শুভ জন্মদিন ফুটবল জাদুকর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে লিওনেল মেসি, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে লিওনেল মেসি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবছরই জুনের শেষ দিকটা লিওনেল মেসির ভক্ত ও সমর্থকদের কাছে বিশেষ কিছু। আজ ২৪ জুন, আজই সেই বিশেষ দিন! কারণ ২৪ জুন যে মেসির জন্মদিন!

নিজে খেলা, অন্যকে খেলানো; নিজের গোল, সতীর্থের গোল, সর্বত্রই মেসির মনোযোগ সমান, সেটা একেবারে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। মোহজাগানিয়া সব ড্রিবলে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ছিঁড়েফুঁড়ে গিয়ে জালে বল জড়ানো যেমন তার দক্ষতা, তেমনি সমান দক্ষতা তার সতীর্থদের দিয়ে গোলটা করাতেও। এতটাই যে, নতুন ম্যারাডোনা হবেন কে- এ প্রশ্নের জবাবে কিংবদন্তি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা নিজ মুখে বলে দিয়েছিলেন মেসির নাম!

২০০৬ বিশ্বকাপে সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে ম্যাচে তার অভিষেকের দিনের কথাটা ভাবুন একবার। মেসি যখন মাঠে নামছেন বদলি হিসেবে, তখন ম্যারাডোনার দিকে ক্যামেরা চলে গিয়েছিল; ম্যারাডোনাকে এর মতো উন্মত্ত এর আগে-পরে কবে দেখা গেছে, তা বড় একটা গবেষণারই বিষয় বটে!

সে সার্বিয়া-মন্টেনেগ্রো ম্যাচ তো বটেই, এরপর আরও বহুবার বহু পারফরম্যান্সে মেসি বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন খোদ ম্যারাডোনা তাকে নিজের উত্তরাধিকার দিয়েছেন। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। প্রথম ব্যালন ডি’অর যখন হাতে নিচ্ছেন, তখন তার বয়স মোটে ২২ বছর! এরপর একবার নয়, দুইবার নয়, ব্যালন ডি’অর জিতলেন আটবার।

অভিষেকের আগে থেকেই ম্যারাডোনা মেসির ভক্ত। অভিষেকের পর নিজের মোহময় সব পারফরম্যান্স দিয়ে আরও কতশত রথী-মহারথীকে নিজের ভক্ত বানিয়েছেন মেসি, তার ইয়ত্তা নেই। কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ তাদেরই একজন।

সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবল ব্যক্তিত্ব তার ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকেই বলে দিয়েছিলেন, ছেলেটা ক্যারিয়ার শেষ করবে কম করে হলেও সাতটা ব্যালন ডি’অর নিয়ে। মেসি পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যারাডোনার কথা রেখেছেন, রেখেছেন ক্রুইফের কথাও। বরং তার চেয়ে একটা বেশিই আদায় করে নিয়েছেন।

তবে শুধু তাতে তো আর আর্জেন্টিনার মন ভরে না! শিরোপা চাই! দীর্ঘকাল যে দেশটিতে শিরোপা নিয়ে প্যারেডের উপলক্ষ এনে দেয়নি তাদের জাতীয় ফুটবল দল! ২০০৬ সাল থেকে সে ব্যর্থতার সঙ্গী ছিলেন মেসি নিজেও।

বার্সেলোনায় সুবর্ণ সময় কাটিয়ে এসে আর্জেন্টিনার জার্সিটা পরলেই যেন মেসির সব রঙ হারিয়ে যেত। মেসির সব রূপ যেন তোলা ছিল আটলান্টিকের ওপারের জন্যই, এপারের জন্য কিছু নয়! ক্যারিয়ার একটু বড় হতে সে অপবাদটা ঘোচালেন তিনি, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়েও নিজের জাদু দেখালেন।

এক, দুই, তিন করে শিরোপা ধরা দিতে দিতেও দিল না টানা তিন বছর। এ যাত্রার নিউক্লিয়াস ছিলেন খোদ মেসি, সেই মেসির কুশপুতুল পোড়াতেও দ্বিধা করেনি বুয়েনস আয়ার্স, লা প্লাতা, করদোবার মানুষ। 

মেসির মনে তাই দুঃখ রয়েই যায়। শেষবার তো হাপুস নয়নে কেঁদেই ফেললেন জনসম্মুখে। এরপর অভিমানে বিদায়ও বলে দিলেন জাতীয় দলকে। এমন অসুখ আর কাহাতক সহ্য করা যায়? 

