কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৭)



জিনি লকারবি ।। অনুবাদ: আলম খোরশেদ
বার্তার নিজস্ব অলঙ্করণ

বার্তার নিজস্ব অলঙ্করণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার শত্রুদের উপস্থিতিতে

[পূর্ব প্রকাশের পর] দাশদের তের বছরের কন্যা রাচেল খুব ভয় পেয়েছিল। তার বাবামা আমাদের প্রতিজ্ঞা করান, যেন আমাদের কোথাও চলে যেতে হলে আমরা তাকেও সঙ্গে নিয়ে যাই।

সেই সোমবার বিকালে আমাদের গির্জার দুই তরুণ সদস্য স্টিফেন ও পল (যাকে আমরা সবসময় তার ডাকনামে বাবলা বলে ডাকতাম) প্রবল গোলাগুলির মধ্যেই গা বাঁচিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হাজির হয়। পাকিস্তানি প্লেনগুলো উড়ছিল মাথার উপরে, আর সর্বত্র আগুনের শিখাসমূহ উৎক্ষিপ্ত হচ্ছিল আকাশের দিকে। ছেলেদুটো গোলাগুলি একটু কমার অপেক্ষা করে, তারপর ফাঁক বুঝে দৌড়ে বাড়ি ফিরে যায়। আমি তাদেরকে আর আসতে বারণ করি।

আমরা বিকাল সাড়ে চারটায় আবার একত্র হই বাইবেল পাঠ ও প্রার্থনা করার জন্য। আমরা তা শেষ করা মাত্রই একটা গোটা পরিবার এসে আমাদের দোরগোড়ায় উপস্থিত হয়। তারা এমন একটা এলাকা থেকে আসে, যেখানে আমরা গোটা পাড়াকে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে দেখেছি। এই পরিবারটি বাড়ির ভেতরে রেডিও শুনছিল, যখন একটা গোলা এসে ঢোকে জানালা দিয়ে। গুলির হাত থেকে বাচঁতে গিয়ে তরুণী বধূটি পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে ফেলে। আমরা তাকে ব্যথা কমানোর অষুধ দিয়ে, বাঁশের কঞ্চি দুই ভাগ করে তার হাতের দুদিকে রেখে কাপড় জড়িয়ে শক্ত করে বেঁধে দিই।

সে-রাতে রান্না শেষ করে খাবার খাওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরা তখন বসার ঘরের মেঝেতে চুপচাপ বসে থাকি দরজাটা একটু ফাঁক করে, যেন কিছুটা বাতাস আসে। সময় কাটানোর জন্য আমরা বাইবেলের শ্লোক আওড়াই স্মৃতি থেকে। সেগুলো বাংলায় বলতে গিয়ে দ্রুত আমাদের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যায়, এবং বাচ্চারাও ত্বরিতে পালিয়ে যায়। তারপর আমরা ‘আমি যা বলি তা ইংরেজিতে বলো’ খেলাটা খেলতে চেষ্টা করি। আমরা আস্তে আস্তে একটা ইংরেজি বাক্য বলি, আর বাচ্চারা সেটা শুনে তার প্রতিধ্বনি করে। আমরা ’ওপেন দ্য ডোর, শাট দ্য ডোর’ করার মধ্যেই দিদিমা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকেন।

“তোমরা দরজা বন্ধ করতে চাচ্ছো কেন? এখানে তো প্রচণ্ড গরম,” তিনি অভিযোগ করেন, আমরা কী করছিলাম সেটা না বুঝেই।

আমরা হাসিতে ভেঙে পড়ি এবং সত্যি সত্যি দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই, পাছে আমাদের হাসির শব্দ বাইরে রাস্তার কোনো ট্রিগার-সুখী সৈন্যের কানে চলে যায়।

আমরা যার যার বরাদ্দকৃত ঘরে যাই, কিন্তু কিছুতেই ঘুমাতে পারি না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, শেলিংয়ের শব্দ বাড়ির বেশি কাছে চলে এলে, আমরা আমাদের ঘর ছেড়ে, হামাগুড়ি দিয়ে বসবার ঘরে চলে আসব, যেটাকে আমাদের ‘বম্ব শেল্টার’ হিসাবে ঠিক করা হয়েছিল। আসবাবগুলোকে দেয়ালের পাশে সারবেঁধে রেখে বালিশ, কুশন, কম্বল দিয়ে সব জানালা ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। ঘরটা বেশ একটা আরামদায়ক কুঠুরি হয়ে উঠেছিল, যদিও তার মধ্যে চোদ্দজন লোকের উপস্থিতিতে একে খুব একটা আরামের মনে হচ্ছিল না আর। আমাদের কুকুর চিত্রা বারান্দায় ছিল, কিন্তু মর্টার শেলের হিসহিস শব্দ তার কানে গিয়ে আঘাত করছিল, এবং প্রতিবার গোলাবর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে সে চিৎকার করে উঠছিল। শেষ পর্যন্ত দরজা খুলে আমরা তাকেও ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে দিই।

