করোনাভাইরাস: বাড়তি সতর্কতায় শিল্পাঞ্চল সাভার
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসবর্তমান বিশ্বে আতঙ্কের নাম নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এর উপস্থিতি অত্যন্ত বিপদজনক। দেশে এ ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর সাভারে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সাভারের শিল্প কলকারখানাগুলো তাদের শ্রমিকদের বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করছে, এছাড়াও বিতরণ করছে মাস্ক।
রাজধানীর প্রবেশদ্বার সাভার অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এখানকার স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিল্প কল-কারখানার কর্তাব্যক্তিরা। কারখানার পক্ষ থেকে দিনে ২ বার স্যাভলন পানি দিয়ে ফ্লোর মোছা হচ্ছে।
শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার স্যামস অ্যাটায়ার লিমিটেড, রোজ ইন্টিমেটস লিমিটেড কারখানাসহ কয়েকটি শিল্পকারখানা ঘুরে ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন শ্রমিকরা।
তবে আতঙ্কিত না হয়ে বিভিন্ন সতর্কতা গ্রহণ করে সচেতন হওয়ার জন্য নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে সব শ্রমিকের মাস্ক নিশ্চিত করে বার বার হাত ধোয়ার সুব্যবস্থা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
রোজ ইন্টিমেটস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক উল্লাসের সাথে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা শুনেছি এই ভাইরাস খুবই বিপদজনক। আমাদের কাজ করতে হলে বেশি লোকজনের মধ্যেই থাকতে হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ সবাইকে মাস্ক দিয়েছে। আমরা বার বার হাত ধুচ্ছি।
অপর এক কারখানার পোশাক শ্রমিক রাবেয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা একই ফ্লোরে অনেক শ্রমিক কাজ করি। আমাদের মাঝেও করোনাভাইরাসের আতঙ্ক আছে। তবে আমাদের কারখানা সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
স্যামস অ্যাটায়ার লিমিটেডের উপ মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগ) তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের শ্রমিকরা উদ্বিগ্ন। শ্রমিকদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক বিতরণ করে তার ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করেছি। আমাদের কারখানায় প্রবেশের সময় প্রধান ফটকে হাত ধুয়ে কারখানায় প্রবেশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি লাইনের সুপারভাইজারের মাধ্যমে শ্রমিকদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক নির্দেশনাসহ সব ধরনের সতর্কতামূলক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন কর্নার করে ৬টি শয্যা প্রস্তুত রেখেছি। সেই সঙ্গে সাভারের আমিন বাজারের একটি হাসপাতালে ২০টি আইসোলেশন শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ কারো শরীরে পাওয়া যায় তাদের এসব শয্যায় কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হবে। এছাড়া সতর্কতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ছোট ছোট সভা ও উঠান বৈঠক চলমান রয়েছে।