বিদ্যুতে মাইলফলকের বছর ২০২১

  সালতামামি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিদ্যুতে মাইলফলকের বছর ২০২১

বিদ্যুতে মাইলফলকের বছর ২০২১

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া, সন্দ্বীপ থেকে পাহাড়ের দূর্গমে এবং চরাঞ্চলের বাসিন্দারাও এখন বিদ্যুতের আলোও আলোকিত। কিছুদিন আগেও যেসব এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই বিদ্যুতের আলো দেখতে পাবেন আশাবাদী ছিলেন না।

সারা দেশে (৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। দু’একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু গ্রাহক রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলমান। এরমধ্যে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দ্বীপাঞ্চলে । যাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে শিগগিরই। অর্থাৎ শতভাগ বিদ্যুতায়ন এখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয় মাত্র। সে কারণে ২০২১ সাল বিদ্যুৎ খাতের জন্য মাইলফলক।

১৯০১ সালে ৭ ডিসেম্বর আহসান মঞ্জিলে লাইট জ্বালানোর মধ্য দিয়ে বিদ্যুতের পথচলা, ১৯১৯ সালে ‘ডেভকো’ নামক ব্রিটিশ কোম্পানির মাধ্যমে ঢাকায় সীমিত আকারে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু, পরবর্তীতে ১৯৩৩ সালে ঢাকার পরীবাগে ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ‘ধানমন্ডি পাওয়ার হাউস’ নির্মাণ করে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু ইতিহাস যেমন মুছে ফেলা যাবে না। তেমনি বিদ্যুৎ খাতের শতভাগ অর্জনও বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।

বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাওয়ায় দুর্গম এলাকার অর্থনৈতিক চিত্রও বদলে যাচ্ছে। গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক কেন্দ্র, বসছে চাউল কল, স-মিল, অটোমোবাইলের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বেরিয়ে আসছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার মান।একটি বিদেশি গবেষণায় বলা হয়েছে গ্রামে বিদ্যুতায়নের ফলে বাংলাদেশের শিশুদের গড় উচ্চতা বেড়ে গেছে। প্রায় দুই বছরজুড়েই করোনা মহামারি সত্ত্বেও এই অর্জন সাধুবাদ পাওয়ার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন এই খাতের বোদ্ধারা।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যে ঘোষণা দিয়েছেন। তখন অনেকেই একে নির্বাচনী স্ট্যান্ডবাজি বলে মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালকে সে সব সমালোচকদের মুখে চুন-কালি লেপনের বছর বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ র্পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সিস্টেম লসে লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এক সময় ৩৭ শতাংশ সিস্টেম লস ছিল, সেই সিস্টেম লস এখন এক অংকে নেমে এসেছে অনেক বিতরণ কোম্পানিতে। চলতি অর্থ বছরে (২০২১-২২) এর প্রথম ৩ মাসে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিস্টেম লস ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, একই সময়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশে নেমে এসেছে। সামগ্রিক সিস্টেম লস ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

তুলনামূলক সিস্টেম লস বেশি হয়েছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি। ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি অর্থ বছরের প্রথম কোয়ার্টারে গীষ্মমৌসুম থাকায় সিস্টেম লস কিছুটা বেশি হয়েছে। আশা করছি পুরো অর্থবছরে গড় সিস্টেম লস লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে।

তিনি বলেন, ৫ লাখ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার কাজ চলছে। আরও একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যাতে ১২ লাখ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হবে। এই কাজটি শেষ হলে সিস্টেম লস অনেক কমে আসবে।

সিস্টেম লস কমানোর পাশাপাশি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে কাজ শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সিস্টেম অ্যাভারেজ ইন্টারেপশন ডিউরেশন ইনডেক্স (সাইদি) ও সিস্টেম অ্যাভারেজ ফিকোয়েন্সি ডিউরেশন ইনডেক্স (সাইফি) কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। অতীতে এই সুচকগুলো ম্যানুয়ালি হিসাব করা হতো। তখন সংস্থাগুলোর তথ্য গোপন করার সুযোগ থেকে যেতো। সাইদি- সাইফি অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে করে গোজামিল দেওয়ার আরও কোনো সুযোগ থাকবে না। গ্রাহকের সঠিক চিত্র উঠে আসবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আগে সাইদি-সাইফি ছিল বিতরণ কোম্পানি নির্ভর। এখন স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে ডাটা জেনারেট করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। চলতি বছরেই ৫০ শতাংশ অটোমেশন হবে। সবাই কোয়ালিটি ও নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে, শিল্পে ডাবল সোর্স নিশ্চিত করা হচ্ছে।