সারা মেয়েটি মেঝের ঠিক মাঝখানে শুয়ে ছিল, তার হাতগুলো উঁচু করে শূন্যে তোলা। সে একটা নিয়ম করে সেগুলোকে নাড়াচ্ছিল, মশা তাড়ানোর উদ্দেশ্যে। চিত্রা তার দিকে একবার ভালো করে তাকিয়ে, তার পাশে গিয়ে শোয়, পিঠে ভর করে, তারই মতো চার হাত-পা শূন্যে মেলে দিয়ে। আমরা মোমবাতির মৃদু আলোয় এই যুগলের দিকে চেয়ে হাসিতে ফেটে পড়ি। আমাদের সেই হাসির হল্লা সবাইকে শান্ত করে এবং আমরা যার যার মতো হয় ঘুমে ঢলে পড়ি, অথবা মশাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যুদ্ধে অবতীর্ণ হই।

সকালের দিকে বিদ্যুৎ আসে, এবং তাতে মাথার ওপরের বিশাল ঘূর্ণ্যমান ফ্যানটি মশাদের তাড়িয়ে দিলে আমরা নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারি। কিন্তু পাছে আমরা বেশিক্ষণ আরামে ঘুমিয়ে ফেলি, তাই গোলাগুলি শুরু হয়ে যায় ফের: ভারী কামান ও মর্টারের গোলার বিকট শব্দ শোনা যেতে থাকে পুনরায়।

হাতভাঙা মহিলাটি সকালে ফেরত আসেন। বোঝা গেল তিনি আমাদের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্যটাই ধরতে পারেননি, কেননা স্নান করার সময় তিনি তাঁর হাতের ব্যান্ডেজ ও বাঁধুনিটি খুব যত্ন করে খুলে রেখেছিলেন। আমরা আবার শুরু করি, এবার তিনটি কাঠি এবং মজবুত টেপের সাহায্য নিয়ে। আমরা তাঁর স্বামীকে বলি তাঁকে মেডিকেলে নিয়ে গিয়ে প্লাস্টারের ব্যবস্থা করতে, কিন্তু তিনি জানতেন যে, সেখানে তখন কোনো চিকিৎসারই বন্দোবস্ত ছিল না। তাকে তাই আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

আমরা যখন একটু দিবানিদ্রা দিয়ে আমাদের ঘুমের ঘাটতিটুকু পুষিয়ে দিতে চাচ্ছিলাম ঠিক তখনই দুপুর দুটো নাগাদ, নির্মল আমাদেরকে ঘুম থেকে তুলে জানায় যে, পাকসেনারা আমাদের বাসার সামনের পাহাড়ে ভারী কামান-বন্দুক বসাচ্ছে। আড়াইটার দিকে তারা একেবারে পাহাড়ের চূড়ায় পাকিস্তানি পতাকা টাঙায়। একই সঙ্গে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর দুটো বিমান মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায়, একবার গোত্তা খেয়ে দু’দুটো বোমাও ফেলে যায়। তাদের লক্ষ্য ছিল শহরের উপকণ্ঠের রেডিও স্টেশনখানি। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম এটা নিয়ে, কেননা রেডিও স্টেশনটির একেবারে কাছেই ছিল গাড়িঘোড়া ও ট্রেনচলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কালুরঘাট সেতু, এবং আমাদের মালুমঘাট হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাখানি।

পাকিস্তানি পতাকা দেখে ছাত্র ও অন্যান্য তরুণেরা পাহাড়ে চড়ে দেখতে গিয়েছিল এটা আসলে কাদের শিবির। কেউ ভেবেছিল বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরাই বুঝি কৌশল হিসাবে এটা ব্যবহার করছিল, অন্যেরা সৈন্যদের ভাঙা বাংলা শুনে বুঝতে পেরেছিল তারা বাঙালি নয়।

জব্বার আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এরা সেই সৈন্যই যারা সামনের রাস্তা দিয়ে আসাযাওয়া করা লোকজনের ওপর গুলি ছুড়ছিল। আমাদের বাসায় যে আহত বাঙালি সৈন্যরা আসছিল চিকিৎসার জন্য সেটা তারা নাকি ঠিকই দেখতে পাচ্ছে। আমাদের বাসার মাত্র পাঁচশ গজ দূরে অবস্থান নেওয়া তারা যদি সত্যি সত্যি পাঞ্জাবি সৈন্য হয়ে থাকে তাহলে আমাদের বিপদ আছে বৈকি। সে বুঝতে পারছিল আমাদের এখান থেকে সরে যাওয়া উচিত।

