কোয়ার্টারে খেলবেন মেসি, জানালেন লাওতারো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকায় সবশেষ ম্যাচে রবিবার সকালে পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি আর্জেন্টিনার তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। চোটের কারণে এই ম্যাচে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। যদিও মেসিকে ছাড়াই ২-০ গোলের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা, দুটি গোলই করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ।

সামনেই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। খুব স্বাভাবিকভাবেই দল ও সমর্থকরা শঙ্কায় আছেন মেসিকে নিয়ে, প্রশ্ন উঠছে সেই ম্যাচে মেসিকে পাওয়া যাবে কিনা। তবে শঙ্কা কাটিয়ে আর্জেন্টাইন ভক্তদের সুখবর দিয়েছেন লাওতারো মার্তিনেজ।

আজ আর্জেন্টিনার ম্যাচে দুটি গোলই এসেছে মার্তিনেজের পা থেকে। জোড়া গোলের পর ডাগআউটে বসে থাকা লিওনেল মেসির কাছেও ছুটে গিয়েছেন মার্তিনেজ। তাকে জড়িয়ে ধরে উদযাপনে মেতেছেন। তাছাড়া এবার যে মার্তিনেজের সময়টাও কাটছে বেশ। গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচেই গোল পেয়েছেন তিনি। তার গোলের সংখ্যা ৪টি। হয়ে উঠছেন দলের প্রধান অস্ত্র।

এমন দিনে ম্যাচসেরা হয়ে তিনি জানিয়েছেন মেসির বর্তমান অবস্থা নিয়েও। তিনি বলেন, ‘লিও (মেসি) ভালো আছে। আশা করি সে পরের ম্যাচে খেলবে। আমি গোলটা তাকে উৎসর্গ করেছি। কারণ, আমি জানি আমাদের কাছে তার মূল্য কী!’

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ভালো করলেও সমালোচিত হতে হয়েছিল মার্তিনেজকে। বেশ কিছু সহজ সুযোগ মিস করে আর্জেন্টিনাকে কঠিন বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার কোপায় তিনিই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আর্জেন্টিনাকে। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের সূত্র ধরে মার্তিনেজ বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, বিশ্বকাপে পাওয়া যন্ত্রণার কাঁটা থেকে মুক্তিলাভের জন্য আমি প্রস্তুত। আমার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভালো করে প্রস্তুতি নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা যে আমি করতে পেরেছি, তা করে দেখাচ্ছি।’

পেরুর বিপক্ষে এই ম্যাচেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। তার ওপর দলে নেই মেসি। স্কালোনিও নিষেধাজ্ঞার কারণে নেই মাঠে। তাই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়েছে মার্তিনেজকে। আর সেটা পালন করতে পেরে, দলকে জেতাতে পেরে আনন্দিত মার্তিনেজ নিজেও। বলেন, ‘আমি খুশি। কারণ, গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে গোল করতে পেরেছি। আমি দলকে সহায়তা করতে পেরেও খুশি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো লাগছে খুব।’

ঘুম কাণ্ডে ভারত ম্যাচ মিস, ক্ষমা চাইলেন তাসকিন

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিপক্ষে সুপার এইটের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। হারলে বিশ্বকাপের সেমির রেস থেকে ছিটকে যেতে হতে পারে; এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে চিন্তায় যেখানে ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার কথা দলের কোচিং স্টাফ ও অধিনায়কের। সেখানে কিনা ঘুমের কারণে ম্যাচটাই খেলতে পারলেন না তাসকিন আহমেদ, যে কিনা আবার দলের অন্যতম পেসার ও সহ-অধিনায়ক! এমন অবাক করা তথ্য নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ।

বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তার সূত্রে ক্রিকবাজ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ঘুম থেকে উঠতে না পারায় টিম বাস মিস করেছেন তাসকিন। যে কারণে তাকে রেখেই একাদশ সাজাতে হয়েছে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহকে। যদিও এ নিয়ে ম্যাচের পরপরই বেশ সমালোচিত হতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। একাদশে কেন তাসকিন নেই সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল হাথুরু ও অধিনায়ক শান্তকে।

