বাজেটকে মনগড়া ও অবাস্তব বলে মনে করছে জাপা

  বাজেট অর্থবছর ২০২১-২২
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জিএম কাদের

জিএম কাদের

২০২১-২২ সালের প্রস্তাবিত বাজেট কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া এবং অবাস্তব, আন্দাজে করা এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বাজেট অধিবেশন থেকে বের হয়ে জাতীয় সংসদের টানেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

বাজেট ব্যপকভাবে সংশোধন বা রদবদল করার দাবি জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সামাজিক বেষ্টনীখাতে যা দেয়া হয়েছে তা বাজেটের তুলনায় অত্যান্ত কম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরী করেছেন। এই বাজেট এতটাই পরিবর্তন করতে হবে যে, তাতে প্রণীত বাজেটের প্রকৃত রুপ থাকবে না।

তিনি বলেন, বাজেটে খরচ বাড়িয়েছেন, বাড়ানো দরকারও আছে কিন্তু অর্থ আহরণের বিষয়ে তারা হোঁচট খেয়েছেন। গেলো বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী ৬০ ভাগও রাজস্ব আদায় করতে পারেনি দশ মাসে। সামনের দুই মাসে কতটা আদায় করতে পারবেন তাও জানেন না। যেটা প্রাক্কলন করেছেন তাতে যথেষ্ট পরিমাণে ঘাটতি রয়েছে। জিডিপির ৬ দশমিক ২ ভাগ ঘাটতির বাজেট এর আগে আর হয়নি। ঘাটতির এই বাজেটে যত সুন্দর ভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে তা ডিটেইলে দেখা গেছে অনেক কিছুই ফাঁক আছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যারা করোনাকালে কর্মহীন হয়েছে এবং দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা তাদের জন্য আর্থিক সহায়তার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই এই বাজেটে। স্বাস্থ্য খাতের জন্য সাধারণ মানুষের বিপুল আকাঙ্খা ছিলো, এবার স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের একটা বরাদ্দ হবে এমন আশা ছিলো সাধারণ মানুষের। কিন্তু বাজেটে অত্যান্ত সামান্য বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। এটা সাধারণভাবে বলা যায় রুটিনবৃদ্ধি, কোন ক্রাইসিসের জন্য এই বৃদ্ধি সামান্য এবং অপ্রতুল।

বাজেটের ঘাটতি পূরণে বিদেশী ঋণ, স্বল্পসূদে ঋণ এবং বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তির যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। আগামীদিনের অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তাতে এটা আদৌ অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা তা বলা যাচ্ছেনা। তাই রাজস্ব প্রাপ্তিতে যেমন বিশাল সমস্যা হতে পারে, তেমনিভাবে বাজেট অনুযায়ী অর্থায়নেও সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া যেসকল বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা মুখে বলেছেন কিন্তু কাগজে মোটেই নেই বলে মন্তব্য করেছেন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কো- চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (ঢাকা বিভাগ) লিয়াকত হোসেন খোকা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, পনির উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ।