বইমেলায় তমসা অরণ্যের বই- নাই সন্তানের জননী

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ উপলক্ষে প্রকাশিত হলো কবি ও লেখক তমসা অরণ্যের গল্পের বই – নাই সন্তানের জননী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও স্নাতকোত্তর কবি ও লেখক তমসা অরণ্য আপনমনে ও নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেন।

বিজ্ঞাপন

তার ফেসবুক ওয়ালে ঢুকলেই দেখা যায়, নিজের মনের মগ্নতায় ডুবে আপনমনে লিখে চলেন ফাউন্টেন পেনে। তার সাহিত্য চর্চা ও শব্দচয়নে মুন্সিয়ানার ভাব। মনে হয়, রবিঠাকুর, জীবনানন্দ দাশের মতো আত্মমগ্নতায় ডুবে রয়েছেন।

রাতে নিভৃতে দিনের পর দিন লিখেছেন কালো কালির আঁচড়ে একেকটি কবিতা কিংবা মনের কোনো ভাবনা। পাঠক মাত্রই বুঝতে পারেন কবি ও লেখক তমসা অরণ্য বেখেয়ালে লিখে চলেছেন ঘাসফড়িং বা রাতের আঁধারে জ্বল জ্বল করা মাকড়শার জালে ধ্যানমগ্ন মাকড়শার মনোকথন। মানুষের ভাবনাকে ছাড়িয়ে লেখক নিয়ে চলেন এক অনাঘ্রাত পৃথিবীতে। প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষই শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠে তমসা অরণ্যের লেখার উপজীব্য!

বিজ্ঞাপন

সে রকমই সাধারণ মানুষের জীবনকথা উঠে এসেছে লেখক তমসার ‘নাই সন্তানের জননী’ গল্পগ্রন্থটিতে। বইয়ের উপজীব্য সম্পর্কে লেখক তমসা বলেন, একজন লেখকের থাকতে হয় দেখার চোখ, লেখার হাত, অনুভূতিসম্পন্ন হৃদয় ও কল্পনাশক্তির জয়ের সক্ষমতা।

তিনি বলেন, এগুলোর সূত্র ধরেই যাতে মনোযোগ দিয়েছি, তা ছিল- মানুষ ও সমাজপাঠ। তারই পথ ধরে আমার গল্পগুলোর ‘সব চরিত্র কাল্পনিক নয়’, বরং ‘নাই সন্তানের জননী’ গল্পগ্রন্থের প্রতিটা গল্পেরই কোনো না কোনো চরিত্র বাস্তব এবং কাছ থেকে কিংবা দূর থেকে দেখা। আর কিছু না হোক, অন্তত চরিত্রগুলোর সঙ্গে আড্ডা দিতে হলেও বইটি পড়া যেতেই পারে।’

‘নাই সন্তানের জননী’ গল্পগ্রন্থটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন আইয়ুব আল আমিন। প্রকাশ করেছে অনুপ্রাণন প্রকাশন। অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে স্টল নম্বর ৮৫-৮৬। ২৫% ছাড়ে বইটির দাম পড়বে ২৬২ টাকা।

তমসা অরণ্যের বই প্রকাশের পর তার এক বন্ধু ফেসবুকে মন্তব্য করে লিখেছেন- তমসা অরণ্য খুব নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখ মানুষ, যার ফলে ওর বইয়ের কথা আমি নিউজফিড থেকে জানতে পারি অর্থাৎ সে আমাকেও ব্যক্তিগতভাবে জানায়নি।

এমনকি বইয়ের প্রচারণায় ও বলছে, বই হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে ভালো মনে হলে তবেই কিনতে! আমি নেক্সট টাইম মেলায় গেলে তার বইটা কিনবো। নিজের বান্ধবী বলে না। প্রচ্ছদের বেড়ালের ছবি আর বইয়ের নাম দেখে একটা গল্প অনুমান করতে পারছি, এই আগ্রহ থেকে। তমসা অরণ্যের বইয়ের জন্য অশেষ শুভ কামনা রইলো।"

তমসা অরণ্যে লেখার সঙ্গে পরিচিত হতে চাইলে যে কেউ তার ফেসবুক ওয়ালে ঢুঁ মারতেই পারেন। তার লেখার পরিমিতিবোধ ও অনিন্দ্য সুন্দর হাতের লেখার সঙ্গেও পরিচয় ঘটবে পাঠকের। তমসা অরণ্যের ফেসবুক আইডি- Tomosha Aronnya (তমসা অরণ্য)