ভ্রমণে যেমন খাবার রাখা চাই সাথে
ভ্রমণ যেমন মনকে প্রফুল্ল রাখে, তেমনিভাবে সুস্থ রাখে শরীরকেও।
তবে ভ্রমণে স্বাস্থ্যকর ও সঠিক খাবার নিয়ম মেনে গ্রহণ করা বেশ বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ভিন্ন স্থান, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন রুটিন এবং সাথে সময়ের তারতম্যের সাথে মানিয়ে খাদ্যাভ্যাসকে ঠিক রাখা দারুণ কষ্টসাধ্য।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাঝে একদিনের অনিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণেই দেখা দিতে পারে শারীরিক সমস্যা। এছাড়া যদি পুরো পরিবারের সাথে ভ্রমণে বের হওয়া হয়, তবে ঝামেলা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়ে বাইরের খাবার খাওয়া হয় সবচেয়ে বেশি, যা থেকেই শুরু হয় সমস্যার সূত্রপাত।
ভ্রমণে কেমন খাবার রাখা প্রয়োজন?
ভ্রমণে বের হওয়ার আগে খাবারের যোগাড় করতে হবে অবশ্যই। তবে খাবারের জন্য কী ধরনের খাবারের যোগাড় করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে বিপত্তি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চার ধরনের খাবার সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে হবে।
১. ভ্রমণে বের হতে খাবারের বন্দোবস্ত করতে প্রথমেই স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে হবে। ধরুন তিনদিনের জন্য ভ্রমণে বের হচ্ছেন আপনি। এ কদিনের জন্য ঘরে তৈরি ও হালকা ঘরানার স্বাস্থ্যকর খাবারই হবে প্রথম পছন্দ।
২. খাবার যেন এমন হয়, যেকোন অবস্থায় ও সময়ে ক্ষুধাভাব দেখা দিলেই খাওয়া যায়। খাবার খাওয়ার জন্য বাড়তি সময় ও ঝামেলার প্রয়োজন হবে না।
৩. ভ্রমণে বের হলে হাতে সময় সবসময়ই কম থাকে। এ সময়ে খাবারের আয়োজনের জন্য বাড়তি সময় পাওয়া যায় না বললেই চলে। তাই খাবারটি এমন হওয়া চাই যেন অল্প সময়ের মাঝেই প্রস্তুত করে নেওয়া যায়।
৪. বাজেট-ফ্রেন্ডলি অপশনের দিকেই ঝুঁকতে হবে খাবারের আয়োজন করতে। স্বাভাবিকভাবে ভ্রমণের জন্য আলাদা বাজেট তৈরি করতে হয়, সেখানে যদি খাবারের জন্য বিশাল বড় বাজেট রাখা হয় তবে খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হবে।
কী ধরনের খাবার প্রাধান্য পাবে ভ্রমণে?
একটা বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন, ভ্রমণে থাকাকালীন সময়ে ভরপেট ভারি খাবার গ্রহণের পরিবর্তে হালকা, সহজলভ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সে হিসেবে যে খাবারগুলো প্রাধান্য পাবে তার কয়েকটি তালিকায় তুলে আনা হলো।
ফল
ভ্রমণে কলা, কমলালেবু ও আপেলের মতো সহজ ফল সাথে রাখা যেতে পারে। বহনে সুবিধাযোগ্য, ক্ষুধা নিবারনে সাহায্য করে এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় এই ফলগুলো থাকবে উপরের সারিতে।
ড্রাই ফ্রুটস ও বাদাম
ভ্রমণে থাকাকালীন সময়ে ক্লান্তিবোধ করলে কিশমিশ কিংবা কয়েকটি কাঠবাদাম খেয়ে নিলেই শক্তি পাওয়া যাবে পুনরায়। এই খাবারগুলো তাৎক্ষণিকভাবে শারীরিক শক্তি প্রদান করে। তবে একবারে খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে বাদাম বা ড্রাই ফ্রুটস।
স্যান্ডউইচ
পাউরুটিতে মাখন, শসা, টমেটো, শুকনো মুরগির মাংস ও অল্প পেঁয়াজ দিয়ে দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করে সাথে রাখলে, ভ্রমণে যখন তখন খাওয়া যাবে। একটি স্যান্ডউইচেই পেট ভরবে এবং সাদামাট উপাদানে তৈরি বলে দ্রুত নষ্ট হওয়ার ভয়ও থাকবে না।
শুকনো খাবার
ভ্রমণে শুকনো খাবার সবসময়ই ভীষণ সুবিধাজনক। একটা সময়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সাথে শুকনো গুঁড় ও মুড়ি রাখার প্রচলন ছিল। এখনকার সময়ে শুকনো খাবার রাখতে চাইলে পছন্দসই যেকোন খাবারই রাখা যেতে পারে। সেটা ঘরে তৈরি কেক, পিঠা, চিড়া ভাজা, নিমকি কিংবা মুড়ির তৈরি মোয়াও হতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রশান্তি ও সুস্থতায় সবজির পপ্সিকল
আরও পড়ুন: রান্না দ্রুত হবে কীভাবে?