২০২১: কেমন ছিল সাভারের শিল্পাঞ্চল?

  সালতামামি



হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহামারির ২০২১ সাল শুরুর পর সাভারের মানুষের বড় চাওয়া ছিল করোনার সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা। প্রথম ধাপের করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি ও স্বজন হারানোর বেদনা সামলে দিতে না দিতে শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ। যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনমনে। এতে করে আতঙ্কে ও কষ্টে দিন পার করে এখানকার শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।

করোনার সেই আতঙ্ক কাটিয়ে আবারও ঘুড়ে দাড়াতে শুরু করেছে সাভারের শিল্পাঞ্চলবাসী। করোনায় বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের মতোই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল শিল্পাঞ্চল সাভারও। এ বছরটিতে সাভারে ঘটেছে নানা আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা।

কঙ্কাল চুরি, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও নরেন্দ্র মোদী শ্রদ্ধা, মিনি ক্যাসিনো, চলন্ত বাসে ধর্ষণ, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু, কলেজ শিক্ষকের মরদেহ, সিঙ্গারের গোডাউনে আগুন, শীর্ষ সন্ত্রাসী গেদু রাজ আটকসহ নানা ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে।

বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য সাভারের এসব আলোচিত-সমালচিত ঘটনা তুলে ধরা হলো:

কঙ্কাল চুরি: ২০২১ এর ২৭ ফেব্রুয়ারি সাভারের আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ির রণস্থল এলাকায় ‘রণস্থল জান্নাতুল বাকী’ নামের একটি কবরস্থান থেকে রাতের আধারে ১৬টি কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ: ২ মার্চ সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় যুবলীগের অন্তত দুইজন আহত হয়েছে৷ এ সময় ১৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে ইউপি সদস্যের ছেলে আটক করা হয়।

স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও মোদী শ্রদ্ধা: ২৩ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে বীর শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। এছাড়ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ সকালে নরেন্দ্র মোদী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মিনি ক্যাসিনো: ১২ এপ্রিল সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে মিনি ক্যাসিনোর আসর হতে ২৫ জুয়ারিকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় নগদ টাকা, একটি ইলেকট্রিক ক্যাসিনো বোর্ড ও জুয়া খেলার প্লেইং কার্ড জব্দ করে। এছাড়াও মিনি ক্যাসিনোতে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ ও র‌্যাব।

৬ শ্রমিক নেতা গ্রেফতার: ৯ মে সাভারের আশুলিয়ায় ভার্সেটাইল এটোয়ার লিমিটেড নামের এক পোশাক কারখানার শ্রমিকদের থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৬ শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ডাকাত বা ডাকাতি: ২২ মে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ ও বাইপাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে আটক করেছ র‌্যাব। এছাড়ও ২৬ মে আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে আটক করে। এছাড়ও ৫ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়ার বংশী নদী তীরবর্তী নয়ারহাট বাজারের ১৯ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনাটিও ছিল বেশ চাঞ্চল্যকর।

চলন্ত বাসে ধর্ষণ: ২৮ মে সাভারের আশুলিয়ায় একটি চলন্ত বাসে তরুণিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে বাসটি। রাত ১টার দিকে আশুলিয়া-সিঅ্যান্ডবি বাইপাস সড়কের আশুলিয়া গরুর হাট এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কিশোর গ্যাং: ৩১ মে সাভারের আরাপাড়া ও বনপুকুর এলাকা থেকে মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে নারীসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের থেকে হেরোইন ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

দুই ভাইয়ের গলাকাটা লাশ: ১১ জুন সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের হারুলিয়া এলাকা পাট ও ধইঞ্চা ক্ষেত থেকে গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার দুই খালাতো ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনায় মামলা হলে পরে পুলিশ অপরাধীদের আটক করে।

