নুসরাত হত্যা: ওকে অনেক ভালবাসি, তাই লড়ে যাব

  নুসরাত হত্যা


শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কামরুন নাহার মনি ও রাশেদ খান রাজু। দীর্ঘদিন প্রেম করেছেন। এরপর অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে পরিবারকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। বেশ চলছিল দু’জনের সংসার। নিজেদের ঔরসজাত সন্তানের আসন্ন আগমনের প্রতীক্ষায় দিন পার হচ্ছিল।

এরপরেই ঘটে বিপত্তি! দেশের আলোচিতও নৃশংস ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড। নির্মমতার শিকার নুসরাতের সহপাঠী ছিলেন কামরুন নাহার মনি। যিনি এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন। আর এ মামলায় রাজুর মনি আজ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। যে সন্তানকে ভবিষ্যৎ সাজাবেন বলে ভেবেছিলেন, সেই সন্তানের জন্ম কারাগারে। আর বড় হচ্ছে মায়ের সঙ্গে অন্ধকার কারাগারেই।

আরও পড়ুন: ৮ নম্বর সেলে নিস্তব্ধ অধ্যক্ষ সিরাজ

যদিও মনি নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এটা মানতে চান না রাজু। এজন্য শেষপর্যন্ত মনি ও তার সন্তানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

কারাগার প্রাঙ্গণে নুসরাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামরুন নাহার মনির স্বামী রাশেদ খান রাজু

রাজু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের রায় কার্যকর হোক। কিন্তু যারা জড়িত না তাদেরকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। মনি কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত তাকে মুক্তি দিবেন। তাহলে আমার সন্তান তার মাকে নিয়ে সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ পাবে।

মনির প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাজুর। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রেম করে বিয়ে করেছি। বিশ্বাস করি, এই ঘটনার সঙ্গে মনি জড়িত না। অনেক ভালোবাসি ওকে, তাই শেষ দিন পর্যন্ত তার জন্য লড়ে যাব। ২৪ অক্টোবর ফেনী জজ কোটের নারীও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুন-উর-রশিদ নুসরাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা সহ ১৬ জনের ফাঁসির রায় দেন।

রায় ঘোষণার দিন, সন্তান নিয়ে আদালতে আসেন মনি, ইনসেটে মনির স্বামী রাশেদ খান রাজু

রায় নিয়ে রাশেদ খান রাজু বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ই তো শেষ না। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। হাইকোর্ট আছে,সুপ্রিম কোর্ট আছে, আমরা পুরোপুরি আশাবাদী, ন্যায়বিচার পাবো। কেননা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মনির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যদি সে অপরাধী হতো, আমি ৬ মাস ধরে এভাবে তার জন্য লড়তাম না। কারাগারে থাকাকালীন প্রসব বেদনা উঠলে ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কামরুন নাহার মনিকে। সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পিতা হিসেবে সন্তান একদিনেই কাছে পেয়েছিলেন রাজু। সেদিনেই কন্যার নাম রাখেন মোবাশিরা খানম রথী।  

ফেনী জেলা কারাগার

সন্তানের প্রসঙ্গে রাজু বলেন, জন্মের পর একদিন তার পাশে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আমি তাকে দেখতে পাইনি, ও আমার স্পর্শের বাইরে। আমি বাবা হওয়ার অনুভূতিটুকু কারো কাছে প্রকাশ করতে পারি না। আমার সন্তানকে ছাড়া আমি ভাল নেই।  

আরও পড়ুন: কারাগারের অন্ধ কুঠুরিতে মনির সন্তান, ভবিষ্যৎ কী?

একই কথা বলেছেন, মনির মা নুরুন্নাহার খানম। তিনি বলেন, রায়ের পর আমরা দুই দিন মনির সঙ্গে কথা বলেছি। মনি আমাকে বলেছে, আমি যদি সত্যিই নির্দোষ হই, আমি আবার তোমার কাছে ফিরে আসব। আমাকে বাঁচাতে তোমরা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাও। আমার বিশ্বাস আমি আবার ফিরে আসব।

এদিকে জেল বিধি ৯৯৪ অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত স্ত্রীলোককে গর্ভবতী বা দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় পাওয়া গেলে হাইকোর্ট বিভাগ দণ্ড স্থগিতের আদেশ দিতে পারেন। অথবা উপযুক্ত মনে করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন।

স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতে কামরুন নাহার মনি ও তার সন্তান রথী

অন্যদিকে মনির রায়ের কার্যকরের বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন সে রায়টি কার্যকর হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। কারণ, আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করবেন। পেপারবুক তৈরি হবে এবং এটা আপিল বিভাগে যাবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল কোর্টে শুনানি হবে। এরপর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটি আরও অনেক সময় লাগবে। কয়েক বছর লাগতে পারে। এ সময়ের মধ্যে কামরুন নাহারমনির বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা তার পিতার জিম্মায় চলে যেতে পারবে। এবং কামরুন নাহারমনির শাস্তি কার্যকর হতে পারবে।

আরও পড়ুন: ফাঁসির ১৪ আসামি কনডেম সেলে, নেই মনি-পপি!

