রাতের ট্রেনে বিশ্বকাপ পার্টি



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
ট্রেন যাত্রার আগে ছবি তোলার আনন্দ

ট্রেন যাত্রার আগে ছবি তোলার আনন্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

-কায়সার, সত্যি কোনো সমস্যা হবে না তো?

ইত্তেফাকের দিলু ভাই (দিলু খন্দকার) দুঃশ্চিন্তার স্বরেই প্রশ্নটা করলেন।

মিউনিখে জার্মানি ও কোস্টারিকার উদ্বোধনী ম্যাচের পর আমাদের পরিকল্পনা আর্জেন্টিনা-আইভরি কোস্টের ম্যাচ কাভার করা। সেটা আবার জার্মানির একেবারে অন্যপ্রান্তে। ম্যাপ দেখে মনে হলো- মিউনিখ যদি রংপুর হয় তবে হামবুর্গ কক্সবাজার! মিউনিখ এ মাথায়, হামবুর্গ ও’মাথায়। দ্রুতগতির ট্রেনেই যেতে লাগে ছয় ঘণ্টার বেশি।

বিশ্বকাপের শহরে সবে আমরা হাঁটাহাটি শুরু করেছি। যেদিকেই তাকাই সবকিছুর সঙ্গে প্রথমবারের মতো পরিচয় হচ্ছে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে আয়োজক জার্মানি দারুণ একটা ব্যবস্থা রেখেছিল সাংবাদিকদের জন্য। বিশ্বকাপ কাভার করতে আসা সব সাংবাদিকদের জন্য ট্রেন ও বাসে ফ্রি চলাচল। কোনো টিকেট লাগবে না। গলায় ঝুলানো অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডে একটা সাদা হলোগ্রাম লাগানো আছে। বাসে উঠার সময় সেটা ড্রাইভারকে দেখালেই হলো। ট্রেনেও তাই। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড গলায় থাকলেই পুরো জার্মানি জুড়ে সব ধরনের ট্রেনে বিনামূল্যে ভ্রমণ। হ্যাঁ, যখন ইচ্ছে যতবার। যেখানে খুশি ততবার। একেবারে ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রী সেবা!

ট্রেনের বিশ্বকাপ পার্টিতে নিয়ে গেলেন এম. এম. কায়সার

মিউনিখে প্রথম ম্যাচ শেষে রাতের ট্রেনে হামবুর্গ যাব। পরদিন রাতে হামবুর্গে আর্জেন্টিনা ও আইভরি কোস্টের ম্যাচ। আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই তো অন্য আনন্দ! আমাদের চারজনের ট্রেনের টিকিট রিজার্ভ করা। রাতের ট্রেনে যাব, সিট না পেলে ঘুমাব কিভাবে? এই চিন্তায় অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখিয়ে আগের দিনই স্টেশনে গিয়ে চারটা সিট রিজার্ভ করি আমরা চারজন।

চারজন মানে রানা হাসান, মুজিবুর রহমান, নাসিমুল হাসান দোদুল ও আমার। সেই বিশ্বকাপে আমাদের টিম লিডার দিলু খন্দকার উদ্বোধনী ম্যাচের আগেই মিউনিখে এসে পৌঁছান ঠিকই। কিন্তু তার আসার দিনক্ষণ আমাদের জানা না থাকায় ট্রেনে তার জন্য সিট রিজার্ভ করা হয়নি। তাই একটু টেনশনে ভুগছেন। সিট মিলবে তো? শেষ চেষ্টা হিসেবে মিউনিখের প্রধান রেলস্টেশনে ছুটলাম আমরা। কাউন্টারের মেয়েটি কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রেখে দুপাশে মাথা নাড়ল।

স্টেশনে প্রবেশের আগে রানা হাসান। সেই বিশ্বকাপের সময় রানা হাসান ছিলেন দৈনিক সমকালে

-সরি ম্যান, নো চান্স। হামবুর্গের রাতের ট্রেনের টিকিট রিজার্ভের সময় আগেই শেষ।

-কিন্তু আমাদের যে যেতেই হবে এই ট্রেনে। পরদিনের ম্যাচটা কাভার করতে হলে আমাদের এই ট্রেনটা ধরতেই হবে। চারটা সিট আমাদের রিজার্ভ আছে। আরেকটা হলেই চলবে। একজনকে ফেলে কিভাবে যাব! প্লিজ, কোনো উপায়?

