বছরজুড়ে রাজনীতির মাঠে ‘উত্তাপ’ ছড়ানোর চেষ্টায় বিএনপি

  সালতামামি



আকরাম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে বিদায়ী বছরের রাজনীতির ময়দানে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তবে অন্যান্য বছরের মতোই ২০২১ সালেও আশা জাগিয়ে জোড়ালো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। উল্টো সরকারের নানামুখী চাপে কোনঠাসা হয়ে রয়েছে দলটি।

অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বড় কর্মসূচি দিলেও বছর জুড়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, দোয়া মাহফিল, জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা, স্থায়ী কমিটির সাপ্তাহিক বৈঠক, সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে। নেতাদের অনেকে মনে করেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০২১ সালে দলটি কিছুটা আন্দোলনমুখী হয়েছে।

অসুস্থ খালেদা জিয়া

২১ মাসেরও বেশি সময় সরকারের নির্বাহী আদেশে নানা শর্তসাপেক্ষে মুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাসায় অবস্থানকালে ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। আক্রান্তের ২৭ দিন পর ৯ মে করোনা মুক্ত হন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। বাসায় থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১২ অক্টোবর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে এদিন রাতেই সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। এর ৬ দিন পর ১৩ নভেম্বর আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিম। ক্রমশই তার শারীরিক অবস্থা জটিল হচ্ছে। এ রোগের চিকিৎসার জন্য এ মুহূর্তে যে প্রযুক্তি দরকার তা ভারতীয় উপমহাদেশে নেই। এসমস্ত চিকিৎসা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে সম্ভব বলে জানিয়েছে মেডিকেল টিম এবং যত দ্রুত সম্ভব বিদেশে দেয়ার পরামর্শ দেন তারা।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে পরিবারের চিঠি

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি একবার আবেদন করা হয়। সে আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে আবারও চিঠি দেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।

মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসা দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি পালন করছে দলটি। ২০ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমানে গণ-অনশন করে দলটি। গণ-অনশন থেকে ২২ নভেম্বর একই দাবিতে সারাদেশে মহানগর ও জেলায় সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। এসময় হরতাল দেয়ার দাবি জানান নেতাকর্মীরা। ২২ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ হয়। ২৪ নভেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে বিএনপি।

২৪ নভেম্বর ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। ২৫ তারিখ যুবদল সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। ২৬ তারিখ সারাদেশে মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া, ২৮ তারিখ সেচ্ছাসেবক দল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। ৩০ তারিখ বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ, ২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদলের মানববন্ধন, ৩ তারিখ কৃষকদল মৌন মিছিল। ২২ ডিসেম্বর থেকে জেলায় জেলায় সমাবেশ শুরু করছে বিএনপি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত একই দাবিতে ৩২ জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব সমাবেশ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন।

ধারণা করা হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসার দাবিতে কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরাও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কাছে বিভিন্ন সময় হরতালের মতো কর্মসূচির দাবি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়নি মাঠের প্রধান বিরোধী দল।

নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

সাড়ে তিন বছর পর সেপ্টেম্বরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে দলের হাইকমান্ড। ১৪,১৫,১৬ তারিখে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকমণ্ডলি এবং অঙ্গ সংগঠনের মোট ২৮৬ জন নেতা অংশ নেন। ২১,২২,২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান হয়। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা যারা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নয় তারাও এ বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। তিন দিনের সে সিরিজ বৈঠকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতি মিলে মোট ৩৬৩ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিএনপির এ বৈঠক দেশের রাজনৈতিক অঙ্গে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।

বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা

বরাবরের মত এবারও বিএনপির মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এঘটনায় পুলিশের আট সদস্য আহত হয়। অন্যদিকে দেড় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। এতে ছাত্রদলের ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

১৭ আগস্ট সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের।

করোনাকালে রাজনীতি

সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নেতা-কর্মী-সমর্থক-জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে ১ এপ্রিল ‘রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক’ কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি। এসময় নিয়মিত ভার্চুয়াল আলোচনা ও নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে দলটি। সাধ্যমত ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী বিতরণ করেছেন দলটি। করোনা মহামারীর প্রকোপ কমে আসলে ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু করে সাংগঠনিক কার্যক্রম।

