ইগো সরিয়ে দায়িত্ববান হন- পাপনকে পরামর্শ সাবের চৌধুরীর

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট


স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সাবের হোসেন চৌধুরী ও নাজমুল হাসান পাপন

সাবের হোসেন চৌধুরী ও নাজমুল হাসান পাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটাররা ধর্মঘটে। এখন পর্যন্ত অচলাবস্থা কাটেনি। ২১ অক্টোবর, সোমবার দুপুর থেকে দেশের ক্রিকেটাররা তাদের ১১ দফা পূরণের দাবি জানিয়ে সবধরনের ক্রিকেট থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) শক্ত অবস্থানে। অচলাবস্থা কবে কাটবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সামনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভারত সফর। সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্রিকেটীয় এই সঙ্কটে দেশ ও আর্ন্তজাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আশু সমাধান কি? বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এই বিষয়ে সহযোগী একটি টিভি চ্যানেলে বিস্তারিত বলেছেন। দেশের ক্রিকেটের এই অচলাবস্থার জন্য সাবের হোসেন চৌধুরী মূলত বর্তমান বোর্ডের শীর্ষ কর্তা নাজমুল হাসান পাপনের ‘ইগো’কে দায়ী করেছেন।

বোর্ড সভাপতি নাজমুল হোসেন বলেছেন ক্রিকেটারদের দাবিগুলো তিনি দেখেছেন। কিন্তু তারা তো দাবিগুলো নিয়ে আমাদের কাছেই আসেইনি। এলে তো সব দাবি মেনেই নেয়া হত। মিডিয়ার কাছে তারা দাবি উপস্থাপন করেছে। এই প্রসঙ্গে সাবের হোসেন চৌধুরী বলছিলেন-‘ এটাই কি তাহলে এই বিষয়ে একমাত্র পদ্ধতিগত সমস্যা। আমরা কি বৃহত্তর ক্রিকেটীয় স্বার্থটা দেখবো না? ধরেই নিলাম খেলোয়াড়রা একটা ভুল করলো। কিন্তু তাই বলে আমি বসে থাকবো। তাহলে তো সেক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা একটা ইগোর সমস্যা। মনে হচ্ছে ব্যাপারটা এমন-আমার কাছে আসোনি, আমি হলাম ক্রিকেট বোর্ডের সম্রাট (যদিও সম্রাট বিষয়টা এখন অন্য এবং বড় একটা প্রেক্ষাপটে চলে আসে!)। আমার কাছেই সবাইকে আসতে হবে, যদি না আসে তাহলে আমি ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থ দেখবো না! এই ধরনের আচরণ খুবই অপরিণত একটা অ্যাপ্রোচ। আপনার কাছে একজন সরাসরি এসে দাবিগুলো করল না কেন, এজন্য পুরো ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে? এসব ইগো নিয়ে থাকলে তো ক্রিকেটের অচলাবস্থা কাটবে কিভাবে?’
 
