ইনকিউবেটর মাস্ক হতে পারে ভেন্টিলেটরের বিকল্প

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


মনসুর আহমেদ
উদ্ভাবিত মাস্কের মডেল

উদ্ভাবিত মাস্কের মডেল

  • Font increase
  • Font Decrease

মহামারি বলি কিংবা অদৃশ্য শক্তির সাথে যুদ্ধ, যাই বলি না কেন আমরা পার করছি মানবসভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সময়। গবেষণা, কৌশল আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে অতীতের মতো এবারো আমরা জয়ী হব।

তবে এবার আমাদের আরো বেশি সক্রিয় ও দূরদর্শী হতে হবে। কারণ যথেষ্ট দেরি হয়ে গিয়েছে, আর দেরি করার অবকাশ নেই।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে অনার্স শেষ করে মাস্টারস করতে আসি ইতালির মিলানে। পড়ালেখা শেষ করে ইন্টার্ন, এরপর প্রোডাক্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি। সেই সুবাদেই ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে ইতালির নানা শহর। যেমন গোছানো এদের শহরগুলো ঠিক তেমনই গোছানো এদের প্রশাসনিক, দাপ্তরিক এবং স্বাস্থ্য অবকাঠামো।

এত সুসজ্জিত একটা দুর্গ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল শুধু কিছু ভুল আর বিলম্বিত সিদ্ধান্তের কারণে। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর, ফ্যাশন আইকন এক নগরীতে আজ শুধু অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন, কখনো খুব কাছ থেকে আবার কখনো ভেসে আসে দূর থেকে।

আমার দেশ বাংলাদেশও আজ একই যুদ্ধে শামিল। দেরি হবার আগেই নিতে হবে পদক্ষেপ আর প্রস্তুত থাকতে হবে হাতিয়ার নিয়ে। যেহেতু এখনও কার্যকর কোন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয়নি, তাই প্রতিরোধই হবে এই যুদ্ধে জয়ী হবার প্রধান রণকৌশল। প্রথমে রক্ষা করতে হবে আমাদের ডাক্তারদের, যারা এই যুদ্ধের অগ্রভাগের সেনানি, তাদের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পিপিই। আমার বিশ্বাস সরকার ইতোমধ্যে সফলভাবে এই ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। এবার নজর দিতে হবে আক্রান্ত রোগীদের দিকে।

ভেন্টিলেটর, এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত যন্ত্র। কারণ এই যন্ত্র দিয়ে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব। তবে ঘাটতি আছে এই যন্ত্রের, আর এটি ব্যয়বহুলও। কিন্তু প্রতিটি জীবনই অমূল্য।

এমন যদি করা যায়, একটি মাস্ক হয়ে উঠবে এক একটি ইনকিউবেটর, আর এই মাস্কগুলো বানাতে খরচ হবে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মতো। এই চিন্তা থেকে আমি একটি ফুলফেস মাস্কের মডেল দাঁড় করিয়েছি, যা হবে ওয়ান ফুলফেস মাস্ক, ওয়ান ইনকিউবেটর (একটি ফুলফেস মাস্ক, একটি জীবন)।

উদ্ভাবিত মাস্কের মডেল

প্রাথমিক মডেলের ছবি এবং ফিচারগুলোর বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো। মাস্কটির কাঠামো থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশ তৈরি সুলভ পলিমার দিয়ে।

ফ্রেমের চারপাশে থাকবে রাবার, যা আক্রান্ত রোগীর পুরো মুখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে। তাই এই মাস্ক পরিধানের পর ডাক্তার/নার্স এবং আশপাশের সুস্থ মানুষের সংক্রমিত হবার আশঙ্কা থাকবে না। এছাড়া নেই আলাদা কোনো রুমের প্রয়োজন। সাধারণ ওয়ার্ডেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের রাখা সম্ভব।

মুখের অগ্রভাগে (নাকের অংশে) বসানো হবে, বারবার ধুয়ে ব্যবহারযোগ্য পলিমারিক মেমব্রেন (ওয়ান টাইম সার্জিকাল ফিল্টারও ব্যবহার করা সম্ভব)।

বিভিন্ন আকৃতির মুখের সাথে মানিয়ে নেবার জন্য ফ্রেমের চোয়ালে আছে অ্যাডজাস্টেবল মেকানিজম।

মাস্কের মাথার অংশে থাকবে একটি সকেট, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এই সকেটে আছে দুটি চ্যানেল। একটি যুক্ত হবে অক্সিজেনের লাইনের সাথে আর অন্য চ্যানেলে থাকবে পিইপি (পজিটিভ অ্যান্ড এক্সপিরেটরি প্রেসার)। যার সাহায্যে কর্তব্যরত ডাক্তার অক্সিজেনের পরিমাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

ফ্রেমের অভ্যন্তরীণ চ্যানেল অক্সিজেনের সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

মাস্কের ভিতরের আর্দ্রতা স্বাভাবিক রাখার জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা।

মডেলটির কিছু ছবি কয়েকজন বিশিষ্ট ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছিল এবং সবাই আশা করছেন এটি হতে পারে সত্যিকার অর্থেই একটি জীবন রক্ষাকারী ফুলফেস মাস্ক। এ কারণে সবার আগে প্রয়োজন কিছু মাস্ক তৈরি করা, যাতে করে এর পরিক্ষামূলক ফলাফল যাচাই করা যায়।

যদিও দেশে এখন লকডাউন পরিস্থিতি, তবুও আশা করব দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠান যোগাযোগের জন্য এগিয়ে আসবে এবং বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এক সাথে কাজ করতে পারব। এখনই উৎপাদনে যাবার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজাইন এবং নির্দেশনা প্রস্তুত আছে এবং কিছু হাসপাতালও আগ্রহী এর প্রয়োগ দেখতে।

আমি আশা করি অতি দ্রুত আমরা পরীক্ষামূলক কিছু ফুলফেস মাস্ক বানিয়ে হাসপাতালগুলোকে দিতে পারব এবং তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সারা দেশে এই মাস্ক পৌঁছে দিতে পারব।

 
মনসুর আহমেদ
ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার
মিলান, ইতালি।
Email: [email protected]

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;