কারণ দর্শানোর নোটিশ ও বহিষ্কার

১৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ বা গুমে’র বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ২২ এপ্রিল বিতর্কিত মন্তব্যে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় দল। ২৬ এপ্রিল জবাব দেন তিনি। মির্জা আব্বাসের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয় বিএনপি। বছরের শেষে এসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২৫ ডিসেম্বর তাকে অব্যাহতি দেয়ার পর খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার ১৬টি ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের ৫৬১ নেতা-কর্মী পদত্যাগ করে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির শাখা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দলটি। ঢাকা দক্ষিণে আহ্বায়ক করা হয় আবদুস সালাম ও উত্তরে আহ্বায়ক হয়েছেন আমান উল্লাহ আমানকে। দক্ষিণে সদস্য সচিব করা হয়েছে রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হককে উত্তরের। ২ আগস্ট বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উল্লেখিত কমিটি দুটি অনুমোদন করেছেন।

না ফেরার দেশে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মওদুদ আহমদে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ১৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এর আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি, আইনমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ।

ইউপি নির্বাচন বর্জন

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ২৮ ফেব্রুয়ারি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ও সব পৌরসভার নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে চরম ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান।

রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকার ব্যতিরেকে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কোনও নির্বাচন কমিশনই করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন, তার কোনও ক্ষমতা নেই পরিবর্তন করার। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনও ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। বিএনপি অর্থহীন কোনও সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।

বিদায়ী বছরে রাজনৈতিক মূল্যয়ন করতে যেয়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে বিএনপি মনোনীত সাংসদ রুমিন ফারহানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিদায়ী বছরে বিরোধী দলীয় রাজনীতির সাথে যারা যুক্ত তাদের কারও জন্যই খুব স্বস্তি ছিল না। আমাদের উপরে সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণ অব্যাহত ছিল। যা ২০১৩-১৪ সালে শুরু হয়েছে তার ধারাবাহিকতা একুশেও ছিল।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে রাজপথে বিএনপি যে আন্দোলন করার কথা ছিল তা অব্যাহত রয়েছে। আইনের পথেও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। একইসাথে ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে আবেদন পত্রও জমা দেয়া হয়েছে। সরকার এখন এতটাই স্বৈরাতান্ত্রিক, এতটাই ফ্যাসিস্ট আচরণ করছে যে কোনো ব্যাপারে তাদের কর্ণপাত করা আলামত দেখতে পারছি না।

বিএনপির রাজনীতি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন প্রশ্ন করলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এসব হতাশার কথা বলে তো লাভ নেই। তাদের অনেক দূর যেতে হবে। তাদের ঘুম থেকে জাগতে হবে। তারা এখনো ঘুম থেকে জাগে নাই। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেনি তারা। তাদের যদি ইচ্ছা থাকতো তাহলে গত বছরেই হাইকোর্ট ঘেরাও করা উচিত ছিল। সেটা তারা করে নাই। নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে থাকা এবং গুলশানে থাকা একই কথা। বরং শেখ হাসিনাকে পলিটিক্যাল অ্যাডভান্টেজ দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিগত দিনের বিএনপির রাজনীতি জনগণের পক্ষে ছিল, এখনো আছে, সামনেও থাকবে। গণতন্ত্রের পক্ষে, জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে, বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতার পক্ষে, আইনের শাসনের পক্ষে, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার পক্ষে বিএনপির রাজনীতি ছিল-আছে-থাকবে। যতদিন বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে না পাবে ততদিন বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে। সমগ্র দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেগেছে।

কঠোর কর্মসূচির প্রসঙ্গে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারাদেশে বিএনপির জোড়ালো কর্মসূচি চলছে। কর্মসূচি একদিনও বাদ যাচ্ছে না। যখন যে কর্মসূচি প্রয়োজন হবে সে সিদ্ধান্ত দল নিবে।

  সালতামামি

বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট: জয়



Mustafizur Rahman
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তা পাকাপোক্ত করতে ন্যাক্কারজনকভাবে হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করেছিলেন জেনারেল জিয়া।