দেশের ক্রিকেটের বর্তমান সঙ্কটকে ছোট পরিসরে দেখার উপায় নেই জানিয়ে সাবের চৌধুরী বলছিলেন-‘আমার কাছে মনে হয় পুরো বিষয়টা এখন স্বার্থের জালে আটকা পড়েছে। ২০১৩ সালের বিসিবির গঠনতন্ত্রে যে বদল আনা হয়েছে সেটা দুনিয়ার আর কোন দেশের ক্রিকেটে নেই। এই গঠনতন্ত্রে ক্লাবগুলোতে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্লাবকে এই নির্বাচনে দুটো করে ভোট দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে। যা ইতিহাসে আর কোথাও নেই! এভাবে নির্বাচিত হয়ে যারা বোর্ডে এসেছেন তারা সবাই ক্লাবের স্বার্থটাকেই দেখছেন। এখানে জাতীয় স্বার্থ বলে কোনকিছু আর নেই। ঢাকার যে ক্রিকেট খেলুড়ে ক্লাবগুলো আছে তার সবগুলোরই নিয়ন্ত্রণ দেশের দুটো বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে কাউন্সিলারদেরকে তারা নিজেদের করে নিয়েছে। একটা উদাহরণ দেই। বোর্ডের পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ব্রার্দাস ইউনিয়ন ক্লাবের কাউন্সিলর। মল্লিক সাহেব বেক্সিমকোতে চাকরি করেন। পাপন সাহেবের খুবই ঘনিষ্ঠ তিনি। সেজন্য তাকে ব্রার্দাস থেকে কাউন্সিলার বানানো হয়েছে। এভাবে করে সব ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ এবং কাউন্সিলশিপ নিয়ে নেয়া হয়েছে। এমন পদ্ধতিতে নির্বাচন যখনই হোক, যেভাবেই হোক উনারা যাকে চাইবেন শুধু সেই বোর্ডে আসতে পারবে। এটাই তো স্বার্থের সংঘাতের বিষয়। নিয়ম হলো বোর্ডের পরিচালকরা ক্রিকেট বোর্ডের কোন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। কিন্তু এখন খোঁজ নিয়ে দেখেন টিভি সম্প্রচার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় সবকিছুতেই বোর্ডের পরিচালকরা জড়িয়ে আছেন। বোর্ডের বিভিন্ন কাজের জন্য ঠিকাদারদের ডেকে বলা হয়-অমুক কাজের জন্য খরচের শতকরা হার তুমি বাড়িয়ে দাও। সুতরাং বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকদের মধ্যে (সবাই না, কিছু কিছু) যখন বানিজ্যের বিষয়টা চলে আসে তখন এখানে ক্রিকেটের স্বার্থ বলতে আর কিছু থাকে না।’

ক্রিকেটাররা যে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সেখানে তাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির বিষয়টিও রয়েছে। শুধু নিজেদেরই পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তা কিন্তু নয়। তারা স্থানীয় কোচ, কিউরেটর, আম্পায়ার এমনকি গ্রাউন্ডসম্যানদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবি তুলে ধরেছে।

এই প্রসঙ্গে সাবের চৌধুরীর বিশ্লেষণ হলো-‘ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের বিষয়টি অবশ্যই আমাদের এখন আর্ন্তজাতিক মান অনুযায়ীই ভাবতে হবে। আমরা তো এখন আর আইসিসির এসোসিয়েট সদস্য নই। পূর্ণ সদস্য। একটা তালিকায় দেখলাম টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সম্পদের বিবরণ অনুযায়ী পঞ্চম ধনী। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়ারও উপরে বাংলাদেশের স্থান! তাহলে আমরা তো ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারেও একটা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড আশা করতেই পারি। আমি বলছি না ক্রিকেটারদের সব দাবি এখনই মেনে নিতে, কিন্তু একটা আলাপ-আলোচনা যদি তাহলে মাঝখানে থাকার মতো একটা অবস্থান তৈরি হতে পারে। এখন তো যা হচ্ছে তা শুধু পক্ষ-বিপক্ষ। ইগোর সমস্যা দেখা দিয়েছে। তুমি আমার ইগোতে আঘাত করেছো। অসন্মান করেছো। সুতরাং তোমার সঙ্গে আমি কথা বলবো না। এটা তো স্কুল বা কিন্ডারগার্ডেনে নার্সারি পর্যায়ের ছাত্রের মতো আচরণ হয়ে গেল! কিন্তু এটা তো ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারো কাছ থেকে এমন আচরণ তো আশা করা যায় না।’

ক্রিকেটাররা যে সমস্যার কথা তুলে ধরেছে সেটা নতুন কিছু নয়। এই সমস্যার বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডও জানতো। ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ও জানতো। কিন্তু তারপরও ক্রিকেটাররা তাদের দাবি দাওয়া ভিন্ন মেজাজে মানুষের সামনে তুলে ধরেছে। এই প্রসঙ্গে সাবের চৌধুরীর ব্যাখ্যাটা এমন- ‘খেলোয়াড়রা হয়তো মনে করেছে ওনাদের কাছে গিয়ে কোন লাভ নেই। সমাধান হবে না। তারপরও আমি মনে করি তাদের যাওয়া উচিত ছিল, ক্রিকেট বোর্ডের কাছে। আমি ক্রিকেটারদের দাবির স্পিরিটের সঙ্গে একমত। তবে হ্যাঁ এটার উপস্থাপনটা ভিন্নভাবে হতে পারতো। কিন্তু ক্রিকেটারদের এই একটা ভুলের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কোন ভুক্তভোগী হতে হবে? বাংলাদেশ ক্রিকেট কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে?’