ঠিকাদারকে গুলি: ৬ জুন আশুলিয়ার কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ঠিকাদারকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি করে এই শাহিন পালোয়ান। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন ফিরোজা এন্টারপ্রাইজ নামের সেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক বেলাল। পরে ১৯জুন দিবাগত রাতে আশুলিয়ার পালোয়ানপাড়া থেকে শাহিন পালোয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরীমণি: ২৭ জুন দুপুরে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলার প্রয়োজনে সাভার মডেল থানায় আসেন চিত্র নায়িকা পরীমণি। এর আগে গত ২৩ জুন মামলার আসামি নাসির ইউ আহমেদ ও অমিকে ৫ দিনের রিমান্ডে থানায় আনে পুলিশ।

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু: ২০২১ সালের জুলাই থেকে আগস্ট মাসে সাভারে কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল আশুলিয়ার রানী। আশুলিয়ার চারিগ্রাম গ্রামের শিকড় এগ্রো লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানে বড় হয় রানী। মাত্র ২ বছর বয়সী ‘বক্সার ভূট্টি’ জাতের এই গরুটির ওজন মাত্র ২৬ কেজি, তার উচ্চতা ২০ ইঞ্চি। গিনেস বুকে নাম বিশ্বের সব চেয়ে ছোট গরু হিসেবে নাম লেখেতে আবেদন করা হয়। যদিও পরে মরে গিয়েও গিনেস বুকে নাম লেখিয়ে যায় আশুলিয়ার সেই রানী।

সিঙ্গারের গোডাউনে আগুন: ০৫ আগস্ট সাভারের রাজফুলবাড়িয়ায় সিঙ্গার ইলেকট্রনিক্সের একটি গোডাউন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছ। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করে। সে সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়।

কলেজ শিক্ষকের মরদেহ: ০৯ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ১৯ দিন ধরে নিখোঁজ কলেজ শিক্ষকের খণ্ডিত মরদেহের ৫টি অংশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সে ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। ১৩ জুলাই থেকে তার সন্ধান মিলছিল না। পরে এ ঘটনায় গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন তার পরিবার।

শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘গেদু রাজ’: ২৪ ডিসেম্বর সাভারের আশুলিয়ায় ৪ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল আলিম যুবরাজ ওরফে গেদু রাজ (৬৭) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া এবং কাশিমপুর থানায় নারী নির্যাতন ও মাদক সহ আরও ৬টি মামলা রয়েছে।

শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভালোবাসা নিয়ে আসুক নতুন বছর ২০২২, এমনটাই প্রত্যাশা সাভার শিল্পাঞ্চলবাসী।

  সালতামামি

‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করতে হলে তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নসহ বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে সরকারের পাশপাশি নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমকে সমন্বিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।

বুধবার (৩১ মে) ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস' উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তামাক এক প্রকার বিষ যা মানুষকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। তামাক চাষ হতে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তামাকজাত পণ্য সেবন প্রতিটি পর্যায় জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবন প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকসৃষ্ট রোগে পৃথিবীতে প্রতিবছর ৭০ লক্ষাধিক মানুষ অকালে মারা যায়। ধূমপানকে বলা হয় মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক ও ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, পরোক্ষভাবে অধূমপায়ীকেও সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়নসহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য উৎপাদনযোগ্য কৃষি জমি কমে আসছে। অপরদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন সমস্যা খাদ্য উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

এমতাবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কৃষি জমিতে খাদ্যশস্য চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক জানিয়ে তিনি বলেন, সেজন্য খাদ্য উৎপাদনযোগ্য কৃষি জমিতে ক্ষতিকর নেশাদ্রব্য তৈরির উপকরণ ও তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষ করা, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের বাজার নিশ্চিত করা এবং টেকসই ও পুষ্টিকর শস্য চাষ বৃদ্ধিতে সংশি¬ষ্ট কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা জরুরি। এ প্রেক্ষিতে এবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক চাষে অনেক বেশি সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়, যা ক্রমশ মাটির উর্বরতা হ্রাস করে। ফলে পরবর্তী সময়ে তামাক চাষের জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদন ভাল হয় না। এছাড়া কাঁচা তামাক পাতা চুল্লি¬তে আগুনের তাপে শুকানো ও বিড়ি-সিগারেট তৈরির জন্য বনজ সম্পদ ধ্বংস হয় এবং চুল্লির আশপাশের বায়ু মারাত্মক দূষিত হয়। তামাক সেবন ও ধূমপানের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তামাকের এই বহুমাত্রিক ক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে তামাক চাষ কমাতে পারলে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের পথ ত্বরান্বিত হবে।