তবে ইতোমধ্যে বেলা পড়ে আসাতে বাড়ি ছাড়ার জন্য সেটা ঠিক অনুকূল সময় ছিল না। রিড ও নির্মল পেছনের গলি দিয়ে রিডের বাসায় যায়। রিড বাস্তবে সাদাপোশাকে কোনো পাঞ্জাবি কিনা, লোকেদের এরকম ফিসফিসানি শুনে তিনি বাংলায় কথা বলা শুরু করেন। তিনি যাওয়ার পথে বারবার থেমে চেনা অচেনা সবার সঙ্গেই কথাবার্তা বলেন। তিনি কথাবার্তার মাঝে খুব কৌশলে এটাও জানান দিতে থাকেন যে, তিনি একজন আমেরিকান নাগরিক। বাসায় গিয়ে তার পেছনখোলা ল্যান্ডরোভার গাড়িতে তেল আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখেন রিড এবং ব্যাটারি চার্জ দেবার তারটাও জায়গামতো লাগিয়ে নেন।

সেই সন্ধ্যার বাইবেল পাঠ খুব জীবন্ত ও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে, যখন আমরা শত্রুর পাহাড়ের নিচে বসে আবৃত্তি করি, “আপনি শত্রুর উপস্থিতিতেই আমাদের টেবিলে খাবার তুলে দেন।” এবং টেবিলখানি সত্যিই পূর্ণ ছিল ঘরে বানানো রুটিসহ হরেকরকম খাবারে, যা রান্না করা হয়েছিল আমাদের সানবিম বৈদ্যুতিক কড়াইয়ে।

সে-রাতে আমাদের যার যার ঘরেই থাকতে পেরেছিলাম আমরা, যদিও দূর থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছিল ঠিকই। অবশ্য কোনো কারণে আমরা সবাই খুব অস্থির ও উদ্বিগ্ন ছিলাম সবাই; তবে রিড নন, তিনি দিনের বেলায় মশা ঢোকার সবগুলো ছিদ্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন, এবং রাতে খুব গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।

সকালের নাস্তার পরপরই জব্বার ও রিড আমাদের প্রস্থানের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। আমাদের হাতে বেশি টাকা ছিল না এবং আমরা কোথায় যাচ্ছি সেটা কাউকে না জানিয়ে বেরিয়েও যেতে পারছিলাম না। দুইজনকে তো একমাইল হেঁটে গিয়ে একটা রিকশা নিতে হয়েছিল, যার চালক পাঞ্জাবি সৈন্য অধ্যুষিত এলাকার ভেতর দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে রাজি হয়ে যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছিল।

আমাদের বাইবেল ইনফরমেশন সেন্টারে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সেটা একুশজনের একটা ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে, যারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে এমন সব লোকের। জন সরকার, এই সেন্টারেরই কর্মী ও বাসিন্দা, সে এই পুরো দলের দায়িত্ব নেয়, এবং প্রবল নৈরাজ্যের মধ্যেও এক ধরনের শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছিল।


বার্তা২৪.কম-এর শিল্প-সাহিত্য বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]


সেই মুহূর্তের উত্তেজনার কারণ হিসাবে জন ব্যাখ্যা করে বলে, গতকাল রাতে তাদের দুই অতিথি গুর্‌গানসের বাড়িতে যাবার জন্য বেরিয়ে তখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। জন আমাদের চার্চের আরো কয়েকজনের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা জানত। পাঞ্জাবি সৈন্যরা ঢোকার পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করা খ্রিস্টান নার্সরা সবাই চলে গিয়েছিল। কয়েকজন এমনকি ছোট ভাইদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটেই রওনা হয়ে গিয়েছিল, পঁচিশ মাইল দূরের চন্দ্রঘোনা মিশনারি হাসপাতালের উদ্দেশে।

বাইবেল ইনফরমেশন সেন্টারটি তখন পর্যন্ত ছিল মুক্তিবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, কিন্তু পাঞ্জাবিরা দ্রুত এগুচ্ছিল তার দিকে। গুর্‌গানস ও বাকি বিদেশিরা যে-অঞ্চলে ছিলেন সেটা অবশ্য তাদের দখলে ছিল। সেজন্যই আমাদের সেন্টারের বাঙালিরা ভেবেছিল জব্বারের পক্ষে নো ম্যান্স ল্যান্ড পার হয়ে পাঞ্জাবি এলাকায় ঢোকাটা নিরাপদ হবে না। তত্ত্বগতভাবে রিডের অবশ্য দুই এলাকাতেই নিরাপদ থাকার কথা।

