চুলের যত্নে চাই মুলতানি মাটি
চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার নতুন কিছু নয়।
বছরের পর বছর নারীরা চুলের যত্নে ব্যবহার করে আসছেন মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটিতে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল থাকায় এর মাধ্যমে চামড়া খুব সহজেই কোমল হয়ে ওঠে। মাথার চামড়া বা চুলের প্রায় সব ধরণের সমস্যায় এই মুলতানি মাটি ব্যবহার করা সম্ভব। তবে চুলের ধরণ বুঝে তৈরি করতে হবে মূলতানি মাটির প্যাক।
শুষ্ক চুলের জন্য মুলতানি মাটি
শুষ্ক চুলের জন্য মুলতানি মাটির প্যাকটি কীভাবে বানাতে হবে ও ব্যবহার করতে হবে সেটা জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, দুই টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও অর্ধেক কাপ দই এক সাথে নিয়ে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে হবে। এবার ধীরে মিশ্রনটি মাথার ত্বকে ও চুলে ম্যাসেজ করতে হবে। একটি তোয়ালে দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চুল ভালো করে পানিতে দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
তৈলাক্ত চুলের জন্য মুলতানি মাটি
একটি পাত্রে এক গ্লাস পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে মুলতানি মাটি দিয়ে অন্তত পাঁচ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার এক টেবিল চামচ রিঠা পাউডার মেশাতে হবে পানিতে ভিজিয়ে রাখা মুলতাটি মাটির সঙ্গে। ভালো করে মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে মিশ্রনটি। ৩০ মিনিট পর মাথার ত্বকে ও চুলে মিশ্রনটি দিয়ে ম্যাসেজ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। যেসব প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুল পরিষ্কার করা যায় তার মধ্যে অন্যতম পরিচিত উপাদান হলো রিঠা পাউডার।
খুশকির সমস্যা সমাধানে মুলতানি মাটি
পাঁচ-ছয় টেবিল চামচ মেথি এক রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভিজিয়ে রাখা মেথি সকালে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা মেথিতে চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি মেশাতে হবে। তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে পুনরায় মিশ্রণটি ভালো করে মেশাতে হবে। এবার প্যাক দিয়ে চুলের ত্বকে ভালো করে ম্যাসেজ করতে হবে। ম্যাসেজ হয়ে গেলে কাপড় দিয়ে ৩০ মিনিট পেঁচিয়ে রাখতে হবে মাথা। এবার ভালো করে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে মাথার ত্বক ও চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল সোজা করতে মুলতানি মাটি
এক কাপ মুলতানি মাটির সাথে পাঁচ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া ও একটি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে চুলের প্যাকটি। এবার প্যাকটি দিয়ে চুলে ভালো করে ম্যাসেজ করতে হবে। পাঁচ মিনিট পর চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিতে হবে। তারপর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে চুল ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ন্যাচারাল কনডিশনার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরিষ্কারের পর সহজেই বুঝতে পারবেন চুলের পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: চুলের সুস্থতায় আদা!
আরও পড়ুন: মুলতানি মাটির ব্যবহারে সুন্দর-সুস্থ ত্বক