শেষ আটে উরুগুয়ের বিপক্ষে ভিনিসিয়ুসকে পাচ্ছে না ব্রাজিল 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপার গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে শুরুতেই গোল পেয়ে যায় ব্রাজিল। টুর্নামেন্টটিতে ৪৫ বছর যখন আগে গোল করে একটি ম্যাচেও হারেনি তখন বেশ নির্ভারই ছিল সেলেসাওরা। যদিও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত স্কোরলাইন পায়নি দরিভাল জুনিয়রের দল। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ ব্যবধানে। 

এই ড্রয়ে গ্রুপ ‘ডি’-থেকে রানার্স-আপ হয়ে শেষ আটে পাড়ি জমায় ব্রাজিল। সেখানে সেমিতে উঠার লড়াইয়ে এবার উরুগুয়ের বিপক্ষে নামবে তারা। আগামী ৭ জুলাই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। 

কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার আগেই অবশ্য এক দুঃসংবাদ হাজির হয়ে যায় ব্রাজিলের জন্য। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে বিপক্ষে দলের ফুটবলারদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন ভিনিসিয়ুস। আর এতেই পড়েন নিষেধাজ্ঞার মুখে। আগের ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষ হলুদ কার্ড দেখেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড। দুই হলুদ কার্ড মিলিয়ে টুর্নামেন্টে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি এবং ডাগআউটে বসেই কাটাতে হবে ২৩ বছর এই তারকাকে। 

এদিকে সবশেষ আসরগুলোতে খুব একটা ছন্দে না থাকলেও টুর্নামেন্টের ১৬তম শিরোপার লক্ষ্যে আসরের শুরুটা দারুণ পেয়েছে উরুগুয়ে। তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। এতে সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে সেলেসাওদের কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ভালভার্দে-রদ্রিগেজরা। 

রোনালদোর বিপক্ষে খেলাটা অনেক সম্মানের: এমবাপে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়সটা ৩৯। যার মধ্যে ২২ বছর ধরে মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন ফুটবল মাঠ। হাজারো-লাখো তরুণ ফুটবলার ভক্ত কিংবা আইডল বনে গিয়েছেন তিনি। যেই রীতি রয়ে গেছে এখনও। কেননা ফুটবলটা যে এখনও ছাড়েননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে ভক্তদের মধ্যে এমন একজন আছেন যে এখন আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করেন। রোনালদোকে ভক্ত, আইডল মানা সেই কিলিয়ান এমবাপেও যে এখন পরিপূর্ণ এক ফুটবলার। তাই তো নিজের আইডলের বিপক্ষে পারাটা এমবাপের কাছে অনেক সম্মানের। 

শেষ ষোলো পর্ব শেষে ইউরোর এবারের আসর এখন কোয়ার্টার ফাইনালের দুয়ারে। যেখানে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল মুখোমুখি হবে স্পেন ও স্বাগতিক জার্মানি। এবং একই দিনে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের নামবে ফ্রান্স ও পর্তুগাল। এই ম্যাচটি শুরু হবে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায়। 

রোনালদোকে আইডল মানা এমবাপে সদ্যই চুক্তি করেছে তার স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গেও। পর্তুগালের সঙ্গে সেমির লড়াইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে এমবাপে জানালেন রোনালদোর সঙ্গে তার অনেক আগ থেকেই যোগাযোগ হয়। এবং সেটি এখনও আছে চলমান। ‘ক্রিশ্চিয়ানোর প্রতি আমার সম্মানটা সবসময়ই থাকবে। তার সঙ্গে অনেকবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমরা সবসময় যোগাযোগ করি এবং তিনি আমাকে অনেক বিষয় নিয়েই পরামর্শ দেন। তার বিপক্ষে খেলাটা অনেক সম্মানের।’ 

এমবাপের কাছে রোনালদো সবসময় কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। ‘আগে যাই ঘটে গেছে বা সামনে যাই ঘটুক না কেন, তিনি সবসময় কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। তবে অবশ্যই আমরা ম্যাচটি জিতে সেমিতে পৌঁছানোর আশা রাখছি।’

ইউরোতে এর আগের আসরে গ্রুপপর্বেই ফ্রান্সের বিপক্ষে নেমেছিল পর্তুগাল। সেই ম্যাচটি হয়েছিল ২-২ ব্যবধানের ড্র। সেবারই কোনো বৈশ্বিক বা মহাদেশীয় কোনো টুর্নামেন্টে একে ওপরের বিপক্ষে খেলেছিলেন এমবাপে ও রোনালদো। সেখানে এমবাপে কোনো গোল না করলেও তার আইডল করেছিলেন দুটি গোলই।

;

জিয়ার মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি: পাপন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিখ্যাত দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, 'বিখ্যাত দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান দেশের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দাবাড়ু ছিলেন। দেশের দাবার উন্নয়ন তথা গোটা ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।'

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা প্রদানে মরহুমের মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে কিছুক্ষণের মধ্যে যাবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট জনাব নাজমুল হাসান পাপন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার। ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জেতেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে অক্টোবর ২০০৫ সালেই সর্বোচ্চ (২৫৭০) ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া।

;