  সালতামামি

;

ধূমপান ও তামাকের ভয়াল নেশা থেকে দূরে থাকুন: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

ধূমপান ও তামাকের ভয়াল নেশা থেকে সবাইকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অংশীজনদের প্রায়োগিক ভূমিকার মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

বুধবার (৩১ মে) ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩' উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দিত। তিনি বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী প্রতি ৩০০টি সিগারেট তৈরির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ কাটা পড়েছে। তামাক চাষ ও তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রতিবছর গড়ে দুই লাখ হেক্টর বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তামাক চাষে ব্যবহৃত কীটনাশক ও তামাকের ক্ষতিকর রাসায়নিক মাটি ও আশপাশের জলাশয়ের পানি দূষণ করছে। ফলে, মাটি, বায়ু ও পানিনির্ভর জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং কৃষি ব্যবস্থা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে। অন্যদিকে তামাক প্রক্রিয়া, সিগারেট ও বিড়ির ধোঁয়ায় বায়ুর বিষমাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তামাক ব্যবহার অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্টি করছে। তামাক সেবনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ যেমন- হৃদরোগ, ক্যানসার, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৮৭ লাখ এবং বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাক সেবন কেবল ধূমপান, জর্দা ও গুলের ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করে তা নয়, পরোক্ষ ধূমপানও অধূমপায়ীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাকের ব্যবহার হ্রাস করার লক্ষ্যে ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল’ (এফসিটিসি) প্রণয়ন করেছে।

এফসিটিসি’র আলোকে বাংলাদেশে ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ প্রণীত হয় ও ২০১৩ সালে তা সংশোধন করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘ তামাককে উন্নয়নের হুমকি বিবেচনায় নিয়ে এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) প্রণয়ন করেছে। এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়টিকে ৭ম ও ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যুক্ত করেছে। সর্বোপরি, দক্ষিণ এশীয় স্পিকার্স সামিট ২০১৬-এ আমরা আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। সে লক্ষ্যে আমাদের সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যার যেখানে যতটুকু পতিত জমি আছে, তা চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বর্ধিত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও বসতি গড়ে তোলার কারণে কৃষিজমি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে, যা খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষত পানির অভাবে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বশেষ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেল, সার ও কীটনাশকের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে খাদ্যপণ্যের ব্যাপক হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। এ অবস্থায় তামাকের মতো বহুমাত্রিক ক্ষতিকর ফসলের চাষ কমিয়ে এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো জরুরি।

  সালতামামি

;

আইসিটি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুইডেনের বৃহত্তর বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) আরও সুইডিশ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের আইসিটি ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুইডেনের কাছ থেকে আরও বিনিয়োগ চাই।

সুইডিশ পোশাক কোম্পানি এইচএন্ডএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং প্রেসিডেন্ট হেলেনা হেলমারসনের নেতৃত্বে একটি সুইডিশ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসব জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য এনে রফতানি ঝুড়িকে আরও সম্প্রসারণ করতে চায় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক নীতি রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করছে। সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে খুবই সচেতন। এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে।

নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের উত্থান সত্ত্বেও কোভিড-১৯ মহামারি থেকে উদ্ভূত খারাপ সময়ে বাংলাদেশ থেকে কোন প্রকার ক্রয় আদেশ বাতিল না করার সুইডিশ পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন তিনি।

অন্যদিকে এইচএন্ডএম প্রেসিডেন্ট হেলেনা হেলমারসন জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করছি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সফলভাবে দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন হেলেনা হেলমারসন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে এবং এইচএন্ডএম-এর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অ্যাডাম কার্লসন উপস্থিত ছিলেন।

  সালতামামি

;