কেননা, ম্যাচে এক পেসার কম খেলানোর কারণে বড় খেসারত দিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ম্যাচ হারতে হয়েছিল ৫০ রানের বড় ব্যবধানে। আর সেটি না হলে হয়তো শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে সমীকরণটা আরও সহজ হতে পারত বাংলাদেশের সামনে। যা মিলিয়ে সেমিতেও খেলতে পারত বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত এসবের কিছুই হয়নি; ভারত ম্যাচের আগে তাসকিনের ঘুম কাণ্ডে।

ঘুমের কারণে সেদিন টিম বাস মিস করেন তাসকিন। যার ফলে বাধ্য হয়ে তার জায়গায় জাকের আলিকে খেলায় টিম ম্যানেজমেন্ট। এ সময় তাসকিনকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও কারো ফোন ধরছিলেন না তিনি। পরে দলের এক কর্মকর্তাকে রেখে যাওয়া হয় তাসকিনকে মাঠে নিয়ে আসার জন্য। তাসকিন ওই কর্মকর্তার সঙ্গেই মাঠে যান।

যদিও বাংলাদেশ দল চাইলেই ওই ম্যাচে খেলাতে পারত শরিফুলকে। কেননা, বিশ্বকাপের আগে চোট পাওয়া শরিফুল ততদিনে ফিট হয়ে উঠেছেন। তাই দায়টা কোচ ও অধিনায়কের দিকেও যায়। তবে ওইদিন মূলত তাসকিনের প্রতি ক্ষোভের কারণেই পরে তাকে একাদশে থেকে বাদ দেয় হাথুরু। যদিও পরে মাঠে এসে জাতীয় সঙ্গীতও গেছেন তাসকিন। তবে তার আগেই তাকে একাদশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তাসকিন।

তাসকিনের ঘুম কাণ্ড নিয়ে সোমবার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সত্য যে তিনি (তাসকিন) টিম বাস হারিয়ে পরে দলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু কেন তিনি খেললেন না তা শুধু কোচই বলতে পারবেন কারণ তিনি (ভারতের বিপক্ষে) পরিকল্পনায় ছিলেন কি না, তার উত্তর প্রধান কোচ (চন্দিকা হাথুরুসিংহে) দিতে পারেন।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ না খেললেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে একাদশে ছিলেন তাসকিন। সেটা কীভাবে হলো এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি কীভাবে খেললেন তা নিয়ে (কোচ ও খেলোয়াড়ের মধ্যে) সমস্যা ছিল। তবে তিনি সময়মতো উঠতে না পারার জন্য সতীর্থ এবং সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।’

;

পেনাল্টি মিস করে হতাশ রোনালদো যা বললেন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে পর্তুগাল। নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে ম্যাচটা টাইব্রেকার অবধি যেতই না যদি না পেনাল্টিতে গোল মিস করতেন দলের সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এমন মিসের পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রোনালদো। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ের তৃপ্তি নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছেন তিনি। আর সেটা সম্ভব হয়েছে ডিয়োগো কস্তার কারণে। টাইব্রেকারে তিনটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে স্লোভেনিয়াকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি একাই। এমন দিনে পেনাল্টি মিস নিয়ে কথা বলেছেন রোনালদো।

ম্যাচ নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘বিষণ্ণতায় শুরু হলেও আমাদের শেষটা হয়েছে আনন্দ নিয়ে। আর এটাই ফুটবল। কিছু মুহূর্ত আসে যা অবর্ণনীয়।’

পেনাল্টি মিস নিয়ে রোনালদোর বলেন, ‘একটি সরাসরি শট থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি নিজেকে পরিচালনা করতে পারিনি। ইয়ান ওবলাক ভালো সেভ করেছেন..এটা আমাকে আবার দেখতে হবে। আমার শটে ঠিক কোথায় ভুল ছিল জানি না। তবে আমি সারা বছরে একবারও মিস করিনি। অথচ যখন আমার এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, ওবলাক এটি ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