পঞ্চাশেই চলে যাওয়া জিয়ার জীবনের গল্প



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দাবা দিয়েই পরিচিতি, যশ-খ্যাতি। দাবা খেলাটিই ছিল তার নেশা এবং পেশা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে, দাবাই তার পরিবার, দাবা ফেডারেশন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তার দ্বিতীয় ঘর। সেই দাবার বোর্ডেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গ্র্যান্ডমাষ্টার জিয়াউর রহমান। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।

আজ জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৮ তম আসরে আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার রাজীবের বিপক্ষে ১২তম রাউন্ড খেলছিলেন জিয়া। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হঠাৎ মাথা ঘুরে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। সবাই তাকে ধরে রাজধানীর পল্টনের ফেডারেশন ভবন থেকে নিচে নামিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও তার পালস খুঁজে পাননি। আরও কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক কারণ হিসেবে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে জানা যায়।

তার স্ত্রী তাসমিন সুলতানা লাবণ্য, দেশ-বিদেশের সকল টুর্নামেন্টেই তিনি জিয়ার সঙ্গেই উপস্থিত থাকতেন। ভাল-মন্দ সকল সময়েই স্ত্রীকে পাশে পেয়েছেন জিয়া। আজ তার মৃত্যুর সময়ও হাসপাতালেই উপস্থিত ছিলেন লাবণ্য। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ জানার পর আঝোরে কাঁদতে থাকেন তিনি। কোনোভাবেই তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বোঝানো যাচ্ছিল না।

পঞ্চাশ বছর বয়সে অকাল মৃত্যু ঘটল বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের। তার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার পরিবার-পরিজনরা মেনে নিতে পারছেন না জিয়ার এই আকস্মিক মৃত্যু।

দাবাড়ু জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৭৪ সালের পহেলা মে। ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জেতেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে অক্টোবর ২০০৫ সালেই সর্বোচ্চ (২৫৭০) ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া।

জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জিতেছেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হন। সবশেষ হয়েছেন ২০১৮ সালে। এই টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নও তিনি। যেখানে অন্য চার গ্র্যান্ডমাস্টার সম্মিলিতভাবে জিতেছেন ১৬ বার।

দাবা খেলা যেন তার রক্তেই মিশে ছিল। তার বাবা পয়গাম উদ্দিনের হাত ধরেই তিনি দাবার জগতে এসেছিলেন। অর্জন করেছেন একাধিক সম্মাননা ও পুরষ্কার। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়াও একই পথে হেঁটেছেন। তিনিও হয়েছে ফিসে মাস্টার। যে দাবা খেলাকেই জীবনের প্রথম ও প্রধান ভালোবাসার জায়গায় রেখেছিলেন, সেই দাবা খেলার বোর্ডেই মৃত্যু হলো তার।

বয়সের হাফ-সেঞ্চুরি করা জিয়া নিঃসন্দেহে চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এবং সকল দাবাড়ুর আদর্শ হিসেবে। তার এমন আকশ্মিক মৃত্যুর খবরে শোকাহত বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গন। চোখের জল ফেলে সবাই একটাই কথা বলছেন, বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি, বড্ড দ্রুত চলে গেলেন জিয়া।

;

বুমরাহ'র প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই কোহলির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাতে কী করেননি জসপ্রীত বুমরাহ? ফাইনালের দিন ম্যাচটি তো হাত থেকে বেরই হয়ে যাচ্ছিল প্রায়, কিন্তু যেভাবে ইন্ডিয়ার হাতের মুঠোয় ম্যাচটি ফেরত আনলেন বুমরাহ তা অবিস্মরণীয়! তার সেই স্পেলটাই হয়ে থাকবে সাদা বলের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পেলগুলো একটা। আসরজুড়ে সব ম্যাচেই বুমরাহ রেখেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান।

বিশ্বকাপজয়ী দল দেশে ফেরার পর যে সংর্ধ্বনা পেয়েছে সেটা হয়ে থাকবে অবিস্মরণীয়। এমন আবেগঘণ মূহূর্তে বিরাট কোহলির মতো মহাতারকাও স্মরণ করিয়ে দিলেন বুমরাহ'র কৃতিত্ব।

'এই স্টেডিয়ামের সবার মতো আমরাও একটা পর্যায়ে ভেবেছিলাম, ফাইনাল আবারও ছুটে যাচ্ছে। তবে শেষ পাঁচ ওভারে যা ঘটেছে, সেটি সত্যিই বিশেষ কিছু। আমি আসলে সবাইকে বলব, এ টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলোয় বারবার এবং বারবার আমাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একজনকে বাহবা দিতে। ফাইনালে শেষ ৫ ওভারের দুটিতে বোলিং করে যা করেছে, সেটি দুর্দান্ত ছিল। জসপ্রীত বুমরাহ'র জন্য দয়া করে জোরে একটি হাততালি হোক।'

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে জসপ্রিত বুমরাহ রেখেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান। দলকে ফাইনালে জিতিয়েছেন, টুর্নামেটে ১৫ উইকেট নিয়েছেন, অবাক করা বিষয় বল করেছেন মাত্র ৪.১৭ ইকোনমিতে। গড় ছিলো মাত্র ৮.২৬। প্রতি ১১.৮৬ বলে নিয়েছেন একটা করে উইকেট; ইম্প্যাক্ট রেখেছেন সব জয়ে। তাইতো টুর্নামেন্ট সেরার রেসে থেকে, শেষ পর্যন্ত সেটাই হলেন এই পেসার।

;