রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি: আসামি পক্ষের আইনজীবী

  নুসরাত হত্যা
  • মনি আচার্য্য, ইসমাইল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফেনী থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নুসরাত হত্যা মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নানু

নুসরাত হত্যা মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নানু

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। এজলাশে নুসরাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে সবচেয়ে বেশি কান্না করতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় কোনো কোনো আসামি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তারা উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, ‘একটা আত্মহত্যাকে হত্যা সাজিয়ে আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়ে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।’ আসামিদের কেউ কেউ জানান উচ্চ আদালতে তারা আপিল করবেন।

নুসরাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নানু বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি। আমরা আশা করি উচ্চ আদালতে গেলে ন্যায়বিচার পাব। উচ্চ আদালতে আমরা দ্রুত আপিল করব। আশা করি, উচ্চ আদালত এই রায় খারিজ করে দেবেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বাদী পক্ষের আইনজীবী ও সাক্ষীরা আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি।

অন্যদিকে আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা। তিনি বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। দ্রুত যেন রায় বাস্তবায়ন করা হয়। আসামি পক্ষ যদি হাইকোর্টে আপিল করে তারপরেও যেন এই রায় বহাল থাকে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল কাদের, প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ যোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মহি উদ্দিন শাকিল।