আমাদের নাছোড়বান্দা টাইপ আচরণ দেখে ডয়েস বানের (জার্মানির ট্রেন) কাউন্টারের মেয়েটি একটা বুদ্ধি দিলো।

-সিট না পেলে দাঁড়িয়ে যাবে। বেশি কষ্ট হলে মেঝেতে শুয়ে পড়বে!

-তাই নাকি? আমাদের টিকিট যে প্রথম শ্রেণীর। ওখানে সিট না পেলে কি মেঝেতে শোয়া যাবে? বুঝতেই পারছো সারারাত ট্রেনে কাটাতে হবে। অন্তত ঘণ্টা কয়েক তো ঘুমাতে হবে। দাঁড়িয়ে থেকে তো আর ঘুমানো যায় না!

মেয়েটি হাসি নিয়েই আমাদের টেনশন আরেকটু বাড়িয়ে দিলো- ‘একটু আগেভাগে স্টেশনে এসো নইলে ট্রেনে দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা দখল হয়ে যাবে!’

মিউনিখে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে দিলু ভাইকে হামবুর্গ ট্রেনের ইতিবৃত্ত জানালাম। দিলু ভাই, রাতের খাওয়া একটু আগেভাগে খেয়ে স্টেশনে দৌড়াতে হবে।

ফুটবলের দুই পাড় ভক্তের সঙ্গে ক্যামেরা বন্দী লেখক

দিলু ভাইয়ের সেই চিন্তা- আমার তো সিট রিজার্ভ করা নাই।

-আরে দুর, ও নিয়ে টেনশন নিয়েন না। আমার সিট তো রিজার্ভ আছে। আপনি ওটাতে বসবেন। একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে, ভাই।

জার্মানি-কোস্টারিকা ম্যাচ শেষে আমরা হোটেলে ফিরে পাচঁ দিনের বিল মেটালাম। আমি আর দোদুল এক রুমে। পাচঁ দিনের ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৩ হাজার টাকা! রাতে আমাদের মোনাকো হোটেলের পেছনেই মুন্সীগঞ্জের মনিরের মোগলাই হোটেলে ডিনার শেষ করে দৌড়ালাম আমরা রেল স্টেশনে। শুরুর পাঁচ দিনে মিউনিখ শহর বেশ চেনাজানা হয়ে গেছে। বিদায় নেওয়ার সময়ে ব্যাগে জোর করে বাডউইজারের বিয়ারের বোতল রেখে মনির চোখ টিপলেন- বস্ রাতে তো পানি খাইতে হইবো। ওটা খাইয়েন।

পাচঁজনের এই দলে মনির ঠিকই চিনেছিলেন কার কি পছন্দ!

রাতে মিউনিখ রেল স্টেশনে প্রচুর ভিড়। চারধারে লোকে ভরা। স্টেশনের ইলেক্ট্রনিকস বোর্ডে হামবুর্গের ট্রেনের ঠিকানা খুঁজে আমরা পঞ্চপাণ্ডব প্লাটফর্মে দাঁড়ালাম। ঘড়ির কাঁটা ধরে ট্রেন এসে থামল। হৈহৈ করে সবাই উঠলাম। শুরু হলো লাগেজ রাখার জায়গা দখলের। সিট না পেয়ে অনেকে মেঝেতে বসে পড়েছে। কুছ পরোয়া নেই ভঙ্গিতে মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে কয়েকজন বান্ধবীর গলা জড়িয়ে ঘুমিয়েও পড়ল!

এবং আশঙ্কাই সত্যি, দিলু ভাই সিট পেলেন না! আমরা তাকে সিট ছেড়ে দিলাম। কিন্তু ভীষণ ভদ্রলোক দিলু ভাই বসবেনই না। ভাবলাম এখন না, একটু পরে জোর খাটাব।

আর্জেন্টিনার ম্যাচ পরের রাতে। নিশ্চয়ই এই ট্রেনে ম্যারাডোনার দেশের সাংবাদিকদের পাব। ঠিকই পেয়ে গেলাম। আমার পাশের সিটেই বসে একের পর এক সিগারেট পোড়াচ্ছিলেন অ্যারিয়েল স্কের। বুয়েন্স আয়ার্সের ক্লারিন এক্স নামের একটি পত্রিকায় রিপোর্টিং করেন। পার্ট টাইমে কলেজে পড়ান।

ট্রেনের ভেতরে পার্টির আনন্দে জার্মানির সমর্থকরা

-তোমার মূল পেশা কোনটি? প্রশ্নটা শুনে চাপ দাড়িতে হাত বুলিয়ে হাসলেন অ্যারিয়েল।

-এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত তো রিপোর্টিংই মূল কাজ। এখানে কলেজ কোথায় পাব, ভাই ?