আর্জেন্টিনার হয়ে এইসব গঞ্জনা যখন সয়েছেন মেসি, তখন সময়টা কিন্তু ছিল এই জুন মাসই। সে ধারাটা অবশ্য কেটে গেছে বছর দুয়েক আগেই। ২০২১ সালেই যে চির আক্ষেপ ঘুচিয়ে চির অধরা আন্তর্জাতিক ট্রফিটায় চুমু এঁকেছিলেন। আর্জেন্টিনার হয়ে আরও একটা শিরোপা এই গত বছর জুনেই জিতেছেন, ইতালিকে হারিয়ে লা ফিনালিসিমা শিরোপা।

তবে এত কিছুর পরও একটা আক্ষেপ থেকেই গিয়েছিল তার। আট বছর আগে যে শিরোপাটা জেতা থেকে মেসি ছিলেন হাতছোঁয়া দূরত্বে, সে বিশ্বকাপটা গেল বছর নিয়ম বদলে তা চলে গেল নভেম্বর-ডিসেম্বরে। তার অপেক্ষাটা বাড়ল আরও একটু। অপেক্ষা বাড়লেও এবার নিয়তি তাকে নিরাশ করেনি। ৭ গোল, ৩ অ্যাসিস্ট করে তার নিয়তিটাকে যে তিনি গড়েছিলেন নিজেই! তার ফলেই তো বিশ্বকাপের শিরোপায় চুমুটা আঁকতে পারলেন, অবশেষে!

সেই এক শিরোপাই তাকে বদলে দিয়েছে খোলনলচে। না, মেসি বলতেই আমাদের চোখে যে শান্ত-সুবোধ বালকের চেহারা ভেসে ওঠে, সেখান থেকে মেসি রীতিমতো জন উইক গোছের কিছু হয়ে যাননি! আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখন একটু কম মাথা ঘামান আর সব কিছু নিয়ে; এতটাই যে, তাকে দুয়ো দিচ্ছে সমর্থকরা, সেখানে কানই নেই তার! এতটাই যে, ইউরোপ ছেড়েও চলে গেছেন দ্বিতীয়বার কোনো ভাবনা না দিয়েই। সবকিছু হয়েছে, কারণ সব কিছুই যে জেতা হয়ে গেছে এখন তার! আর কী বাকি আছে!

বর্তমানে কোপা আমেরিকা মিশনে পুরো দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আছেন মেসি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্ব বেশ সহজেই টপকে যাবে আলবিসেলেস্তেরা এমনটাই আশা করেন সমর্থকরা। এমনকি নিজের বর্ণিল ক্যারিয়ারে আরেকটি শিরোপা যোগ করতেই চাইবেন মেসি। দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা শিরোপার দিকেই আপাতত মনোযোগ আছে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে অন্যতম এই ফুটবল জাদুকরের।

ফাইনালেই ছন্দে ফিরবেন কোহলি, আশা কোচ ও অধিনায়কের 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিসংখ্যানও যেন বিরাট কোহলির এমন ফর্ম মানতে পারছে না। এর আগের চার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন দুই অঙ্কের আগে ফিরেছেন কেবল দুবার, সেখানে চলতি বিশ্বকাপে ১০ আগের আগে আউট হয়েছেন পাঁচবার। বিশ্বকাপের ঠিক আগে আইপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকলেও বিশ্বকাপের আসরে সেই ছন্দের যেন ধারেকাছেও নেই কোহলি। এতেই অনেকেই তার একাদশে বা ওপেনিংয়ে নামা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। তবে কোহলির এই ফর্মহীনতা মোটেও ভাবাচ্ছে না ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার মতে, দ্রুতই রানে ফিরবেন কোহলি। 

গতকাল ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। সেখানে শুরুটা আশাজাগানিয়া হলেও কেবল ৯ রান করেই ফিরেছেন কোহলি। এতে আরও একবার দলের এই তারকা ব্যাটার নিজের নামের সুবিচার না করতে পারলেও তাকে নিয়ে কোনো ধরণের দ্বিধায় নেই রোহিত। ম্যাচে শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝি সে (কোহলি) কোন মানের ক্রিকেটার। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়। সম্ভবত ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে।’ 

