স্বাস্থ্যকর গুণে ভরপুর গাঁদা ফুল



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল

  • Font increase
  • Font Decrease

এক ঝুড়ি উজ্জ্বল কমলা-হলুদ গাঁদা ফুল হলো রঙের ঝাঁপি।

বিয়ের অনুষ্ঠান, পহেলা ফাগুন কিংবা পহেলা বৈশাখেও গাঁদা ফুল ছাড়া উৎসবের আমেজটাই যেন আসে না। মনোহর সুবাসযুক্ত এই ফুল সাজসজ্জা কিংবা গৃহসজ্জার জন্যে ব্যবহৃত হলেও ভীষণ উপকারী ফুল হিসেবে আয়ুর্বেদিক ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় অনেক বড় পরিসরে।

প্রাকৃতিক এই উপাদানকে বলা হয়ে থাকে প্রশান্তিদায়ক উপাদান। এতে উপস্থিত থাকা বিশেষ উপকারী উপাদান ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে পেটের সমস্যাতেও গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

গাঁদা ফুলের মেডিসিনাল উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আজকের ফিচারে দারুণ এই ফুলটির কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো।

আরো পড়ুন: কেন খাবেন আদা?

ত্বকের উপকারে গাঁদা ফুল

এই ফুলে থাকা চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান সমূহ ত্বকের ঘরোয়া চিকিৎসায় বেশ কার্যকর। রোদে পোড়াভাব, পোকামাকড়ের কামড়, আঁচিল, ও ব্রণের সমস্যায় গাঁদা ফুলের পাপড়ি ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া ত্বকে ব্যাথা পেলে, পুড়ে গেলে অথবা র‍্যাশ দেখা দিলেও গাঁদা ফুলের পাপড়ি ব্যবহারে উন্নতি দেখা দেয়।

গাঁদা ফুল নতুন কোষ তৈরি করে এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। যা ত্বকের কোলাজেন তৈরির মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে সুস্থ ও সুন্দর।

ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ কমায়

গাঁদা ফুলে শুধু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানই নয়, আছে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান সমূহও। গবেষণা থেকে দেখা গেছে গাঁদা ফুলে বেশ কিছু সক্রিয় ও উপকারী প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে যা ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজের মাত্রা কমাতে ও নতুন কোষ তৈরিতে কাজ করে। এমনকি শরীরের ক্ষতস্থানে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতেও বাধাদান করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/02/2018-Aug-02_16_55_10_news_post.jpg

পেটের সমস্যা ও পিরিয়ডের সমস্যা কমায়

অন্ত্রের সমস্যা যাকে বলা হয়ে থাকে কলাইটিস (Colitis) অথবা মলাশয়ের প্রদাহের সমস্যাকে কমিয়ে আনে গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরিকৃত চা গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যায় উপকারী পানীয়। এছাড়াও পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তলপেটের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে এই চা।

চোখের উপকারে গাঁদা ফুল

চোখের যে কোন ধরণের প্রদাহ ও ইনফেকশনের সমস্যায় গাঁদা ফুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখের ক্রনিক কোন সমস্যা কিংবা ইনফেকশনের সমস্যায় গাঁদা ফুল ব্যবহার চোখের চিকিৎসা ত্বরান্বিত করে।

আরো পড়ুন: শারীরিক ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে উপকারী পানীয়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আপনি কী ঠাণ্ডা কিংবা জ্বরের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন? সেক্ষেত্রে গাঁদা ফুলের পাপড়ির রস সবচেয়ে বেশি উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করবে। গাঁদা ফুলের রস সাধারণ ঠাণ্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথার সমস্যা কমিয়ে আনে। পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর সহজে কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারে না।

এতো সকল স্বাস্থ্য উপকারিতার ভেতর ছোট্ট করে আরো জেনে রাখুন, ঘরের পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে খুব ভালো কাজ করে গাঁদা ফুল।

   

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;

গরমেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে সুপারফুডে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের এই সময়টাতে নিয়মিত সুপারফুড খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের  সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। গ্রীষ্মকাল সাধারণত সূর্যালোক এবং উচ্চ তাপমাত্রার এক্সপোজার নিয়ে আসে। এতে  পানিশূন্যতা ও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

এই সময়ে ডায়েটে পুষ্টিকর সুপারফুড অন্তর্ভুক্ত থাকলেই মিলবে সমস্যার সমাধান। ত্বককে সুরক্ষা এবং পুষ্টি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইড্রেশন সরবরাহ করতে পারে এসব সুপারফুডগুলো। 

গ্রীষ্মকালীন এমন প্রয়োজনীয় সুপারফুডগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এসব খাবার স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডায়েটে যোগ করতে পারেন আপনিও।

উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গ্রীষ্মকালীন ১০টি সুপারফুড:

১. বেরি

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরির মতো বেরি জাতীয় খাবার ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ; যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের সাথে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্যালাড, স্মুদি বা স্ন্যাক হিসাবে এগুলো তাজা খাওঅর চেষ্টা করুন।

২. তরমুজ

এই হাইড্রেটিং ফলের মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এর সতেজ রস শরীরের ও ত্বকের সুস্থতা বাড়ায়।

৩. শসা

উচ্চ পানিগ্রাহী খাবার শসা আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিনগুলোকে বের করে দেয়। শসায় সিলিকাও রয়েছে, যা দৃঢ় এবং কোমল ত্বকের জন্য কোলাজেন উত্পাদনকে উত্সাহ দেয়। সালাদ, তরকারি বা নাস্তার উপাদান  হিসেবে শসা উপভোগ করুন।

৪. টমেটো

লাইকোপেন সমৃদ্ধ টমেটো ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করে। রান্না করা টমেটো বা টমেটো পেস্ট আরও বেশি উপকারী; কারণ লাইকোপিন আরও জৈব উপলভ্য হয়ে ওঠে। সালাদ, স্যুপ বা সস হিসেবেও টমেটো খেতে পারেন।

৫. অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই দিয়ে পরিপূর্ণ, অ্যাভোকাডোস ত্বককে ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে এবং অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। টোস্টে, সালাদে, বা ক্রিমি স্মুদিতে মিশ্রিত করে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।

৬. পালং শাক

এই সবুজ পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের মেরামত এবং পুনর্নবীকরণ করে। এতে আয়রন এবং ক্লোরোফিলও রয়েছে, যা ত্বককে ডিটক্সিফাই করে এবং বর্ণ উন্নত করে। সালাদে কাঁচা, ভাজা বা স্মুদিতে মিশিয়ে পালং শাক খেতে পারেন।

৭. সালমন

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এটিতে অ্যাটাক্সান্থিনও রয়েছে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। একটি সুস্বাদু এবং ত্বকের জন্যও পুষ্টিকর- এমন খাবারের জন্য গ্রিলড, বেকড বা পোচড খেতে পারেন।

৮. নারকেল

নারকেলের পানি বা তেল বা মাংসের অংশ সবকিছুই হাইড্রেটিং করে এবং এতে মাঝারি-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেলকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বা স্কিনকেয়ার রেসিপিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৯. হলুদ

এই সোনালি মশলাটিতে কারকিউমিন রয়েছে, যার মধ্যে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একটি পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল বর্ণকে উন্নীত করে।ত্বকের উন্নতির জন্য তরকারি, স্মুদি বা গোল্ডেন মিল্কের সাথে এটি যোগ করতে পারেন।

১০. ডার্ক চকোলেট

কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোসহ উচ্চমানের ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ত্বকে রক্ত​​প্রবাহ উন্নত করে একটি স্বাস্থ্যকর আভা দেয়। এটি পরিমিতভাবে খেতে পারেন বা স্মুদি বা ডেজার্টে কোকো পাউডার হিসেবে যোগ করতে পারেন।

মনে রাখবেন, যদিও এই সুপারফুডগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত করতে সক্ষম, তবে সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং পুরো শস্য সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, হাইড্রেটেড থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং ত্বকের যত্নের ভালো অভ্যাস অনুশীলন করা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

;