মঙ্গলবার (৩০ মে) তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তিনি (জিয়া) লোক দেখানো সেই হ্যাঁ-না ভোটের আগে কোনো মিটিং মিছিল পর্যন্ত হয়নি। ছিল না পরিচিতি ও প্রচারের ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে রিকশা-বাসে এবং মানুষের ব্যক্তিগত যানবাহনে জোর করে সামরিক পোশাক পরিহিত জেনারেল জিয়ার পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণার নামে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, ভোটের দিন ভোটারবিহীন ভোটকেন্দ্রে মানুষ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনেক শিশুকেও জোর করে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দিন শেষে ঘোষণা আসে, ৯৯ দশমিক ৪ ভাগ ভোট পেয়ে একচেটিয়াভাবে জয় লাভ করেছেন জেনারেল জিয়া! তার বিপক্ষে কেউ ভোট দেয়নি!! এই হাস্যকর নির্বাচন এবং এর আগের-পরের ঘটনাপ্রবাহ বাঙালির ইতিহাসের অমোচনীয় কলঙ্কময় অধ্যায়।

তিনি বলেন, অতঃপর রাষ্ট্রীয় প্রবিধানকে পাশ কাটিয়ে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই জিয়া নিয়মবর্হিভূতভাবে গঠন করেন রাজনৈতিক দল 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'।

তিনি আরও বলেন, সেই দলের হয়ে ১৯৭৮ সালের তথাকথিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন এবং নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে জিয়া কোনো কোনো এলাকায় ১২০ ভাগ ভোট পেয়েছেন বলেও বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

  সালতামামি

;

আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সহায়ক হবে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান।

মঙ্গলবার (৩০ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐ সব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। এ কারণেই, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সব রাজনৈতিক দল মনে করে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই মনে করেন নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছেন। এতে অন্যকোন দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই। সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্বাচনে না এলেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের রাজনীতিতে বিদেশিদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই বিদেশীদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার, আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। এমন অবস্থায়, আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। সেই সুযোগটা আমরাই তৈরী করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মিমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।

তিনি বলেন, জবাবদিহিতা মূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারেন। জবাবদিহিতা থাকলে একটা আইন, শৃংখল ও নীতি থাকে। কে কী করতে পারবেন আর কী পারবে না তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরি হয় তখন কোন গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশিরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করতো না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারতো না।

  সালতামামি

;

জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার।

১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন তিনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইপিআর’র বাঙালি পল্টনের মেজর ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এরপর তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন।

মুশতাক সরকারের শাসনের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রধান সেনা প্রশাসক ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে।

জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিনটি উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

বিএনপি’র কর্মসূচি: সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করবে বিএনপি। সকাল ১১টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপি’র জাতীয় নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবেন। কবর জিয়ারত শেষে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে মাজার প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন তারা।

দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতি থানায় দুস্থদের মাঝে কাপড় ও রান্না করা খাবার বিতরণ করবেন দলটির নেতারা। ২৯ মে বিএনপি’র উদ্যোগে রমনাস্থ ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১ জুন জাসাস, ২ জুন বিএসপিপি, ৪ জুন শ্রমিক দল, ৮ জুন তাঁতী দল, ১০ জুন মৎস্যজীবী দল এবং আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বিএনপি’র অন্যান্য সংগঠন সমূহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

  সালতামামি

;

সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৯ মে) এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায়।

মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আ.লীগ) ভিন্ন মোড়কে আবারও একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাত্র কয়েকদিন আগে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা খুব উত্তেজনায় কাঁপছিলেন। কিন্তু এখন তাদের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। তাদের সুর নেমে এসেছে। তারা এখন বলছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, কারণ তারা অশান্তি চায় না।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আর কোনো অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না; বরং জনগণের জীবনমান উন্নত করতে চায়।

ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলের বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে। তবে আমরা (বিএনপি) তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে বলে দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এই বিএনপি নেতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

ফখরুল আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে দলীয় সরকারের অধীনে; বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সেই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাই যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এটা আশ্চর্যজনক। আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পিছনে কী জাদু আছে? লোকে বলছে চোরেরা সেই টাকা ফেরত আনছে, যেগুলো তারা চুরি করে আমেরিকা পাচার করেছিল।

  সালতামামি

;