চলতি আসরে সাত ইনিংসেই ওপেনিংয়ে নামা কোহলির মোট রান ৭৫। যেখানে গড় মাত্র ১০.৭১ স্ট্রাইক রেট ১০০। এই আসরের বিরাটের পরিসংখ্যানের খাতাটা মলিন হলেও আশার বাণী শোনালেন দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও। ‘বিরাটকে আপনারা জানেন। একটু রিস্ক নিয়ে খেললে সবসময় সফল হওয়া যায় না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওর ইনটেন্ট ভালো লেগেছে। এমন কিছু বলতে চাই না, যাতে হিতে বিপরীত হয়। তবে আমার মনে হয় বড় কিছুই আসছে। তার আচরণ ভালো লাগে এবং মাঠে যেভাবে নিজেকে নিংড়ে দেয়-আমার মনে হয় তার রানে ফেরা ওর প্রাপ্য।’ 

নিজেকে প্রমাণ করতে এই আসরে সুযোগ হিসেবে একটি ম্যাচই পাচ্ছেন কোহলি। সেটিও আবার ফাইনালের মঞ্চে। ১৬ বছরের চলমান ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন কোহলি। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে করেছিলেন ৩৫ রান। পরে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৮ বলে ৭৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। দুই ফাইনালের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে তাই আরও এক ফাইনালে রানে ফিরতে মরিয়া এই ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ব্যাটার। 

;

ব্রাজিল কোচের কাছে প্রতিটা ম্যাচই নির্ণায়ক 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপায় শিরোপা পুনরুদ্ধারের আসরের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি ব্রাজিলের। গত ২৫ জুন গ্রুপপর্বে কোস্টা রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ করেছে সেলেসাওরা। যদিও সেই ম্যাচে খেলোয়াড়দের পারফর্ম নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বেশ সুনাম করেছিলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। প্রশংসা করেন নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও। আগের ম্যাচের ফলাফল নিয়ে যদিও খুব একটা ভাবছেন না দরিভাল। তবে তার মতে, দলের জন্য প্রতিটা ম্যাচই নির্ণায়ক। 

অবশ্য এই সময়ে এসে প্রতিটা ম্যাচ নির্ণায়ক হিসেবে না ভেবেও যে উপায় নেই ব্রাজিলের। কেননা কোস্টা রিকার বিপক্ষে ড্রয়ের পর এখন গ্রপপর্বে দুই ম্যাচের কোনোটিতে হোঁচট খেলেই বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যেতে পারে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোদের। ‘ডি’ গ্রুপে শীর্ষে আছে দারুণ ছন্দে থাকা কলম্বিয়া। এদিকে প্যারাগুয়েও কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। তাদের বিপক্ষে আগামীকাল গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে দরিভাল জুনিয়রের দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। 

প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি সামনে রেখে তাই দরিভাল বলেন, ‘প্রতিটা ম‍্যাচই নির্ণায়ক, সেটা প্রীতি ম‍্যাচই হোক না কেন। ব‍্যাপারটা সব সময় একই থাকবে। আমরা এখান থেকে বের হতে পারব না।’ 

দরিভালের মতে এটা দলের পরিবর্তনের সময়। এই কোপা দিয়েই ব্রাজিলের হয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করছেন ৬২ বছর বয়সী এই কোচ। তার কাছে প্রতিটা ম্যাচে দলের নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক দিকটাই বেশি আছে। ‘আমাদের বুঝতে হবে, এটা পরিবর্তনের সময়, পালাবাদলের সময়। একটা দল রাতারাতি তৈরি করা যায় না… এটা সহজাত প্রক্রিয়া। স্রেফ সবশেষ ম‍্যাচ নয়, প্রতিটা ম‍্যাচে দল নেতিবাচকতার চেয়ে ইতিবাচকতা বেশি দেখাচ্ছে।’

এদিনও কোস্টা রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ফলাফল ছাপিয়ে দলের ফুটবলারদের আরও একবার প্রশংসায় ভাসালেন দরিভাল। ‘এটা স্বাভাবিক যে আমরা সবাই গত ম‍্যাচেন (কোস্টা রিকার বিপক্ষে) ভিন্ন ফল প্রত‍্যাশা করেছিলাম। তবে আমরা যেভাবে পারফর্ম করেছি, এর প্রশংসা না করে পারা যায় না।’ 

১ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল আছেনগ্রুপপর্বের তালিকার দুইয়ে। এদিকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কলম্বিয়া। 

;

এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে সময় দেখেননি তাসকিন 

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৭ ম্যাচে ২১.৮৫ ব্যাটিং গড়ে ১৫৩ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। যা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতেই বোঝা যায় চলতি আসরে বাংলাদেশি ব্যাটাররা ছিল কতটা ফর্মহীন। পুরো আসরে দলের বোলাররা কাজটা অনেক সহজ করে দিলেও ব্যাটাররা একের পর এক দলকে করেছে হতাশ। নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শেষে দলের ব্যাটিংয়ের এমন হতশ্রী পারফর্ম সহসা মেনে নিলেন তাসকিন আহমেদও। 

