নুসরাত হত্যা

৮ নম্বর সেলে নিস্তব্ধ অধ্যক্ষ সিরাজ

  নুসরাত হত্যা


শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনী জেলা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করলে সাদা রঙের দ্বিতীয় ভবনটায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সেল। দুই তলা বিশিষ্ট ভবনের উত্তর পাশের শেষ কক্ষটি হলো ৮ নম্বর কনডেম সেল। জানালাবিহীন সেলটা বেশ অন্ধকার, স্যাঁতস্যাঁতে! এখান থেকে বের না হলে দিনের আলো বোঝা দুষ্কর! এই কনডেম সেলে রয়েছেন নুসরাত হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা।

তার সঙ্গে এই সেলে রয়েছেন নুসরাত হত্যা মামলার আরও দুই আসামি মোহাম্মদ জোবায়ের ও নুরু উদ্দিন।

সাদা-কালো ডোরাকাটা কয়েদি পোশাকে ছোট কক্ষটিতে সারাদিন বসে থাকেন তারা। এখানেই তাদের সকাল হয়, দুপুর আসে সন্ধ্যা নামে। মাঝে মাঝে দুপুরে সেলের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পান। তবে সেলের ভেতরে বা বাইরে কোথাও কেউ কারো সঙ্গে কথা বলেন না। ফাঁসির রায় শোনার পর থেকেই এমন নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন আসামিরা।

আরও পড়ুন: কারাগারের অন্ধ কুঠুরিতে মনির সন্তান, ভবিষ্যৎ কী?

ফেনী জেলা কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিন আসামির আচরণে রায় ঘোষণার আগে ও পরে পার্থক্য দেখা গেছে। রায়ের পর থেকে একদম চুপচাপ হয়ে গেছেন নুরু উদ্দিন ও জোবায়ের। আগে কারাগারের ভেতরে খোলা মাঠে দেখা হলে কথা বলতেন। রায় ঘোষণার পর থেকে তারা কোনো কথা বলছেন না সিরাজের সঙ্গে।

অধ্যক্ষ সিরাজ নিজেকে কিছুটা অপরাধী মনে করলেও অন্যরা নিজেদের এখনও নিরপরাধ মনে করেন। তারা ভাবেন অধ্যক্ষ সিরাজের জন্যই তাদের এই পরিণতি। শুধু তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কারণেই আজ তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাই সিরাজের ওপরই তাদের যত রাগ-ক্ষোভ!

নুসরাত হত্যার পরিকল্পনাকারী অধ্যক্ষ সিরাজ অনুশোচনায় ভুগছেন। তবে জীবনে যতটুকু সম্মান পেয়েছেন, তাতেই নাকি সন্তুষ্ট তিনি। এখন কারাগারের ভেতরে হাদিসের বই পড়ে সময় কাটান।

ফেনী জেলা কারাগার

কিন্তু, এ মামলার অন্য আসামিরা কোনভাবেই তাদের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না। আক্ষেপ আর আফসোসে চুপসে গেছেন তারা। গত ২৪ অক্টোবর রায় ঘোষণার পর থেকে কেউ আর কথা বলছেন না, দেখা করছেন না পরিবারের সঙ্গেও। যদিও সেই সুযোগটাও এখন কম। বিশেষ করে সিরাজের সঙ্গে যাদের এক কক্ষে রাখা হয়েছে, তারা কেউ কারো মুখ পর্যন্ত দেখতে চান না।

নুসরাত হত্যা মামলার অন্য আসামিরা আছেন ৫, ৬ ও ৭ নম্বর সেলে। ৭ নম্বরে রাখা হয়েছে-মো.শামীম, মহিউদ্দিন শাকিল ও জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেনকে।

৬ নম্বর সেলে রয়েছেন-রুহুল আমিন, মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর, শাহাদাত হোসেন শামীম এবং ৫ নম্বর সেলে- হাফেজ আব্দুল কাদের, ইফতিখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন এবং আফসার উদ্দিন। নারীদের জন্য আলাদা কনডেম সেল না থাকায় সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডে রয়েছেন কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন।

আসামিরা নিজেদের পরিণতির জন্য একজন আরেকজনকে দোষারোপ করছেন। একে অপরকে দোষারোপ করলেও একসঙ্গে রায়ের বিপক্ষে আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন। তাদের আপিল আবেদন ইতোমধ্যে কারা কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শুরু করেছে।

ফেনী জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মনিরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি আপিল আবেদন করেছেন। সেই কাগজ আমাদের হাতে এসেছে। খুব শিগগিরই আপিল আবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুন-উর-রশিদ নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৬ আসামির প্রত্যেককে ফাঁসির রায় দেন।

   

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো.হাসানুজ্জামান ওরফে হাছান (৪২) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল বুধবার রাতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।

শিহাব করিম বলেন, জানা যায়, মো. হাসানুজ্জামান বিগত ২০১১ সালে ৯৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ১৭ মাস জেল হাজতে কারাবাস পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামি মোঃ হাসানুজ্জামান পলাতক থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাতরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  নুসরাত হত্যা

;

রাজবাড়ীর বিখ্যাত চমচমের কারিগর শংকর সাহা মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে সুপরিচিত রাজবাড়ীর বিখ্যাত শংকরের চমচম। সুস্বাদু এই চমচমের কারিগর রাজবাড়ী বাজারের বিশিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ী শংকর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের প্রতিষ্ঠাতা শংকর সাহা মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন শংকর সাহার ভাতিজা পুলক সাহা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়াও তিনি লক্ষ্মীকোল হরিসভা (পুরাতন) মন্দিরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করছিলেন।