দুপুরের মধ্যে ফিরে না এলে, জব্বার যেন বাকিদের কাছে ফেরত যায়, এই নির্দেশনা দিয়ে রিড একাই বেরিয়ে গেলেন। আধা মাইল মতো হাঁটার পর তিনি একটা বড় চৌরাস্তায় গিয়ে পৌঁছান। এর একদিকে চিটাগাং মেডিকেল কলেজ, আরেক পাশে প্রবর্তক পাহাড়ের ওপর হিন্দু অনাথাশ্রম, আর এই দুই রাস্তার মিলনস্থলে আমাদের বাজার-সদাইয়ের দোকান। সেখানে পাকিস্তানি সেনারা রিডকে থামিয়ে জেরা করে, এবং তাকে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সামনে না বাড়ার নির্দেশ দেয়। “আমরা একটা অভিযান চালাচ্ছি এখানে,” তারা ব্যাখ্যা করে।

এই অপেক্ষার মধ্যেই এক জার্মান অভিবাসী এসে যোগ দেন রিডের সঙ্গে। মুদি দোকানের পেছনেই তাঁর বাসা, এবং তিনি ঢাকায় গিয়ে উদ্ধারকারী বিমান ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বাঙালি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধের বর্ণনা দেন এবং জানান যে, এর মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের সব গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় পাকিস্তানিরা তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে।

এই অপেক্ষার মধ্যেই রিড দেখেন পাকিন্তানি সেনারা আশেপাশের দোকানপাটে ঢুকে তাদের ইচ্ছামতো জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। একজন উর্দুভাষী লোক তাদেরকে মিনতি করে জিনিসপত্র লুট না করতে, কিন্তু তারা তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। [চলবে]


কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৬)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৫)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৪)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ৩)
কর্মব্যপদেশে, একাত্তরের বাংলাদেশে: জনৈক মার্কিন সেবিকার স্মৃতিকথা (কিস্তি ২)

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা রয়েছে: ড. মাহফুজ পারভেজ



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন ড. মাহফুজ পারভেজ

বক্তব্য রাখছেন ড. মাহফুজ পারভেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

বার্তা২৪.কম'র অ্যাসোসিয়েট এডিটর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন'র নির্বাহী পরিচালক ড. মাহফুজ পারভেজ বলেছেন, 'বাংলার গৌরবদীপ্ত জনপদ কিশোরগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশ ও রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা রয়েছে।'

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম স্মরণ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল এবং আনুষ্ঠানিকভাবে মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি সম্মাননা বক্তব্য প্রদানকালে আরো বলেন, 'অবক্ষয়, অন্ধকার ও অজ্ঞানতার বিরুদ্ধে আলোকিত সমাজ গঠনে ইতিহাস-ঐতিহ্যের শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।'

বরিষ্ঠ চিকিৎসক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব ডা. এ. এ. মাজহারুল হক এবং রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক স্থানীয় ছয় কীর্তিমানকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার।

মাজহারুন-নূর সম্মাননা অনুষ্ঠান

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আবদুর রহমান রুমী, সাংবাদিক শেখ মাসুদ ইকবাল, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, মহিলা পরিষদ সম্পাদক আতিয়া রহনান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, মহিলা পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, সাহিত্য সম্পাদক বাবুল রেজা, ছড়াকার সামিউল হক মোল্লা, ঈসাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান বদরুল হুদা সোহেল, কিশোরগঞ্জ নিউজ প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ এবং ৭ম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননাপ্রাপ্তদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২০ পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের আইনপেশার কৃতীজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ফারুকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও শাহ আজিজুল হক।

৭ম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২১ পেয়েছেন ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক, পাঠ ও পাঠাগার আন্দোলনের অগ্রণীজন মু আ লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষাবিদ উষা রাণী দেবী এবং শতবর্ষ অতিক্রমকারী ১২০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আলীমুদ্দীন লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মো. কামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট নাসিরউদ্দিন ফারুকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, প্রবীণ সাংবাদিক মু আ লতিফ ও আলীমুদ্দীন লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মো. কামাল উদ্দিন সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন এবং প্রয়াত শাহ আজিজুল হকের পরিবারের পক্ষে ভাতিজা এডভোকেট শাহ আশরাফ উদ্দিন দুলাল ও মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষাবিদ উষা রাণী দেবীর পক্ষে তার মেয়ে অধাপিকা গৌরি রাণী দেবী সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।

সম্মননা অনুষ্ঠান শেষে মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগমের মৃত্যুতে স্মরণ সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারের পূর্বে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অ্যাডভোকেট গাজি এনায়েতুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সংস্কৃতিজন লুৎফুন্নেছা চিনু। অনুষ্ঠানে স্পন্সর হিসাবে যুক্ত ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’ কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অবদানের স্বীকৃতি জানাতে ২০১৫ সাল থেকে সম্মাননা বক্তৃতার আয়োজন করে কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

;

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;