এশিয়া কাপে নারীদের দলে ফিরলেন রুমানা-জাহানারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন নারী এশিয়া কাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। চমক হিসেবে দলে ফেরানো হয়েছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জাহানারা আলম এবং রুমানা আহমেদকে। আগামী ১৯ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই আসর।

প্রায় এক বছর দলের বাইরে থাকার পর ফিরেছেন জাহানারা ও রুমানা। ডিপিএলে আবাহনীর অধিনায়কত্ব করা জাহানারা নয় ইনিংসে আসরের সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট শিকার করেছেন। রুমানা দেখিয়েছেন দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স। বল হাতে ১৭ উইকেটের সঙ্গে ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে ২৪১ রান করেন রুমানা।

এ দুজনকে ফেরানো ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন বলেন, ‘রুমানা ও জাহানারার ব্যাপারে একটা ব্যাপারই বলবো, ওরা প্রায় এক বছর দলের বাইরে ছিল। ঢাকার বাইরে মেয়েদের অনুশীলন করা খুব কঠিন। ওরা যে ফিটনেস ও পারফরম্যান্স এই লেভেলে ধরে রেখেছে। এটা দারুণ, সত্যি কথা বিশাল ব্যাপার। ওদের অভিজ্ঞতা আমাদের বাড়তি সুবিধা দেবে।’

তবে নিয়মিতদের মধ্যে বাদ পড়েছেন সোবহানা মোস্তারি। সদ্য শেষ হওয়া ডিপিএলের পারফর্ম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দলে নেওয়া হয়েছে দুই নতুন মুখ। তারা হলেন ব্যাটার ইশমা তানজিম এবং বাঁ-স্পিনার সাবিকুন নাহার জেসমিন। ইশমা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন রূপালী ব্যাংকের হয়ে নয় ইনিংসে ৩৭.৮৬ গড় আর ১০০ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ২৬৫ রান করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে সাবিকুন নাহার মোহামেডানের হয়ে নয় ইনিংসে নিয়েছেন ১৪ উইকেট।

বাংলাদেশের এশিয়া কাপ স্কোয়াড: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), দিলারা আক্তার, রুমানা আহমেদ, রিতু মণি, মারুফা আক্তার, জাহানারা আলম, রাবেয়া খাতুন, সুলতানা খাতুন, রাবেয়া হায়দার ঝিলিক, স্বর্ণা আক্তার, ইসমা তানজিম, সাবিকুন নাহার জেসমিন ও শরীফা খাতুন।

ব্রাজিল কোচের কাছে প্রতিটা ম্যাচই নির্ণায়ক 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপায় শিরোপা পুনরুদ্ধারের আসরের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি ব্রাজিলের। গত ২৫ জুন গ্রুপপর্বে কোস্টা রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ করেছে সেলেসাওরা। যদিও সেই ম্যাচে খেলোয়াড়দের পারফর্ম নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বেশ সুনাম করেছিলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। প্রশংসা করেন নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও। আগের ম্যাচের ফলাফল নিয়ে যদিও খুব একটা ভাবছেন না দরিভাল। তবে তার মতে, দলের জন্য প্রতিটা ম্যাচই নির্ণায়ক। 

অবশ্য এই সময়ে এসে প্রতিটা ম্যাচ নির্ণায়ক হিসেবে না ভেবেও যে উপায় নেই ব্রাজিলের। কেননা কোস্টা রিকার বিপক্ষে ড্রয়ের পর এখন গ্রপপর্বে দুই ম্যাচের কোনোটিতে হোঁচট খেলেই বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যেতে পারে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোদের। ‘ডি’ গ্রুপে শীর্ষে আছে দারুণ ছন্দে থাকা কলম্বিয়া। এদিকে প্যারাগুয়েও কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। তাদের বিপক্ষে আগামীকাল গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে দরিভাল জুনিয়রের দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। 

প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি সামনে রেখে তাই দরিভাল বলেন, ‘প্রতিটা ম‍্যাচই নির্ণায়ক, সেটা প্রীতি ম‍্যাচই হোক না কেন। ব‍্যাপারটা সব সময় একই থাকবে। আমরা এখান থেকে বের হতে পারব না।’ 