বাংলাদেশ থেকে আমরা একদল সাংবাদিক বিশ্বকাপে এসেছি জেনে আরো অনেকের মতো অ্যারিয়েলও অবাক!

-তোমরা তো বিশ্বকাপে খেলছ না। তারপরও এত আগ্রহ!

৩৭ দিনের বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত আরো অনেককে আমাদের এই প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছিল। ম্যারাডোনা সম্পর্কে অ্যারিয়েল এত বেশি জানে যে ট্রেনের প্রথম ঘণ্টা কিভাবে যে কেটে গেল টেরই পেলাম না।

হঠাৎ সামনের বগিতে গান-বাজনার আওয়াজ শুনে কৌতূহল চাপল। শব্দ শুনেই বোঝা যাচ্ছে পার্টি শুরুর কিক-অফের বাঁশি ওটা!

-দিলু ভাই, আমি ওখানে যাই, আপনি এই সিটে না বসলে এটা দখল হয়ে যাবে। দিলু ভাই এবার না করার কোনো উপায় পেলেন না।

মেক্সিকো ভক্তের বিশেষ সাজ কাছে টেনেছে এক ফুটবল অনুরাগীকে

ল্যাপটপের ব্যাগ কাঁধের পেছনে নিয়ে পাশের বগিতে এলাম। ওরে বাবা! এখানে যে জমজমাট পার্টি। জার্মানির সমর্থকরা উদ্বোধনী ম্যাচে কোস্টারিকার জালে ৪-২ গোলের আনন্দে নেচে কুদে একাকার। প্রচণ্ড শব্দে গান বাজছে। সবার হাতে বিয়ারের বোতল। ঠোঁটে সিগারেট। গানের তালে তালে শরীর ঝাঁকিয়ে উদ্দাম নাচ। টেবিল চাপড়ে তাতে তাল মেলাচ্ছে একদল। সবার জন্য উন্মুক্ত এই পার্টিতে যোগদানের আমন্ত্রণ মিলল। প্রতিযোগিতা চলছিল দাঁতের ফাঁকে চেপে বিয়ারের বোতলের ঢাকনা খোলার। চ্যালেঞ্জটায় জেতায় চারপাশ থেকে হৈহৈ। পিঠ চাপড়ানি পেলাম। সেই সঙ্গে বোতলটাও! মিউনিখের বাভারিয়ান বিয়ার এখানে খুব জনপ্রিয়। একটু কড়া। কিন্তু স্বাদের। আর দাম? পানির বোতলের চেয়ে বিয়ার খানিকটা সস্তা!

তখনো বুঝতে পারিনি পার্টির যে সবে শুরু! আরো দু’বগি পার হতেই পাশ থেকে শুনতে পেলাম- ‘ওলে, ওলে, ভিভা মেক্সিকো।’ গলায় থাকা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখেই বুঝতে পারছি সবাই এই বিশ্বকাপের আনন্দযাত্রী।

চেনাজানা নেই কিন্তু হাই ফ্রেন্ড বলে গলা জড়িয়ে ধরল মোটা সোটা দশাসই শরীরের এক লোক। মেক্সিকান ভাষায় হড়বড় করে একগাদা কি যেন বলল। ‘ইংলিশ প্লিজ’- বলতেই বিশাল বপুধারী লুইস আদেলফো স্যানতিজো আরেক দফা শরীর কাঁপিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। দ্রুতগতির ট্রেন তার হাসিতে আরো বেশি দুলতে শুরু করল। ক্রেট থেকে বিয়ারের কাঁচের বোতল বাড়িয়ে দিলো।

