ইগো সরিয়ে দায়িত্ববান হন- পাপনকে পরামর্শ সাবের চৌধুরীর

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট


স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সাবের হোসেন চৌধুরী ও নাজমুল হাসান পাপন

সাবের হোসেন চৌধুরী ও নাজমুল হাসান পাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটাররা ধর্মঘটে। এখন পর্যন্ত অচলাবস্থা কাটেনি। ২১ অক্টোবর, সোমবার দুপুর থেকে দেশের ক্রিকেটাররা তাদের ১১ দফা পূরণের দাবি জানিয়ে সবধরনের ক্রিকেট থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) শক্ত অবস্থানে। অচলাবস্থা কবে কাটবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সামনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভারত সফর। সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্রিকেটীয় এই সঙ্কটে দেশ ও আর্ন্তজাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আশু সমাধান কি? বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এই বিষয়ে সহযোগী একটি টিভি চ্যানেলে বিস্তারিত বলেছেন। দেশের ক্রিকেটের এই অচলাবস্থার জন্য সাবের হোসেন চৌধুরী মূলত বর্তমান বোর্ডের শীর্ষ কর্তা নাজমুল হাসান পাপনের ‘ইগো’কে দায়ী করেছেন।

বোর্ড সভাপতি নাজমুল হোসেন বলেছেন ক্রিকেটারদের দাবিগুলো তিনি দেখেছেন। কিন্তু তারা তো দাবিগুলো নিয়ে আমাদের কাছেই আসেইনি। এলে তো সব দাবি মেনেই নেয়া হত। মিডিয়ার কাছে তারা দাবি উপস্থাপন করেছে। এই প্রসঙ্গে সাবের হোসেন চৌধুরী বলছিলেন-‘ এটাই কি তাহলে এই বিষয়ে একমাত্র পদ্ধতিগত সমস্যা। আমরা কি বৃহত্তর ক্রিকেটীয় স্বার্থটা দেখবো না? ধরেই নিলাম খেলোয়াড়রা একটা ভুল করলো। কিন্তু তাই বলে আমি বসে থাকবো। তাহলে তো সেক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা একটা ইগোর সমস্যা। মনে হচ্ছে ব্যাপারটা এমন-আমার কাছে আসোনি, আমি হলাম ক্রিকেট বোর্ডের সম্রাট (যদিও সম্রাট বিষয়টা এখন অন্য এবং বড় একটা প্রেক্ষাপটে চলে আসে!)। আমার কাছেই সবাইকে আসতে হবে, যদি না আসে তাহলে আমি ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থ দেখবো না! এই ধরনের আচরণ খুবই অপরিণত একটা অ্যাপ্রোচ। আপনার কাছে একজন সরাসরি এসে দাবিগুলো করল না কেন, এজন্য পুরো ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে? এসব ইগো নিয়ে থাকলে তো ক্রিকেটের অচলাবস্থা কাটবে কিভাবে?’
 
দেশের ক্রিকেটের বর্তমান সঙ্কটকে ছোট পরিসরে দেখার উপায় নেই জানিয়ে সাবের চৌধুরী বলছিলেন-‘আমার কাছে মনে হয় পুরো বিষয়টা এখন স্বার্থের জালে আটকা পড়েছে। ২০১৩ সালের বিসিবির গঠনতন্ত্রে যে বদল আনা হয়েছে সেটা দুনিয়ার আর কোন দেশের ক্রিকেটে নেই। এই গঠনতন্ত্রে ক্লাবগুলোতে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্লাবকে এই নির্বাচনে দুটো করে ভোট দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে। যা ইতিহাসে আর কোথাও নেই! এভাবে নির্বাচিত হয়ে যারা বোর্ডে এসেছেন তারা সবাই ক্লাবের স্বার্থটাকেই দেখছেন। এখানে জাতীয় স্বার্থ বলে কোনকিছু আর নেই। ঢাকার যে ক্রিকেট খেলুড়ে ক্লাবগুলো আছে তার সবগুলোরই নিয়ন্ত্রণ দেশের দুটো বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে কাউন্সিলারদেরকে তারা নিজেদের করে নিয়েছে। একটা উদাহরণ দেই। বোর্ডের পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ব্রার্দাস ইউনিয়ন ক্লাবের কাউন্সিলর। মল্লিক সাহেব বেক্সিমকোতে চাকরি করেন। পাপন সাহেবের খুবই ঘনিষ্ঠ তিনি। সেজন্য তাকে ব্রার্দাস থেকে কাউন্সিলার বানানো হয়েছে। এভাবে করে সব ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ এবং কাউন্সিলশিপ নিয়ে নেয়া হয়েছে। এমন পদ্ধতিতে নির্বাচন যখনই হোক, যেভাবেই হোক উনারা যাকে চাইবেন শুধু সেই বোর্ডে আসতে পারবে। এটাই তো স্বার্থের সংঘাতের বিষয়। নিয়ম হলো বোর্ডের পরিচালকরা ক্রিকেট বোর্ডের কোন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। কিন্তু এখন খোঁজ নিয়ে দেখেন টিভি সম্প্রচার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় সবকিছুতেই বোর্ডের পরিচালকরা জড়িয়ে আছেন। বোর্ডের বিভিন্ন কাজের জন্য ঠিকাদারদের ডেকে বলা হয়-অমুক কাজের জন্য খরচের শতকরা হার তুমি বাড়িয়ে দাও। সুতরাং বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকদের মধ্যে (সবাই না, কিছু কিছু) যখন বানিজ্যের বিষয়টা চলে আসে তখন এখানে ক্রিকেটের স্বার্থ বলতে আর কিছু থাকে না।’