কয়েক বছর আগেও বিদ্যুৎ নিয়ে হাহাকার ছিল, লোডশেডিংয়ের অভিযোগ ছিল নিত্যদিনের চিত্র। গীষ্মমৌসুমে ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্টসহ নানারকম কৌশল নিতে হতো। বিদ্যুৎ দিতে না পেরে শিল্পে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন সরকারের হাতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। ২০১৮-২০১৯ সালেও বিদ্যুৎ চালিত অটো রিকশা বন্ধে গলমঘর্ম হলেও এখন বিদ্যুৎ বিভাগেই চায় বৈদ্যুতিক বাস আমদানি উন্মুক্ত করা হোক।

জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বছরজুড়েই গুঞ্জন ছিল বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির খবর। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনেই থেকে গেছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর খবর টি। কমে এসেছে লোডশেডিংসহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রবনতা। সারপ্লাস উৎপাদন থাকলেও এখনও নানা সীমাবদ্ধতার কথা বলে লোডশেডিং করা হচ্ছে।

নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, এতদিন সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো ছিল অগ্রাধিকার। সেই কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। এখন নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুতের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।

   

মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রূপপুর (পাবনা) থেকে
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র

  • Font increase
  • Font Decrease

 

৫ অক্টোবর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যেদিন রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর মধ্যদিয়ে নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম গর্বিত সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাবনার রূপপুরে চলছে সাজসাজ রব। ইতোমধ্যেই রূপপুরে পৌঁছে গেছে আংশিক ইউরেনিয়াম রড। প্রথম ইউনিট (১২০০ মেগাওয়াট) চালু করার জন্য ৭৫ টন ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হবে। একবার জ্বালানি দেওয়ার পর ১৮ মাস নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এরপর এক-তৃতীয়াংশ ইউরেনিয়াম অর্থাৎ ২৫ টন তুলে সেখানে নতুন রড দিতে হবে। এরপর আবার ১৮ মাস চলবে। এভাবে ১৮ মাস পরপর আংশিক জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে।

এক কেজি ইউরেনিয়াম প্রায় ১০০ টন কয়লার সমান তাপ উৎপাদনে সক্ষম। আর একই পরিমাণ তাপ তেলে উৎপাদন করতে হলে ৬০ টন ডিজেল প্রয়োজন হবে। যে কারণে এ সহজে পরিবহনযোগ্য বিবেচনা করা হয়। এই জ্বালানি একবার লোড করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ১৮ মাস বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। একই পরিমাণ বিদ্যুৎ অন্য জ্বালানিতে পেতে হলে অনবরত সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে রূপপুরে নেওয়া হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জ্বালানি ইউরেনিয়াম রড। এর আগে রাশিয়ার একটি কারখানা থেকে একটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পারমাণবিক জ্বালানির এই চালান আনা হয়। রাশিয়ার নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এই জ্বালানি উৎপাদিত হয়। রূপপুরের জ্বালানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চুক্তিবদ্ধ রয়েছে রোসাটম।

পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিশাল কর্মযজ্ঞ পদ্মার পশ্চিমতীর ভেড়ামারা থেকেও দৃশ্যমান। আকাশে উঁকি দেওয়া কুলিং টাওয়ারগুলো কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকেও স্পষ্ট। প্রত্যেকটি টাওয়ারের উচ্চতা হবে ১৭৫ মিটার। পুরো এলাকাজুড়ে চলছে রাজ্যের ব্যস্ততা, কারো যেনো দম ফেলাবার ফুসরত নেই। রাতদিন বিরামহীনভাবে চলছে ভিশনারি প্রকল্পটির নির্মাণ যজ্ঞ।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন অনেকেই। শুধু পরমাণু ক্লাবে প্রবেশ নয়, রূপপুর যেমন কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পুরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একইসঙ্গে এক ঝটকায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও কমিয়ে আনবে। বাংলাদেশের এই প্রকল্পে করোনাসহ বৈশ্বিক নানা সংকটে শঙ্কার আভা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত সব কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের প্রকল্পটি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খারাপ নজির থাকলেও মূল প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি না করে অনন্য নজির স্থাপন করতে যাচ্ছে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেছেন, নিউক্লিয়ার এনার্জি ক্লিন এনার্জি হিসেবে প্রমাণিত টেনকোলজি। আমরা যে অঞ্চলে বাস করি অনেক আগেই একে ক্লিন এনার্জি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য নিউক্লিয়ার এনার্জিকে বিবেচনা করা হচ্ছে। সারাবিশ্বে যে কার্বন নিঃসরণ হয় তার এনার্জি খাত থেকেই দুই-তৃতীয়াংশ।

বাংলাদেশের জিরো কার্বন নীতি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২১ সালে কার্বন নিঃসরণ হয়েছে ১০৬-১১০ মিলিয়ন টন। আমাদের একটি টার্গেট রয়েছে জিরোর দিকে যাবো। ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬ মিলিয়ন টনের মতো কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে রূপপুরে ২৪’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে বছরে ২০ মিলিয়ন টনকার্বন নিঃসরণ কমে আসবে। অর্থাৎ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কার্বন নিঃসরন কমে আসবে শুধু রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে। আরও দুইটি পরমাণু বিদ্যুৎ করার কথা, যদি করা যায়, তাহলে সরকার শর্তহীন ভাবেই কার্বন ইমিশন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, ফুকুশিমার পর কোরক্যাচার টেকনোলজি যুক্ত করা হয়। এটি না করলে অনেক খরচ কম হতো, কোরক্যাচার বসিয়েছি শুধু জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে। নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন ছাড় দেওয়া হয়নি। জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। তিনটি প্রথম শ্রেণি না থাকলে এখানে কোন প্রকৌশলী নিয়োগ করা হয়নি। আমাদের ছেলেগুলো শূন্য থেকে দেখছে, দক্ষ হয়ে উঠছে। আমার একটি ভয় হচ্ছে তেলে ভাসমান মধ্যপ্রাচ্যে যখন পরমাণু বিদ্যুতে ঝুঁকে যাচ্ছে। আমরা ছেলেদের ধরে রাখতে পারি কিনা! বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে আমাদের শ্রমিকদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবে।

১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের এই প্রকল্পে নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রূশ ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ এ প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং একই পরিমাণ বিদ্যুৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ২০২৪ সালে উৎপাদন হওয়ার কথা। তবে রাশিয়ার উপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে জার্মান প্রতিষ্ঠান সিমেন্স কাজকে জটিল করে তুলেছে। সিমেন্স ২৩৩/৪০০ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন সরবরাহ করার কথা ছিল। তারা সাব স্টেশন সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানালে নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে চীনা কোম্পানিকে। তারা ২০২৩ সালের নভেম্বরে সরবরাহ করবে। অন্যদিকে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারছেন না। যে কারণে ১ বছরের মতো পিছিয়ে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৫ সালে উৎপাদনে আসতে পারে।

বর্তমানে পৃথিবীর ৩০টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ মোট উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় ১২ শতাংশ। ১৪টি দেশে আরও ৬৫টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ ২৭টি দেশে ১৭৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

  সালতামামি

;

হাই-টেক ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার’ পেল ওয়ালটন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম।