-আমার কাছে ওপেনার নেই।

ফুটবলের টানে ছুটছেন নানা দেশের পর্যটক

বোতলটা দুই দাঁতের ফাঁকে চেপে হেঁচকা টানে খুলে ফেলল গুয়েতেমালা ল্যাটিচুইড টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান লুইস। গলায় বিয়ার ঢালছে আর থেমে থেমে সববেত সঙ্গীত চলছে -‘ওলে, ওলে। ভিভা মেক্সিকো।’ ট্রেনের মেঝেতে বসা আশপাশের সবাই হাততালি দিয়ে তাল দিচ্ছে। টেবিল না পেয়ে পিঠের ব্যাগটাকে ঢোল বানিয়ে পেটাচ্ছে। ঐটুকু জায়গার মধ্যেও একজন ফুটবল নিয়ে পায়ে পায়ে কারিকুরি শুরু করে দিলো! হাঁটুতে, কাঁধে, হেডে বা ভুঁড়ি দিয়ে বলের ভারসাম্য ঠিক রাখছে, নিচে পড়তেই দিচ্ছে না!

ফুটবলের আনন্দ যে কতভাবে নেওয়া যায়- সেদিনের ট্রেনের এই বিশ্বকাপ পার্টিতে অংশ না নিলে তা আর জানা হতো না। টাকিলা মেক্সিকানদের খুব প্রিয়। বুড়ো আঙ্গুল সমান পুঁচকে গ্লাসে গলায় ঢেলে মুখের ভেতর লেবুর রস চিপে একঢোকে পুরোটা গিলতে হয়। তীব্রতায় মুখ কুঁচকানো দেখে আশপাশ থেকে হাসির ফোয়ারা উঠে। এই আনন্দের ছটায় বিন্দুমাত্র কপটতা নেই। বল্গাহারা প্রাণোচ্ছ্লতা। নির্ভেজাল গোলের আনন্দ! সারারাতের সেই আনন্দ যাত্রায় কখন যে সাড়ে ছ’ঘণ্টা কেটে গেল টেরই পেলাম না। বুঝলাম, যখন সকালে হামবুর্গে ট্রেন এসে থামল তখন!

সেদিন আরেকবার বুঝলাম, ফুটবল বিশ্বকাপ শুধু মাঠের খেলা নয়। শুধু নব্বই মিনিটের ম্যাচই সব নয়!

পরের গল্প: ইন্টারভিউ নেওয়ার আগে, দিতে হলো!

আরও পড়ুন: তিমি’র সঙ্গে ছবি তোলা!

শচীন’স সসেজ, গাঙ্গুলি’স গ্রিল, মিয়াঁদাদ ম্যাজিক ম্যাঙ্গো জুস...

হাতিদের এতিমখানায়!

মার্টিন বিক্রেমাসিংহের বাড়িতে নিমন্ত্রণ

গল দুর্গের অ্যাডভেঞ্চারে...

ক্যান্ডির মন খারাপ করা সৌন্দর্য!

 

   

রুতুরাজের ব্যাটে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ চেন্নাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিং করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। যেখানে নির্ধারিত ওভার শেষে স্বাগতিকদের দলীয় সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান।

ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেছিল চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার আজিংকা রাহানে ও রুতুরাজ গায়কোয়ার। নবম ওভারে এসে দলীয় ৬৪ রানে ভাঙ্গে এই জুটি, সাজঘরে ফেরেন রাহানে। এরপর শিভাম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাট হাতে হন ব্যর্থ।

সামির রিজভি ও মঈন আলীও বেশিক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি। তবে উইকেটের আরেক প্রান্তে নিজের সেরাটাই খেলেছেন অধিনায়ক রুতুরাজ। ৪৮ বলে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে তিনিও আউট হন। শেষে ধোনি ও ড্যারিল মিচেলের হাত ধরে পাঞ্জাবকে ১৬৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল চেন্নাই।

;

জিম্বাবুয়ে সিরিজে থাকছেন যেসকল বাংলাদেশি আম্পায়ার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আগামী ৩ মে থেকে। শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। আজ বুধবার এই সিরিজের ম্যাচ অফিশিয়ালদের নাম ঘোষণা করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

৬ সদস্যের যে ম্যাচ অফিশিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে একজন ম্যাচ রেফারি ছাড়া সবার দায়িত্বই ম্যাচ অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, মাসুদুর রহমান মুকুল, মোরশেদ আলী খান, রঞ্জন মাধুগালে, তানভীর আহমেদ, গাজী সোহেল। মাধুগালে পাঁচ টি-টোয়েন্টিতেই ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫ ও ৭ মে হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। প্রথম দুই ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায় এবং তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বেলা ৩টায় শুরু হবে। এরপর ১০ ও ১২ মে চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে মিরপুরের শেরেবাংলায়।