ক্রিকেটাররা যে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সেখানে তাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির বিষয়টিও রয়েছে। শুধু নিজেদেরই পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তা কিন্তু নয়। তারা স্থানীয় কোচ, কিউরেটর, আম্পায়ার এমনকি গ্রাউন্ডসম্যানদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবি তুলে ধরেছে।

এই প্রসঙ্গে সাবের চৌধুরীর বিশ্লেষণ হলো-‘ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের বিষয়টি অবশ্যই আমাদের এখন আর্ন্তজাতিক মান অনুযায়ীই ভাবতে হবে। আমরা তো এখন আর আইসিসির এসোসিয়েট সদস্য নই। পূর্ণ সদস্য। একটা তালিকায় দেখলাম টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সম্পদের বিবরণ অনুযায়ী পঞ্চম ধনী। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়ারও উপরে বাংলাদেশের স্থান! তাহলে আমরা তো ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারেও একটা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড আশা করতেই পারি। আমি বলছি না ক্রিকেটারদের সব দাবি এখনই মেনে নিতে, কিন্তু একটা আলাপ-আলোচনা যদি তাহলে মাঝখানে থাকার মতো একটা অবস্থান তৈরি হতে পারে। এখন তো যা হচ্ছে তা শুধু পক্ষ-বিপক্ষ। ইগোর সমস্যা দেখা দিয়েছে। তুমি আমার ইগোতে আঘাত করেছো। অসন্মান করেছো। সুতরাং তোমার সঙ্গে আমি কথা বলবো না। এটা তো স্কুল বা কিন্ডারগার্ডেনে নার্সারি পর্যায়ের ছাত্রের মতো আচরণ হয়ে গেল! কিন্তু এটা তো ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারো কাছ থেকে এমন আচরণ তো আশা করা যায় না।’

ক্রিকেটাররা যে সমস্যার কথা তুলে ধরেছে সেটা নতুন কিছু নয়। এই সমস্যার বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডও জানতো। ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ও জানতো। কিন্তু তারপরও ক্রিকেটাররা তাদের দাবি দাওয়া ভিন্ন মেজাজে মানুষের সামনে তুলে ধরেছে। এই প্রসঙ্গে সাবের চৌধুরীর ব্যাখ্যাটা এমন- ‘খেলোয়াড়রা হয়তো মনে করেছে ওনাদের কাছে গিয়ে কোন লাভ নেই। সমাধান হবে না। তারপরও আমি মনে করি তাদের যাওয়া উচিত ছিল, ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। আমি ক্রিকেটারদের দাবির স্পিরিটের সঙ্গে একমত। তবে হ্যাঁ এটার উপস্থাপনটা ভিন্নভাবে হতে পারতো। কিন্তু ক্রিকেটারদের এই একটা ভুলের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কোন ভুক্তভোগী হতে হবে? বাংলাদেশ ক্রিকেট কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে?’

-তাহলে এখন চটজলদি সমাধান কিসে?
 
বিসিবির সাবেক সভাপতি হিসেবে সাবের চৌধুরী তার অভিজ্ঞতা থেকে বলছিলেন-‘সভাপতি সাহেবকে আমি বলবো, ক্রিকেটারদের চায়ের দাওয়াত দেন। তাদের সঙ্গে বসুন। কথা বলুন। ইগো বাদ দেন। ও আমার দিকে তাকায়নি কেন-ওর সঙ্গে কথা বলবো না, এমন চিন্তাভাবনা নিয়ে বোর্ডের দায়িত্ব পালন করার কোন অর্থ হয় না। বোর্ড হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক। তারাই তো এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করবে। সংসারে সন্তান যদি কোন দোষ করে আর বাবা যদি বলে তুমি দোষ করেছো তোমার সঙ্গে আর কোন কথা বলবো না, এটা কি কোন দায়িত্বপূর্ণ কথা হবে? দায়িত্বের ভার তো অভিভাবকের ওপরই বেশি।’

আরও পড়ুন-

হঠাৎ বিদ্রোহী ক্রিকেটাররা, সব ধরনের খেলা বয়কট

যে ১১ দফা দাবিতে ক্রিকেটাররা ধর্মঘটে

ব্যাকফুটে থাকা বিসিবি এখন রক্ষণাত্মক!

সৌরভ আশাবাদী বাংলাদেশ আসবে, কথা বলবেন বিসিবির সঙ্গে

ক্রিকেটারদের দাবির সঙ্গে আছেন মাশরাফিও

ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি

ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে ফিকার সমর্থন, কোয়াবের সদস্যপদে লাল কালির দাগ!

ক্রিকেটাররা ধর্মঘটে, পাপনের পাল্টা অভিযোগ কিন্তু সমাধান কী?

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮২ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;

দারুণ প্রত্যাবর্তনে আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;