জয়ের কৃতিত্বটা পুরো দলকে দিলেও কস্তাকে আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন রোনালদো। রোনালদো বলেন, ‘আমি মনে করি পর্তুগালের এই জয় প্রাপ্য। কারণ মাঠে আমাদের কর্তৃত্ব ছিল। স্লোভেনিয়া প্রায় পুরো খেলাটাই রক্ষণে কাটিয়েছে। যা আমাদের গোল পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। পুরো দলকে অভিনন্দন জানাতে হবে, তবে বিশেষ করে আমাদের গোলরক্ষক যিনি তিনটি খুব ভালো সেভ করেছেন, তার কথা না বললেই নয়।’

পেনাল্টি মিস করে হতাশ হয়ে পড়া নিয়ে রোনালদোর বলেন, ‘এটা ফুটবল, যে ব্যর্থ হয় সে-ই চেষ্টা করে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই এটা হতাশার যখন আমরা গোল করতে পারি না। কিন্তু দিনশেষে এটাই ফুটবল। তবে আমি ইতিমধ্যেই এটি (পেনাল্টি মিস) ভুলে গেছি। কারণ শেষ ফলাফলটি আমাদের পক্ষেই ছিল, আমরা জিতেছি। আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কখনও কখনও পেনাল্টি স্কোর করা কঠিন। আমি আমার ক্যারিয়ারে ২০০ এর বেশি পেনাল্টিতে গোল করেছি। ফুটবলকে কখনও কখনও ন্যায্য হতে হয় এবং আজ এটি ন্যায্য ছিল। কারণ আমি মনে করি পর্তুগাল জয়ের যোগ্য ছিল।’

;

রোনালদোর কান্না, রোনালদোর তৃপ্তি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ১৩ পেনাল্টির যার মিস হয়নি একটিও, ক্যারিয়ারে পেনাল্টি থেকে দেড় শতাধিক গোল করার অবিশ্বাস্য কীর্তি যার, সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কাল পেনাল্টি মিস করেছেন। মহাগুরুত্বপূর্ণ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে দলকে বিদায়ের পথে ঠেলে দিয়েছিলেন আরও একটু।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে এই মিসের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন রোনালদো। সংক্ষিপ্ত বিরতির এই সময়ে যখন সবাই পরের মিনিট পনেরোর জন্যে প্রস্তুতি নেয়, তখন সতীর্থরা হতাশ রোনালদোকে সান্ত্বনার জন্যে ছুটছেন। কেউ রাখছিলেন মাথায় হাত, কেউ পিঠে; ইস্পাতসম দৃঢ়তা যার ক্যারিয়ারজুড়ে ম্যাচ চলাকালে তাকে এমন ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি আগে।

ম্যাচের ১০৫তম মিনিটের ওই পেনাল্টি মিস যতটা না রোনালদোর, তারচেয়ে বেশি কৃতিত্ব স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকের। মাঠে রোনালদোর সাথে যুদ্ধ যার একের পর এক, সেখানে তিনি তাকে ধরতে পেরেছেন ভালোভাবেই। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে শট রুখেছেন, বলা যায় গোলপোস্টে ওবলাকই ছিলেন বলে এমনটা সম্ভব হয়েছে।

রোনালদো-ওবলাকের ছিল কাল ২১তম মুখোমুখি লড়াই। আগের ২০ সাক্ষাতে রোনালদো গোল পেয়েছেন ১১টি। অধিকাংশ ফল নির্ধারক। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিশ্চিতভাবেই ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি, যেখানে ৭২ হাজার দর্শকের সামনে আতলেতিকো মাদ্রিদের ইয়ান ওবলাককে টাইব্রেকারে পরাস্ত করে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছিল ক্লাব পর্যায়ের ইউরোপ সেরার ট্রফি।

রোনালদো-ওবলাক যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান সমান; ৬ জয়ের বিপরীতে ৬ পরাজয়। গতকালের ম্যাচের আগে স্লোভেনিয়া ও পর্তুগাল একবারই মুখোমুখি হয়েছিল, সেই ম্যাচে পর্তুগাল হেরেছিল ২-০ গোলে।

ক্লাব ও জাতীয় দলে ৮৯৫ গোলের অবিশ্বাস্য রেকর্ডধারী রোনালদো পেনাল্টি মিস করলেও ইউরো থেকে ছিটকে পড়েনি পর্তুগাল মূলত গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তার অতিমানবীয় নৈপুণ্যে। পর্তুগিজ এই গোলরক্ষক টাইব্রেকারে স্লোভেনিয়ার নেওয়া তিনটি শটই রুখে দিয়েছেন। বিপরীতে ম্যাচের সময় রোনালদোর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেওয়া ইয়ান ওবলাক পারেননি একটিও।