;

সূর্যকুমারকে টপকে যাওয়ার অপেক্ষায় বাবর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার আইসিসি থেকে প্রকাশ করা হয়েছে খেলোয়াড়দের নতুন র‍্যাংকিং। যেখানে তারকা সকল ক্রিকেটারদের অবস্থানেরই হয়েছে পরিবর্তন। যার মধ্যে বিশেষ করে বলতে হয় বাবর আজমের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। এছাড়াও টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আছে শীর্ষে।

টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র‍্যাংকিংয়ের তালিকায় এখনও শীর্ষেই আছে ভারতের সূর্যকুমার যাদবের নাম। যদিও চোটের কারণে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে দলের হয়ে খেলতে দেখা যায়নি তাকে।

সবশেষ প্রকাশিত র‍্যাংকিং অনুযায়ী, সূর্যকে ছুঁয়ে ফেলার পথে আছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। সদ্য নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া এই ব্যাটার আছেন র‍্যাংকিংয়ের চারে। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে এখন ৭৬৩ পয়েন্ট তার।

বাবরের সঙ্গে সূর্যকুমারের রেটিংয়ের দূরত্ব এখনও ৯৮ পয়েন্ট। ৮০২ পয়েন্টের সঙ্গে এই তালিকার দুইয়ে আছেন ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট। তিনে আছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার রেটিং পয়েন্ট ৭০২।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অলরাউন্ডারদের শীর্ষে ২৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। এছাড়া ব্যাটারদের তালিকায় লিটন দাস আছেন ২৯ নম্বরে, টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত আছেন ৩২-এ।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে ১৪ নম্বরে গেলেন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি। বোলারদের নাম্বার ওয়ান ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। এরপরই আছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান আছেন ২৪ নম্বরে। সাকিব ৩০ ও তাসকিন আহমেদ আছেন ৩২ নম্বরে।

;

আইপিএলের শেষ ম্যাচে মাইলফলকের সামনে মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের চলতি আইপিএলটা কেটেছে দারুণ। প্রথম ম্যাচেই চার উইকেট তুলে নিয়ে জানান দিয়েছিলেন নিজের দাপট। এরপর প্রতি ম্যাচেই উইকেট শিকার করতে থেকে নিজের দখলে রেখেছেন পার্পল ক্যাপটিও।

আজ এবারের আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের হয়ে মাঠে নামবেন মুস্তাফিজ। শুরুটা যেমন দুর্দান্ত করেছিলেন ঠিক তেমনি শেষটাও রাঙিয়ে যেতে চান তিনি। আজকের ম্যাচেই বিশেষ এক মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে তাকে।

৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে জসপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে যৌথভাবে এবারের আইপিএলে উইকেট শিকারীর শীর্ষে আছেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বুমরাহ ১৪ উইকেট পেলেও ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজের চেয়ে দুটো বেশি। আজ মুস্তাফিজ তাই সুযোগ পাচ্ছেন অবশেষে পার্পল ক্যাপটা বুমরাহর কাছ থেকে ছিনিয়ে একান্ত নিজের করে নেওয়ার।

মুস্তাফিজের সামনে আজ একটা ব্যক্তিগত মাইলফলক ছোঁয়ার সুযোগও আছে। আইপিএলে নিজের সেরা মৌসুম কাটিয়েছিলেন তিনি ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট শিকার করছিলেন যা এখন পর্যন্ত আইপিএলে সেরা হয়ে আছে তার জন্য।

আইপিএলের ২০২৪ সালের চলতি আসরকে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বানিয়ে ফেলতে মুস্তাফিজের আজ চাই ৪ উইকেট। তাতেই নিজের গড়া রেকর্ডই টপকে যেতে পারবেন তিনি। মুস্তাফিজের জন্য ভালো খবর হচ্ছে, আজকের ম্যাচটা হবে চেন্নাইয়ের মাঠ চিপকের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। এই মৌসুমে ৫ ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন মোট ১১ উইকেট। সবশেষ ম্যাচেও নিয়েছেন দুই উইকেট।

আইপিএলের শুরুটা করেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে দুর্দান্তভাবে। ঠিক তেমন কিছুই আজ করে ফেলতে পারলেই মুস্তাফিজ হয়ে যাবেন এবারের আইপিএলে সেরাদের সেরা।

;