তুলনাহীন তেজপাতা!
রান্নার সুঘ্রাণ ও স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয় তেজপাতা।
আমাদের রন্ধনশিল্পের বড় একটি অংশ জুড়ে আছে খুব সাধারণ এই পাতাটি। ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইতালিয়ান খাবারে তেজপাতা ব্যবহারের আধিক্য দেখা গেলেও মেক্সিকান, ইরানিয়ান খাবারেও তেজপাতা ব্যবহারের চল রয়েছে।
খাদ্য উপাদানের মতো তেজপাতা খাওয়া না হলেও, রান্নায় তেজপাতা ব্যবহার করা হয় তার সুবাসের জন্য। শুধু মশলা হিসেবে নয়, অ্যারোমাথেরাপি ও হারবাল ট্রিটমেন্টে ব্যবহারের জন্যেও তেজপাতা সমানভাবে সুপরিচিত ও জনপ্রিয়।
নিত্যদিন তেজপাতা ব্যবহার করা হলেও তার উপকারিতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই অনেকের। আজকের ফিচারে তেজপাতার চমৎকার উপকারিতার কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
১. মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা কমানোর ক্ষেত্রে তেজপাতা দারুণ কার্যকরি। এছাড়াও মন ভালো করার জন্যেও তেজপাতা অন্যতম। খাদ্যে মশলা, এসেনশিয়াল অয়েল হিসেবে কিংবা তেজপাতা চা তৈরি করেও ব্যবহার করা যাবে উপকারী এই পাতা।
২. তেজপাতা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৩. তেজপাতা ইন্টারলিউকিন (Interleukin) এর উৎপাদনের মাত্রা কমায়। ইন্টারলিউকিন এক ধরণের প্রোটিন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে নিঃসৃত হয় এবং প্রদাহ তৈরি করে।
৪. ক্ষত দ্রুত ভালো করতে তেজপাতা খুব ভালো কাজ করে। তেজপাতা বেঁটে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। তেজপাতার রস ক্ষত শুকাতে কাজ করবে।
৫. উপরেই বলা হয়েছে তেজপাতার তেল অ্যারোমাথেরাপি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা শরীর ও মনের উপরে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে কাজ করে। তেজপাতার তেল ব্যবহারে রাতে ঘুম ভালো হয় এবং প্রশান্তি পাওয়া যায়।
৬. তেজপাতায় অ্যান্টিফাংগাল উপাদান থাকায়, উপাদানটি ক্যানডিডা ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের বিপক্ষে কাজ করে।
৭. ঠাণ্ডা-কাশি ও গলাব্যথাজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে তেজপাতার চা সবচেয়ে ভালো কাজ করবে। দুই কাপ পানি পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে এতে তিন-চারটি তেজপাতা দিয়ে আরও দুই মিনিটের মতো ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ছেঁকে গরম পানি চায়ের মতো পান করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাত উপকারের এক মটরশুঁটি
আরও পড়ুন: অজানা গুণে ভরপুর সহজলভ্য লাউ