এক দশক আগে ২০১৪-তে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগমন তাসকিনের। তার এই ১০ বছরের এই ক্যারিয়ারে এত লম্বা সময় ধরে দলের ব্যাটিংয়ের বাজে অবস্থা দেখেননি তাসকিন। 

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ এবং সবশেষ বিশ্বকাপ, তিন জায়গাতেই বাংলাদেশ দলের একটাই ড্রব্যাক, ব্যাটিংয়ে ছন্দহীন পারফর্ম। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ (শুক্রবার) সকালে দেশের ফিরে এয়ারপোর্টে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয়, টু বি অনেস্ট, প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন ব্যাটারদের প্রতি সাহায্যটা কম ছিল, আপনি যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্যান্য দেশও ভুগেছে। ওখানে বোলারদের একটু সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর উইকেট হয়তো কিছুটা ভালো হয়েছে, কিন্তু তাও আসলে এত লম্বা সময় ধরে ব্যাটিংয়ে বাজে সময় দেখিনি, দশ বছর ধরে খেলছি, এটা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে দল, আশা করি।’

তাসকিন কথা বলেন সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়েও। সেখানে দল অনেকটাই কাছে ছিল সেমিতে ওঠার। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও জিততে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে ভক্তদের মতো নিজেদের হতাশার কথাও শোনালেন তাসকিন। 

‘আসলে যে জিনিসগুলো হয়ে গেছে, আমরাও একটু দুঃখ পেয়েছি। ভক্ত-ক্রিকেটপ্রেমীদের সবাই একটু দুঃখিত যে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল হয়নি। কয়েকটা ম্যাচে হয়তো আমাদের জেতার কথা ছিল, তা আমরা পারিনি। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা যেটা, ১২.১ ওভারে আমাদের চেজ করার ইন্টেন্ট সবারই ছিল, সেভাবেই খেলাটা শুরু করেছিলাম। একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন মনে হলো আর হবে না ১২ ওভারে, তখন সাধারণভাবে জেতার চেষ্টা করা… এই পরিকল্পনাটা ছিল আমাদের। এরপর সে চেষ্টাটা করেও আমরা পারিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে। কি আর করা!’ 

;

পজিটিভ দিক আছে, তবে নেগেটিভের সংখ্যাটাই বেশি: তাসকিন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের কেটেছে মন্দের ভালো। গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে শান্তরা জিতেছে তিন ম্যাচ। বিশ্বকাপ মিশন শেষে আজ সকাল ৯টায় ঢাকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। দেশে পৌঁছেই এয়ারপোর্টে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। তার মতে, এই বিশ্বকাপের দলের কিছু পজিটিভ দিক আছে, তবে নেগেটিভের সংখ্যাটাই বেশি। 

গ্রুপপর্বে চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতে সুপার এইটে পৌঁছায় শান্ত-তাসকিনরা। তবে সুপার এইটে তিন ম্যাচের একটিতেও জেতেনি তারা। সবশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২ ওভার ১ বলে তুললেই প্রথমবারের মতো সেমিতে উঠে যেত বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচটিও হেরে যায় তারা। এতেই বিশ্বকাপে দলের পারফর্মে ইতিবাচক দিকের চেয়ে নেতিবাচক দিকটাই বেশি দেখছেন তাসকিন। 

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তাসকিন বলেন, ‘পজিটিভ দিক আছে। বোলিং ডিপার্টমেন্ট ভালো করেছে পুরো টুর্নামেন্টে, সুপার এইটে উঠেছি, প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩টা জয় পেয়েছি…পজিটিভ দিক আছে, তবে নেগেটিভের সংখ্যাটাই বেশি। সবার মতো আমরাও হতাশ, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’

তাসকিন নেতিবাচক দিকটা মূলত দেখছেন ব্যাটিং বিভাগ নিয়েই। তবে আসরের শুরু থেকেই বোলাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। এতে বোলারদের আলাদাভাবে প্রশংসা করলেন তিনি। তবে আশা রাখছেন আরও ভালো পারফরম্যান্সের দিকে। ‘বোলিং ইউনিট শেষ কয়েক বছর ধরেই ভালো করে আসছে। আল্লাহর রহমতে সে ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখছে ইউনিটটা। সামনে আরও ভালো হবে, ভালোর তো কোনো শেষ নেই।’ 

;