   

পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ উপরে উঠতে উঠতে এখন প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই অবস্থা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১১ শতাংশ। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, ২৬-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, সূর্যের প্রখরতায় ঘরের বাইরে বের হওয়া এক প্রকার দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। আকাশ থেকে মনে হচ্ছে গনগনে আগুনের ফুলকি ঝরছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশকিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও জানান, ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, বাইরে শরীর ঝলসানো রোদ ও তীব্র গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। বাইরে না বেরিয়ে ঘরে অবস্থান করে ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের ফুড ডেলিভারি বয় ফয়সাল ইকবাল বলেন, 'কী আর বলব, এই রোদ-গরমে বাইসাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে মানুষের খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে বসে থাকলেও হবে না। দিনশেষে নিজের পরিবারের জন্য খাবার কিনে বাসায় ফিরতে হবে।'

চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা চলাচলকারী একটি বাসের চালক বিল্লাল হোসেন জানান, এই তীব্র রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না। তাই তাদের যাত্রীও খুব একটা নেই। অন্যদিনের তুলনায় কম যাত্রী নিয়ে ট্রিপে যেতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

  নুসরাত হত্যা

;

নওগাঁয় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষা, নদী-খাল-বিল দখল ও দুষণের প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রীণ ভয়েজ ও একুশের পরিষদ নওগাঁর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাপার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন- আন্দাসুরা বিলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুলকে বিভিন্ন ভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বিলের লিজ বাতিল করা প্রয়োজন। আলতাদীঘি শালবনে ৮বার আগুন লেগেছে। উন্নয়নের নামে প্রায় ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিভাবে আগুন লেগেছে বা লাগানো হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য আমরা জানিনা। এগুলো তদন্ত করা প্রয়োজন।

নওগাঁ জেলা বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন- আজ প্রকৃতির বিরুপ প্রভাপ পড়েছে। যা আমাদেরই সৃষ্টি। যেসব প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উটেছে তা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী দুষণ ও দখলমুক্ত রক্ষা করা হোক। প্রকৃতিগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। শুধু মানববন্ধন করলেই হবে না তা বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় যতদুর যাওয়ার দরকার হবে আমরা যেতে চাই।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি বলেন, একসময় ছোট যমুনা নদীতে পালতোলা নৌকা ও লঞ্চ চলতো। বিভিন্ন জেলা থেকে বণিকরা ব্যবসা করার জন্য আসতো। নদী দখল-দুষণ ও পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় সেই নৌকা আর আসেনা। নদী দুষণের ফলে জীববৈচিত্র আজ হুমকির মুখে। নদী আমাদের মা। নদী বাঁচাতে হবে। নদী বাঁচলে জীববৈচিত্র রক্ষা সহ নদীর ওপর নির্ভরশীলদের জীবন জীবিকা ও কর্মসংস্থান বাড়বে। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা বন ও পদ্মফুল রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য ও একুশে পরিষদ নওগাঁ’র সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি.এম আব্দুল বারি’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, একুশে পরিষদের সহসভাপতি প্রতাপ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল, সহসাধারণ সম্পাদক নাইচ পারভীন, শাকিরুল ইসলাম রাসেল, সুবল চন্দ্র মন্ডল, নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা একুশে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামিম, বাপা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুকুল চন্দ্র কবিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  নুসরাত হত্যা

;

রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয় আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

  নুসরাত হত্যা

;

নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ২০০ পিস ইয়াবাসহ এক গৃহবধূকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আটক নাজমা আক্তার (৪০) নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মার্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলের নুর নবীর স্ত্রী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিল থেকে তাকে আটক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, আটক নাজমা নোয়াখালী পৌরসভার মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলে ভাড়া থাকত। ওই ভাড়া বাসা থেকে সে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে নাজমা তার পরিহিত স্যালোয়ারের ডান কোচের ভিতর থেকে ২০০ পিস ইয়াবা বের করে দেন।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  নুসরাত হত্যা

;