ঘরে তৈরি সারে সতেজ গাছ
ছাদে কিংবা ঘরের সাথে লাগোয়া ছোট বারান্দাতে ইদানিং অনেকেই গড়ে তুলছেন শখের বাগান।
এমনকি ঘরের ভেতরেও রাখছেন হোম প্ল্যান্ট। একটুখানি সবুজের ছোঁয়া যেন পুরো বাড়িতেই প্রাণের স্পন্দন এনে দেয়। চারপাশের যান্ত্রিকতার মাঝে তাই গাছেদের সঙ্গ প্রয়োজন হয় খুব বেশি।
কিন্তু গাছকে শুধু ভালোবাসলেই তো চলবে না। গাছেদের সঠিক পরিচর্যা ও যত্নেরও প্রয়োজন হয়। নিয়মিত আলো-বাতাসে রাখা ও পানি দেওয়ার পাশপাশি গাছের সঠিক পুষ্টির যোগান ও গাছের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন সার।
খেয়াল করে দেখবেন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর গাছের পাতা শুকিয়ে যায়, নেতিয়ে পড়ে কিংবা বিবর্ণ হয়ে যায়। এমনটা হওয়ার প্রধান কারণ, গাছে সার তথা সঠিক পুষ্টি উপাদানের অনুপস্থিতি।
যেহেতু হোম প্ল্যান্টের প্রচলনটা শহরের দিকে বেশি, সারের সঠিক পরিচিতি ও খোঁজ সম্পর্কে জানা থাকে না। সেক্ষেত্রে ঘরেই গাছের জন্য সার তৈরি করে নেওয়া যাবে একদম ঘরোয়া তিনটি পরিচিত উপাদান দিয়েই।
ঘরোয়া সার কীভাবে তৈরি করতে হবে?
গাছের জন্য ঘরোয়া সার তৈরিতে প্রয়োজন হবে- দুইটি বড় কলার খোসা, তিন টেবিল চামচ কফি গুঁড়া ও তিনটি ডিমের খোসা। এই তিনটি উপাদান একসাথে ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। তৈরিকৃত এই পেস্টটিই গাছের সার।
গাছের গোঁড়ায় এই পেস্টটি গাছের আকৃতি অনুযায়ী এক-তিন টেবিল চামচ পরিমাণ দিতে হবে এক সপ্তাহ পরপর। এতে করে গাছ একদম তরতাজা ও সতেজ হয়ে উঠবে কয়েকদিনের মাঝেই।
কেন এই ঘরোয়া সার কাজ করবে?
এতো পরিচিত উপাদানে তৈরি সার কীভাবে কাজ করবে ও কেন কাজ করবে, এমন সন্দেহ মনে কাজ করতেই পারে। সেক্ষেত্রে জেনে রাখুন, ঘরোয়া এই সার তৈরিতে ব্যবহৃত কলার খোসা থেকে গাছ পাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম। এদিকে কফি গুঁড়া থেকে পাবে নাইট্রোজেন ও ডিমের খোসার গুঁড়া থেকে পাবে ৯৩ শতাংশ ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এই পুষ্টিগুণগুলো গাছকে পুনরায় সতেজ করে তুলতে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: ছুটির মাঝে গাছ কীভাবে ভালো থাকবে?