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। বিকল্প খাদ্য ফসল উৎপাদন ও বিপণনের সুযোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই ও পুষ্টিকর ফসল চাষে তামাক চাষিদের উৎসাহিত করতে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘গ্রো ফুড, নট টোব্যাকো’।

তামাক উৎপাদনে কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচনও এবারের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হবে। দিবসটি উদযাপন উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) প্রতিবছরের মত এবারও যথাযথ গুরুত্বের সাথে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়য়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।

তামাক চাষ কৃষকের স্বাস্থ্য, মাটির স্বাস্থ্য এবং সার্বিকভাবে গোটা জনস্বাস্থ্য ও পৃথিবীর স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করে। দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক প্রতিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য সংকট সৃষ্টিতেও ভুমিকা রাখে তামাক। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকটের পিছনে সংঘাত-যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারির অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবের পাশাপাশি তামাক চাষের একটি প্রভাব রয়েছে। বর্তমানে, পৃথিবীর ১২৫টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয় এবং শীর্ষ তামাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ভুক্ত দেশ।

অন্যদিকে পৃথিবীব্যাপী উৎকৃষ্ট মানের জমি ক্রমবর্ধমানহারে তামাকচাষে ব্যবহৃত হওয়ায় খাদ্য ফসলের জমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এসব জমি খাদ্যফসল ফলানোর কাজে ব্যবহার করা গেলে লাখ লাখ মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তার সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।

বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ খুবই কম, মাত্র ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৭ হাজার একর। অথচ তামাক চাষে ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। বিশ্বের মোট তামাকের ১.৩ শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। তামাকচাষের কারণে খাদ্য ফসলের জমি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশে রবি মৌসুমের প্রধান খাদ্য ফসলগুলোর মধ্যে বোরো, গম এবং আলু অন্যতম এবং এ মৌসুমেই তামাক চাষ হয়ে থাকে।

অন্যদিকে বাংলাদেশে তামাকজনিত অসুস্থতায় প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। দেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক। তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় ও কর্মক্ষমতা হ্রাসের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তামাকের এসব ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করেই তামাক নিয়ন্ত্রণকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের অন্তর্ভুক্ত (টার্গেট ৩এ) করা হয়েছে। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তামাকের সরবরাহ এবং চাহিদা কমিয়ে আনাই হতে পারে তামাকের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার সঠিক উপায়।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক চাষে অতিরিক্ত যে লাভের কথা প্রচার করা হয়, তার প্রায় সবটাই বানোয়াট। আপাতদৃষ্টিতে তামাক চাষে বেশি আয় উপার্জন হলেও এই আয় থেকে পারিবারিক শ্রমের পারিতোষিক, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত নিজস্ব গাছের বা কাঠের দাম, পরিবেশের ক্ষতি, স্বাস্থ্য ব্যয় ইত্যাদি বাদ দিলে তামাক চাষে লাভের বদলে ক্ষতি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক চাষে নেট সোশ্যাল রিটার্ন ঋণাত্মক, প্রতি একরে ক্ষতি ৯১৬.১১ ডলার।

টোব্যাকো অ্যাটলাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৩১ শতাংশ বন নিধনের পেছনে তামাক চাষ দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় তামাকপাতা শুকানোর (কিউরিং) কাজে এক বছরেই প্রায় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি কাঠ ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয় বন থেকে এইসব কাঠ সংগ্রহ করায় পাহাড়গুলো বৃক্ষহীন হয়ে পড়ছে এবং সেখানকার অধিবাসীরা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া তামাক চাষে ব্যবহৃত অতিরিক্ত কীটনাশক ও সার বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে নিকটস্থ জলাশয়ে মিশে মৎস্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, তামাক চাষের ক্ষতি থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য তামাক কোম্পানিগুলো প্রায়শই নিজেদের অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব হিসেবে উপস্থাপন করে। তথাকথিত সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচির (সিএসআর) মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলো তাদের ঘটানো ক্ষতি আড়াল করে এবং দায় এড়ানোর চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, তামাক জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য হুমকি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করণের মাধ্যমেই এসব ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

  সালতামামি

;