মনে করেছিল। তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। গণভবনে ছাত্র-জনতার আগমন দেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়েছেন। প্রভাবশালী হাসিনা ভয়ে ভারতে গিয়ে করুণ অবস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি নিজে এগারো বার কারা বরণ করেছি। যারা আমাদের উপর নির্যাতন করেছে। আমাদের শাসন করেছে, জমি দখল করেছে তারা এখন জেলে। বিএনপি-জামায়াতের মানুষদের নির্যাতন করার জন্য তারা আয়না ঘর বানিয়েছিলেন। গোলাম আজমের ছেলে আজমীকে ৮ বছর ধরে আয়নাঘরে নির্যাতন করেছে। আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে তারা গুম করেছে। এখনো অনেক মানুষের খবর আমরা পাইনি।

সীমান্তে গুলি করলে কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ভারত সীমান্তে আমাদের গুলি করে। আমরা ভালোভাবে থাকতে চাই। তবে গুলি করলে প্রতিবাদ করা হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে। আমাদের সবার কাছে প্রিয় হতে হবে। আওয়ামী লীগের মতন আচরণ করলে তাদের মতন আমাদের পরিণত হবে।

ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে তিনি বলেন, উনি বলতেন খেলা হবে পালাব না। পালালে দেশের বাইরে যাব না। আমার বাসায় আসবেন। এখন তিনি কোথায় চলে গেছেন তা দেশবাসীও জানেনা। অনেকে বলে ভারতে চলে গেছেন। এই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ছিলেন বলেই আজ পালিয়ে যেতে হয়েছে।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দীন,সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।