সবুজায়ন ও প্লাস্টিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব খেলাধুলার আয়োজন করে বিডিডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেড। একইসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলিরও আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
রাজধানীর খিলগাঁওস্থ বিডিডিএল গোল্ড প্যালেস খেলার মাঠে শনিবার (২ মার্চ) ‘কিচিরমিচির’ শিরোনামে দিনব্যাপী এ আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। বিডিডিএল গোল্ড প্যালেসের দশতলা বিশিষ্ট দুইটি ভবনের ৯০টি পরিবারের শিশুরা এসব খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিডিডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বি কে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম এ বাতেন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, এলা প্যাড-এর প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রহমান, বিডিডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রকৌশল বিভাগের এজিএম প্রকৌশলী হারুন-অর-রশীদ, হেড অফ সেলস মুসা ইবনে মতিউর প্রমূখ।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় এম এ বাতেন খান বলেন, ‘বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা মোবাইল ও ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ দিতে চাই। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টি করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। আমরা চাই, আমাদের শিশুরা সবুজের সঙ্গে পরিচিত হোক, সবুজের সংস্পর্শে বেড়ে উঠুক। আমরা চাই আমাদের আগামী প্রজন্ম গাছ, চিনবে, ফুল চিনবে, ফলও চিনবে। এ সময়ের ছেলে-মেয়েরা অনেক পিঠার নাম জানে না। এমনকি চিনেও না। অথচ পিঠা আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য তাদের সামনে তুলে ধরা এবং তাদেরকে জাঙ্ক ফুডের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে ‘প্লাস্টিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ কাজ করে চলেছেন তিনি। পাবনার বেড়া উপজেলার দয়ালনগর গ্রামে বাহারুন্নেসা পাবলিক লাইব্রেরি গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিডিডিএল গোল্ড প্যালেসেও সাড়ে ছয় কাঠা জমিতে খেলার মাঠ করা হয়েছে। এই প্যালেসের ছাদ ছাড়াও চারপাশে প্রায় ২৫০ রকমের নানা প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। শহরের মাঝে সবুজের সাথে আধুনিক বসবাস করছে এখানকার বাসিন্দারা। দোলনা, স্লিপার ও বিভিন্ন রাইড নিয়ে প্লে-লট করা হয়েছে। বড়দের গল্প, আড্ডা ওয়াকওয়ে পর্যাপ্ত জায়গা আছে এই কমপ্লেক্সে।
এখানকার মাঠ, পার্কের নামকরণ করা হয়েছে ক্রিকেট তারকা মাশরাফি, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, ব্রজেন দাসের নামে। আর ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কর্নার করা হয়েছে, যেখানে বই পড়া, আড্ড দেওয়া, গাছ চেনা এবং জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগগুলো ছিলো-বালির মধ্যে ঘর বানানো এবং উক্ত প্রকল্পের সম্পূর্ণ লে-আউট তৈরি করা, প্রকল্পের বসবাসরত ছেলে মেয়েরা তাদের বিল্ডিং বালি দিয়ে তৈরি করবে এবং তার ফ্ল্যাটের অবস্থান নির্ণয় করবে। এতে তাদের মেধা বিকাশে সহয়তা করবে।
কিচিরমিচির উৎসবের দৌড় প্রতিযোগিতাও ছিল ভিন্ন ধাঁচের। কে দৌড়ে গাছে পানি দিয়ে আগে শুরুর জায়গায় ফিরে আসতে পারবে, সেটাই ছিল প্রতিযোগিতার বিষয়। সবুজের সঙ্গে দুরন্তপনায় বেড়ে উঠুক ছেলে মেয়েরা-এ বার্তা পৌঁছে দিতে এ দৌড় প্রতিযোগিতার শিরোনাম রাখা হয়েছিল ‘রান ফর ট্রি’।
এই খেলার উদ্দেশ্য, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যেন নিজ বাসায় পাছের যত্ন নেয়া শিখে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা শিখে। প্লাষ্টিক বর্জ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলাও শেখানো হয়েছে খেলার মাধ্যমে। এই খেলার মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা নিজের পরিবেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা শিখেছে।