দরিভালের মতে এটা দলের পরিবর্তনের সময়। এই কোপা দিয়েই ব্রাজিলের হয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করছেন ৬২ বছর বয়সী এই কোচ। তার কাছে প্রতিটা ম্যাচে দলের নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক দিকটাই বেশি আছে। ‘আমাদের বুঝতে হবে, এটা পরিবর্তনের সময়, পালাবাদলের সময়। একটা দল রাতারাতি তৈরি করা যায় না… এটা সহজাত প্রক্রিয়া। স্রেফ সবশেষ ম‍্যাচ নয়, প্রতিটা ম‍্যাচে দল নেতিবাচকতার চেয়ে ইতিবাচকতা বেশি দেখাচ্ছে।’

এদিনও কোস্টা রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ফলাফল ছাপিয়ে দলের ফুটবলারদের আরও একবার প্রশংসায় ভাসালেন দরিভাল। ‘এটা স্বাভাবিক যে আমরা সবাই গত ম‍্যাচেন (কোস্টা রিকার বিপক্ষে) ভিন্ন ফল প্রত‍্যাশা করেছিলাম। তবে আমরা যেভাবে পারফর্ম করেছি, এর প্রশংসা না করে পারা যায় না।’ 

১ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল আছেনগ্রুপপর্বের তালিকার দুইয়ে। এদিকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কলম্বিয়া। 

;

এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে সময় দেখেননি তাসকিন 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৭ ম্যাচে ২১.৮৫ ব্যাটিং গড়ে ১৫৩ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতেই বোঝা যায় চলতি আসরে বাংলাদেশি ব্যাটাররা ছিল কতটা ফর্মহীন। পুরো আসরে দলের বোলাররা কাজটা অনেক সহজ করে দিলেও ব্যাটাররা একের পর এক দলকে করেছে হতাশ। নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শেষে দলের ব্যাটিংয়ের এমন হতশ্রী পারফর্ম সহসা মেনে নিলেন তাসকিন আহমেদও। 

এক দশক আগে ২০১৪-তে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন তাসকিনের। তার এই ১০ বছরের এই ক্যারিয়ারে এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে অবস্থা দেখেননি তাসকিন। 

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ এবং সবশেষ বিশ্বকাপ, তিন জায়গাতেই বাংলাদেশ দলের একটাই ড্রব্যাক, ব্যাটিংয়ে ছন্দহীন পারফর্ম। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ (শুক্রবার) সকালে দেশের ফিরে এয়ারপোর্টে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয়, টু বি অনেস্ট, প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন ব্যাটারদের প্রতি সাহায্যটা কম ছিল, আপনি যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্যান্য দেশও ভুগেছে। ওখানে বোলারদের একটু সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর উইকেট হয়তো কিছুটা ভালো হয়েছে, কিন্তু তাও আসলে এত লম্বা সময় ধরে ব্যাটিংয়ে বাজে সময় দেখিনি, দশ বছর ধরে খেলছি, এটা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে দল, আশা করি।’

তাসকিন কথা বলেন সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়েও। সেখানে দল অনেকটাই কাছে ছিল সেমিতে ওঠার। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও জিততে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে ভক্তদের মতো নিজেদের হতাশার কথাও শোনালেন তাসকিন। 

‘আসলে যে জিনিসগুলো হয়ে গেছে, আমরাও একটু দুঃখ পেয়েছি। ভক্ত-ক্রিকেটপ্রেমীদের সবাই একটু দুঃখিত যে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল হয়নি। কয়েকটা ম্যাচে হয়তো আমাদের জেতার কথা ছিল, তা আমরা পারিনি। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা যেটা, ১২.১ ওভারে আমাদের চেজ করার ইন্টেন্ট সবারই ছিল, সেভাবেই খেলাটা শুরু করেছিলাম। একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন মনে হলো আর হবে না ১২ ওভারে, তখন সাধারণভাবে জেতার চেষ্টা করা… এই পরিকল্পনাটা ছিল আমাদের। এরপর সে চেষ্টাটা করেও আমরা পারিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে। কি আর করা!’ 

