পাওয়ার প্লে’তে ক্রিস গেইল শো!
মোহাম্মদ ইরফানের প্রথম ওভার মেডেন। সেই ওভারের পুরোটাই খেললেন জিয়াউর রহমান। আবু জায়েদ পরের ওভারটা করতে এসে খরচা করলেন ১৬ রান। দুই বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৬ রানের পুরোটাই ক্রিস গেইলের। গেইলের এমন ব্যাটিং দেখে ইরফানের পরের ওভারে জিয়াও জ্বলে উঠলেন-তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা! পরের চার বল থেকে একটি রানও নিতে পারলেন না জিয়া। ষষ্ঠ বলেই ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে সেটাকে স্ট্যাম্পে টেনে আনলেন- বোল্ড!
শুরুর ৩ ওভার শেষে ২২ রানে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হারাল ওপেনার জিয়াকে। পাওয়ার প্লে’র মাঝপথটা এমন সাফল্য-ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই কাটল চট্টগ্রামের। চতুর্থ ওভারে স্পিনার শোয়েব মালিককে আক্রমণে আনা হলো। শোয়েবের প্রথম বলেই গেইলের বাউন্ডারি। দ্বিতীয় বলে স্ট্যাম্পিংয়ের আপিল। তৃতীয় বলেই গেইলের ছক্কা। চতুর্থ বলে সুইপ শটে বল বাউন্ডারিতে। পঞ্চম বলেও আদরের ভঙ্গিতে আরেকটি সুইপ; স্কয়ার লেগ দিয়ে এটিও চার! ওভারের শেষ বল ডট। শোয়েবের প্রথম ওভারে সবশুদ্ধ খরচা ১৮ রান।
ক্রিস গেইলের রান তখন ১১ বলে ৩৪। স্ট্রাইক রেট তিনশ’র ওপরে! দলের রান ৪ ওভারে ৪০। ওভার প্রতি রান গড় ১০! স্কোরবোর্ডে ২০০ প্লাস স্কোর গড়ার ভিত্তি তো ওখানেই পেয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
পঞ্চম ওভার করতে এলেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। ওভারের প্রথম তিন বলে ইমরুল কায়েস কোনো রানই নিতে পারলেন না। চতুর্থ বল হাঁকালেন। লং অন দিয়ে বল বাউন্ডারিতে। কামরুল ইসলাম রাব্বী তার প্রথম ওভারে খরচা করলেন ৫ রান। ওভারের সব রানই ইমরুলের।
পাওয়ার প্লে’র ষষ্ঠ এবং শেষ ওভার করতে এলেন রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল নিজেই। ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই সাফল্য পেলেন রাসেল। শর্ট পিচ বলে ইমরুল তুলে মারলেন। ক্যাচটা নিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৪৫ রানে হারাল দ্বিতীয় উইকেট। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রথম বলেই ক্যাচ তুললেন। কিন্তু ভাগ্য ভালো বলটা পড়লো নো ম্যান্স ল্যান্ডে। সেই ফাঁকা দিয়ে বল বাউন্ডারিতে। সৌভাগ্যের পরশ পরের বলেও পেলেন মাহমুদউল্লাহ। আম্পায়ার এলবিডব্লুর জন্য আঙ্গুল তুললেন। মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলেন। রিপ্লে দেখাল বল স্ট্যাম্পের সামান্য ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। রক্ষা পেলেন মাহমুদউল্লাহ।
৫.৩ ওভারে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে ৫০ রান পুরো। আর ছয় ওভারে মিলল ২ উইকেটে ৫৮ রান। যাতে ছিল ৩ ছক্কা, ৭ বাউন্ডারি ও ২৩টি ডট বল!