-তাহলে এখন চটজলদি সমাধান কিসে?
 
বিসিবির সাবেক সভাপতি হিসেবে সাবের চৌধুরী তার অভিজ্ঞতা থেকে বলছিলেন-‘সভাপতি সাহেবকে আমি বলবো, ক্রিকেটারদের চায়ের দাওয়াত দেন। তাদের সঙ্গে বসুন। কথা বলুন। ইগো বাদ দেন। ও আমার দিকে তাকায়নি কেন-ওর সঙ্গে কথা বলবো না, এমন চিন্তাভাবনা নিয়ে বোর্ডের দায়িত্ব পালন করার কোন অর্থ হয় না। বোর্ড হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক। তারাই তো এগিয়ে এসে সমস্যার সমাধান করবে। সংসারে সন্তান যদি কোন দোষ করে আর বাবা যদি বলে তুমি দোষ করেছো তোমার সঙ্গে আর কোন কথা বলবো না, এটা কি কোন দায়িত্বপূর্ণ কথা হবে? দায়িত্বের ভার তো অভিভাবকের ওপরই বেশি।’

আরও পড়ুন-

হঠাৎ বিদ্রোহী ক্রিকেটাররা, সব ধরনের খেলা বয়কট

যে ১১ দফা দাবিতে ক্রিকেটাররা ধর্মঘটে

ব্যাকফুটে থাকা বিসিবি এখন রক্ষণাত্মক!

সৌরভ আশাবাদী বাংলাদেশ আসবে, কথা বলবেন বিসিবির সঙ্গে

ক্রিকেটারদের দাবির সঙ্গে আছেন মাশরাফিও

ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি

ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে ফিকার সমর্থন, কোয়াবের সদস্যপদে লাল কালির দাগ!

ক্রিকেটাররা ধর্মঘটে, পাপনের পাল্টা অভিযোগ কিন্তু সমাধান কী?

   

ব্যাটিং রূপকথার রাতে পাঞ্জাবের ইতিহাসগড়া জয়



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতার দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

আইপিএল ইতিহাসে রান তাড়ার আগের কীর্তিটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল দলটি। সে রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আজ নতুন ইতিহাস লিখেছে পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে শশাঙ্ক আরোরা এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে আইপিএল ফোকলোরের অংশ হয়ে গেছে তারা।

কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য ছিল পাঞ্জাবের পক্ষে। টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেন। ঘরের মাঠে দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। পাঞ্জাবের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬২ বলে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার। ১০ ওভার পেরোতেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এর আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান আসে সল্টের ব্যাটে, নারাইন থামেন ৩২ বলে ৭১ রান করে।

সল্ট-নারাইনের তাণ্ডবের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৪ রানের ছোট তবে দেড়শর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলা বিস্ফোরক ইনিংসগুলোতে চড়ে ২০ ওভারে ২৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তারা। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান পেসার আর্শদীপ সিং।

আইপিএলের এবারের আসরে যেভাবে পাইকারি হারে দুইশর উপর রান করছে দলগুলো, তাতে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না কলকাতার। তবু জিততে হলে পাঞ্জাবকে আইপিএলে ইতিহাস গড়তে হবে তা হয়ত কলকাতার সমর্থকদের আশা জোগাচ্ছিল।

কিন্তু ইংলিশ উইলোবাজ বেয়ারস্টোর ব্যাটে সে আশায় গুঁড়েবালি! ৪৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে। তার আগে অবশ্য ইমপ্যাক্ট সাব প্রভসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানের তাণ্ডব চালিয়ে পাঞ্জাবের হৃদয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন। আর সে বিশ্বাসকে শেষবেলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ২৮ বলে ২ চার ও ৮টি বিশাল ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শশাঙ্ক।

ইডেন গার্ডেনসে কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মিলে করেছেন ৫২৩ রান, গড়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ ছক্কার রেকর্ড। এমন রাতকে ব্যাটিং রূপকথার রাত না বললে চলেই না।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

  ক্রিকেটারদের ধর্মঘট

;