স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম।

  • Font increase
  • Font Decrease

হাই-টেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ এর প্রথম পুরস্কার পেল দেশের গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। বার্ষিক টার্ণওভার, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন, স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সামাজিক দায়িত্ব পালন, নিষ্কন্টক ভূমি ও ভূমির পরিকল্পিত এবং দক্ষ ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটনকে এই পুরস্কার প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর, ২০২৩) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনসহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে হাই-টেক ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো.মাহবুবুল আলম।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এবং শিল্পখাতে উদ্যোক্তাদের অবদানের স্বীকৃতি, প্রণোদনা তৈরি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এই পুরস্কার প্রদানের অন্যতম লক্ষ্য হলো বঙ্গবন্ধুর শিল্প পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে শিল্পায়নের যে সূচনা হয়েছিল সে অবদানকে স্মরণীয় করা এবং বাংলাদেশের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে শিল্পায়নের ক্রমবিকাশকে টেকসই করা। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান তৈরি এবং বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। এছাড়া পণ্য বহুমুখীকরণ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিতকরণের মাধ্যমে দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করা।

অনুষ্ঠানে শিল্পোদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদানকালে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে আজকে আমরা পুরস্কার পাচ্ছি। এজন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমাদের শিল্পোদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন হয়তো স্বপ্নই থেকে যেতো। শিল্পখাতে সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার প্রদান একটি মহতী উদ্যোগ।

আমাদের প্রত্যাশা, শিল্পখাতকে রাষ্ট্রকর্তৃক পুরস্কৃতকরণের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এতে শিল্পোদ্যোক্তারা অনুপ্রাণিত হবেন। তাদের মধ্যে সৃজনশীলতার উন্নয়ন ঘটবে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাই সচেষ্ট হবেন। এর মাধ্যমে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, হাই-টেক ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নিজেদের স্বনির্ভরতা ও দেশকে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে আজ ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো আমরা তা এখন রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এই নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

শিল্প মন্ত্রণালয় নির্বাচিত ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি এবং হাই-টেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি।

১ম পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা ও ২৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট, ২য় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা ও ২০ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট এবং ৩য় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা ও ১৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্টসহ সকলকে সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।

 

  সালতামামি

;

বি পি আর এ’র উদ্যোগে ‘ডিজিটাল পিআর’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪র্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ সে বিষয়ে “পিআর ইন ডিজিটাল এরা: হাউ পিআর প্রোফেশনালস ক্যান ট্রান্সফর্ম” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব)।

ইউল্যাব’র ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ৮০ জন জনসংযোগ পেশাজীবি উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কি-নোট স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনন্দিত জনসংযোগ ব্যক্তিত্ব এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জাস্টিন গ্রীন।

এসময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনসংযোগ খাতের বর্তমান পরিস্থিতি, গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পাশাপাশি জনসংযোগ খাতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে জনসংযোগের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে ডিজিটাল পিআর। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কারণে এখন মুহূর্তের মধ্যেই একটি তথ্য সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে তথ্য পাওয়া যেমন সহজ হচ্ছে তেমনি তথ্যের সত্যতা ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। জনসংযোগ কর্মীদের এবিষয় নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন ইউল্যাব’র প্রো-ভিসি অধ্যাপক জুড ইউলিয়াম হেনিলো, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির সভাপতি বজলুল হক রানা ও মহাসচিব মনিরুজ্জামান টিপু। প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালাটি শেষ হয়। নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কিছু উদাহরণ দিয়ে উপস্থিত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাস্টিন গ্রীন।

  সালতামামি

;

আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি

আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশের সহযোগিতায় এবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও দিনাজপুর জেলার ১৪টি স্কুলে।

শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে বই তুলে দিয়ে এবছর ৩৩,৬০০ বই বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন লাখ বই বিতরণ করেছে বিকাশ, যার মাধ্যমে অন্তত ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের ৫টি এবং চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও দিনাজপুরের ৩টি করে বিদ্যালয়ে এবার বই পড়া কর্মসূচি সম্প্রসারিত হলো। এই জেলাগুলোতে পৃথক চারটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে বই তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গাতে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, নড়াইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল এবং দিনাজপুর চিরিরবন্দরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম শরীফুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার ও বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) ইভিপি এবং রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানগুলোতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক জনাব শামীম আল মামুন।

শিক্ষার্থীদের পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বইপড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে গত নয় বছর ধরে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিকাশ।

  সালতামামি

;