পুলক সাহা বার্তা২৪.কমকে জানান, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি বাথরুমে যান। সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শংকর সাহার ছোট জামাই শ্রীকান্ত বিশ্বাস রাহুল জানান, তার শ্বশুর শংকর সাহা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী শহরের পৌর মহাশ্মাশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

শংকর সাহার মৃত্যুতে রাজবাড়ী লক্ষ্মীকোল হরিসভা মন্দির কমিটিসহ শহরের বিশিষ্টজনেরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে শেষ বারের মতো দেখতে এলাকাবাসীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীগণেরা বিনোদপুর পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন বাসভবনে ভিড় করছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।

১৯৮২ সালে শংকর সাহা প্রতিষ্ঠিত করেন ‘শংকর মিষ্টান্ন ভান্ডার’। সেই থেকে টানা ৪২ বছর সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। রাজবাড়ীর চমচম বলতে সারাদেশে শংকরের চমচমকেই বোঝায়। শংকর সাহার মৃত্যুতে তার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত শংকর মিষ্টান্ন ভান্ডার আজ বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে বলে জানান তার স্বজনরা।

  নুসরাত হত্যা

;

টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেরিনা তাবাশ্যুম

মেরিনা তাবাশ্যুম

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী টাইম–এর করা বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মেরিনা তাবাশ্যুম। তিনি একজন স্থপতি। উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন মেরিনা।

গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এ তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম।

তাঁর সঙ্গে তালিকায় থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার ইউলিয়া নাভালনায়া, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কসহ পরিচিত অনেক মুখ। ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আলিয়া ভাট শিল্পীশ্রেণিতে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

মেরিনা সম্পর্কে টাইম লিখেছে, সচরাচর পুরস্কারজয়ী স্থপতিদের সঙ্গে পরোপকার শব্দটি তেমন একটা উল্লেখ করা হয় না। তবে মেরিনা তেমন সাধারণ নন। তিনি স্থাপত্য চর্চায় এমন একটি চর্চা তৈরি করেছেন, যাতে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি আমাদের এই ধরিত্রী যে বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অগ্রাধিকার পায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। টাইম লিখেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে মেরিনা তাবাশ্যুম এমন এক ঘরানার বাড়ি তৈরি করেছেন, যার নির্মাণ ব্যয় যেমন কম, তেমনি এই বাড়ি সহজে স্থানান্তরও করা যায়।

স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুমের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়। ২০২১ সালে মানবিক ঘর তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান তিনি। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্ট–এর ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। তিনি ১০ জনের মধ্যে তৃতীয় হন।

ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের স্থপতি হিসেবে ২০১৮ সালে জামিল প্রাইজ পান তিনি। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে পান সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার। সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত হয়।

  নুসরাত হত্যা

;

টাঙ্গাইল পৌরসভাসহ বি‌ভিন্ন প‌য়েন্টে কক‌টেল বি‌স্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল পৌরসভাসহ শহ‌রের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে কক‌টেল বি‌স্ফোরণের ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। এতে মানুষজনের ম‌ধ্যে আতঙ্ক বিরাজ কর‌ছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯টা ৪৫ মি‌নি‌টের দি‌কে টাঙ্গাইল পৌরসভার সাম‌নে, পৌর উদ‌্যান, ছয়আনী পুকুর পাড়, আদালতপাড়া, পুরাতন বাসস্ট‌্যান্ড, থানা পাড়া এলাকায় বিকট শ‌ব্দ হ‌য়ে কক‌টেলগু‌লো বি‌স্ফোরিত হয়। এতে জনম‌নে আত‌ঙ্কের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

ঘটনার পর পু‌লি‌শের মোটরসাইকেলের মোবাইল টিম শহ‌রের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে টহল দেয়। এছাড়া শহ‌রের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে চেক‌পোস্ট ব‌সি‌য়ে তল্লাশি করা হয়।

এদি‌কে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকা‌লে টাঙ্গাইল শহ‌রে জেলা আওয়াম‌ী লী‌গের দুইগ্রু‌পের পক্ষ থে‌কে আলাদা আলাদাভা‌বে সমাবেশের ডাক দেয়া হ‌য়ে‌ছে। জেলা আওয়াম‌ী লী‌গের একাংশ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আজ সকালে ধর্ষণ মামলার আসামি শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া গোলাম কিবরিয়া বড় মনির‌কে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সমা‌বে‌শের ডাক দেয়। অপর‌দি‌কে একই সম‌য়ে আওয়ামী লী‌গের আরেক অংশ জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে আওয়াম‌ী লীগ নেতা ফারুক হত‌্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে সমাবেশের ডাক দেয়।

শহ‌রের বা‌সিন্দারা জানান, রা‌তে শহ‌রে বিকট শ‌ব্দে বি‌স্ফোরক বি‌স্ফোরিত হওয়ায় আতঙ্কের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। মোটরসাইকেল‌যো‌গে দুষ্কৃ‌তকারীরা শহ‌রের বি‌ভিন্নস্থ‌া‌নে কক‌টেল ফা‌টি‌য়ে‌ আতঙ্ক সৃ‌ষ্টি ক‌রে‌ছে। আওয়ামী লী‌গের দুইগ্রু‌পের সমা‌বেশের কার‌ণে হয়তো এমন‌টি হ‌তে পা‌রে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মো. লোকমান হো‌সেন ব‌লেন, রা‌তে কে বা কারা এসব ঘটনা ঘ‌টি‌য়ে‌ছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পৌরসভার সাম‌নে থে‌কে কক‌টেল সদৃশ‌্য দুইটি বি‌স্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। শহ‌রে পু‌লি‌শি তৎপরতা বৃ‌দ্ধি করা হ‌য়ে‌ছে।

  নুসরাত হত্যা

;