;

পজিটিভ দিক আছে, তবে নেগেটিভের সংখ্যাটাই বেশি: তাসকিন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের কেটেছে মন্দের ভালো। গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে শান্তরা জিতেছে তিন ম্যাচ। বিশ্বকাপ মিশন শেষে আজ সকাল ৯টায় ঢাকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। দেশে পৌঁছেই এয়ারপোর্টে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। তার মতে, এই বিশ্বকাপের দলের কিছু পজিটিভ দিক আছে, তবে নেগেটিভের সংখ্যাটাই বেশি। 

গ্রুপপর্বে চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতে সুপার এইটে পৌঁছায় শান্ত-তাসকিনরা। তবে সুপার এইটে তিন ম্যাচের একটিতেও জেতেনি তারা। সবশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২ ওভার ১ বলে তুললেই প্রথমবারের মতো সেমিতে উঠে যেত বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচটিও হেরে যায় তারা। এতেই বিশ্বকাপে দলের পারফর্মে ইতিবাচক দিকের চেয়ে নেতিবাচক দিকটাই বেশি দেখছেন তাসকিন। 

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, ‘পজিটিভ দিক আছে। বোলিং ডিপার্টমেন্ট ভালো করেছে পুরো টুর্নামেন্টে, সুপার এইটে উঠেছি, প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩টা জয় পেয়েছি…পজিটিভ দিক আছে, তবে নেগেটিভের সংখ্যাটাই বেশি। সবার মতো আমরাও হতাশ, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’

তাসকিন নেতিবাচক দিকটা মূলত দেখছেন ব্যাটিং বিভাগ নিয়েই। তবে আসরের শুরু থেকেই বোলাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। এতে বোলারদের আলাদাভাবে প্রশংসা করলেন তিনি। তবে আশা রাখছেন আরও ভালো পারফরম্যান্সের দিকে। ‘বোলিং ইউনিট শেষ কয়েক বছর ধরেই ভালো করে আসছে। আল্লাহর রহমতে সে ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখছে ইউনিটটা। সামনে আরও ভালো হবে, ভালোর তো কোনো শেষ নেই।’ 

;

বিশ্বকাপ শেষে ঢাকায় ফিরল বাংলাদেশ দল

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ এক যাত্রাই ছিল বৈকি! গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর দিয়ে শুরু। সেখানে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে এরপর লম্বা এক বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তা শেষে আজ শুক্রবার ঢাকায় পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। 

বিশ্বকাপটা এবার ভালো-মন্দের মিশেলে কেটেছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। নিজেদের ইতিহাসে এক বিশ্বকাপে এত বেশি ম্যাচ কখনোই খেলেনি বাংলাদেশ দল। ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো খেলেছে সুপার এইটে।

যদিও সামগ্রিক বিচারে এই সাফল্য নেহায়েত নগণ্যই। শেষ ম্যাচে হিসেব কষে জিততে পারলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে সুপার এইট দিয়েই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।

এই বিশ্বকাপের মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ সকাল ৯টায় ঢাকায় পা রাখেন তাসকিন আহমেদরা। 

বিশ্বকাপ মিশনটা গেল ২৫ জুন শেষ হয়েছে দলের। অ্যান্টিগা থেকে বাংলাদেশ ঢাকার পথে যাত্রা শুরু করে গত বুধবার। সেখান থেকে মায়ামি, দুবাই হয়ে আজ সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে টাইগাররা। 

বিশ্বকাপের আসরে গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে সাত ম্যাচে তিনটিতে জয় পায় বাংলাদেশ, যার সবগুলোই গ্রুপপর্বে। ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে ২২ ছুঁইছুঁই গড় ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ১৫৩ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। দলের বাকি ব্যাটারদের পারফর্ম ছিল পুরোদস্তুর ছন্নছাড়া। 

শুরু থেকেই অবশ্য পারফর্ম করেছে দলের বোলিং বিভাগ। ৭ ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪টি উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। যা সুপার এইটের শেষ পর্যন্ত ছিল আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ। 

;