পেনাল্টি মিস সত্ত্বেও দল যে আস্থা হারায়নি তার ওপর সে প্রমাণ মিলেছে টাইব্রেকারে প্রথম শট রোনালদো নেওয়ায়। মুহূর্তে ভেঙে পড়া রোনালদো কীভাবে ফিরে আসেন, সে প্রমাণ দিয়েছেন তিনি টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করে। এরপর বাকি দুই গোল করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস আর বার্নাদো সিলভা। গোল করে তৃপ্তির হাসি হেসেছেন, কান্না থেকে উত্তরণের হাসি।

পেনাল্টি মিসে খাদের কিনারে দলের চলে যাওয়া সত্ত্বেও পুরো ১২০ মিনিট এই মহাতারকার ওপর আস্থা রেখেছিলেন কোচ রবের্তো মার্তিনেস। গোলের জন্যে হাহাকার, হতাশা, কান্না সবগুলো দেখেছেন তিনি ইতিবাচকভাবেই। ম্যাচ শেষে বললেনও তাই। ক্রিশ্চিয়ানো আমাদের জন্য উদাহরণ। অসাধারণ তার আবেগের প্রকাশ। আশপাশে কী হচ্ছে এটা পাত্তা দেওয়ার তার দরকার নাই। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, টাইব্রেকারে প্রথম শটটি তাকেই নিতে হবে এবং আমাদেরকে জয়ের পথ দেখাতে হবে…।

কাতার বিশ্বকাপে তৎকালীন কোচ ফের্নান্দো সান্তোসকে পাশে পাননি রোনালদো। ইউরোতে এসে কোচ রবের্তো মার্তিনেসকে পাশে পাচ্ছেন তিনি।

আগামী ৬ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। স্লোভেনিয়ার চাইতে কঠিন প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। শেষের শুরুতে থাকা ঊনচল্লিশের রোনালদোর ইউরো ও জাতীয় দলের যাত্রার সমাপ্তি নাকি সম্ভাবনার, উত্তর মেলানোর দিন!

;

আত্মঘাতী গোলে কোয়ার্টারে ফ্রান্স



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফ্রান্স নেমেছিল গত রাতে। ইউরো ২০২৪ এর শেষ ষোলর এই ম্যাচটাকেই ধরা হচ্ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ হিসেবে। তবে ম্যাচটা সে রোমাঞ্চটা উপহার দিতে পারল কই? তারকায় ঠাসা দুই দলের লড়াইয়ে শেষমেশ ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছে আত্মঘাতী গোল। সেই গোলে ভর করেই ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফ্রান্স চলে গেছে প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে।
গত রাতের এই ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য বেলজিয়ামের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছে ফ্রান্সই। তারা শট নিয়েছিল ১৯টি। তবে লক্ষ্যে থেকেছে মোটে ২টি শট। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আঁতোয়ান গ্রিজমানের নিয়েছিলেন শটটা। সেটা ঠেকাতে বেলজিয়াম গোলরক্ষক কোয়েন কাস্তিলসের কোনো সমস্যাই হয়নি।
লক্ষ্যে থাকা দ্বিতীয় শটটাই গড়ে দিল ফ্রান্সের ভাগ্যটা। ৮৫ মিনিটে রান্দাল কোলো মুয়ানির শট নেন। তা অবশ্য সরাসরি জালে জড়ায়নি। ইয়ান ভের্তঙ্গেনের গায়ে লেগে দিক বদলে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে আছড়ে পড়ে জালে। গোলটা কোলো মুয়ানির নামের পাশে যোগ হয়নি তাই, যোগ হয় ‘আত্মঘাতী’ গোলের খাতায়। সেই এক গোলই ম্যাচটা জিতিয়ে দেয় ফ্রান্সকে।
সেখানে তাদের সামনে অপেক্ষা করছে আরও একটা ‘সম্ভাব্য’ হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। শেষ আটে তারা খেলবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের বিপক্ষে।

;