মাস্কের দাম বেশি নিলেই অভিযোগ করুন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসগত ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর বিশ্বের অনেক দেশেই তা ছড়িয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এরই মধ্যে বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর প্রকাশ হওয়ার পরই রাজবাড়ীতে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে মাস্কের দাম। ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, এখনই যদি মাস্কের দাম এত বৃদ্ধি পায় তাহলে পরবর্তীতে কি হবে! তবে মাস্কের দাম বাড়েনি বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। আর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ী বলছেন, মাস্কের দাম বেশি রাখলেই অভিযোগ করুন। প্রমাণ মিললে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বাজারে সাধারণ সার্জিক্যাল ফেস মাস্কের মূল্য যেখানে ৫ টাকা সেখানে এখন রাজবাড়ীতে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়। অধিকাংশ ব্যবসায়ী বলছেন মাস্ক সরবরাহ নেই। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ জনগণ।
সোমবার (৯ মার্চ) সকালে জেলার বিভিন্ন ফার্মেসী ঘুরে দেখা যায়, অনেক ক্রেতাই মাস্ক কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। দোকানদাররা বলছেন মাস্ক সরবরাহ নেই। তবে অনেকেই এসময় অভিযোগ করেছেন বেশি টাকা হলে নাকি মাস্ক সংগ্রহ করা সম্ভব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমি আজ রাজবাড়ীতে এসেছিলাম। একটি দোকানে মাস্ক কিনতে গেলে তারা জানায় মাস্ক শেষ হয়ে গেছে। তবে এসময় ঐ দোকানেরই এক কর্মচারী আমাকে বলেন কয়েকটি মাস্ক আছে। প্রতিটির দাম দিতে হবে ৩০ টাকা করে'।
রাজবাড়ীর একাধিক ওষুধ বিক্রেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, যত সময় আমাদের কাছে মাস্ক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আসল দামই রাখবো। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার সুযোগ এখানে নেই।
রাজবাড়ী জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী মাস্কের দাম বেশি নেয় কিংবা সরবরাহ থাকার পরেও মজুদ করতে চায় সেক্ষেত্রে যে কেউ আমাদের দফতরে অভিযোগ দিতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে ক্রেতা যদি বেশি টাকায় মাস্ক ক্রয়ের ভিডিও অথবা দোকানের ক্যাশ ম্যামো দেখাতে পারেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাস্কের দাম বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এব্যাপারে আমাদের ভ্রমমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একটি বিশেষ টিম রয়েছে। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে সেহেতু আমরা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বলব তারা যেন এ বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর রাখে।