বছরজুড়ে রাজনীতির মাঠে ‘উত্তাপ’ ছড়ানোর চেষ্টায় বিএনপি

  সালতামামি


আকরাম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে বিদায়ী বছরের রাজনীতির ময়দানে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তবে অন্যান্য বছরের মতোই ২০২১ সালেও আশা জাগিয়ে জোড়ালো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। উল্টো সরকারের নানামুখী চাপে কোনঠাসা হয়ে রয়েছে দলটি।

অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বড় কর্মসূচি দিলেও বছর জুড়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, দোয়া মাহফিল, জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা, স্থায়ী কমিটির সাপ্তাহিক বৈঠক, সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে। নেতাদের অনেকে মনে করেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০২১ সালে দলটি কিছুটা আন্দোলনমুখী হয়েছে।

অসুস্থ খালেদা জিয়া

২১ মাসেরও বেশি সময় সরকারের নির্বাহী আদেশে নানা শর্তসাপেক্ষে মুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাসায় অবস্থানকালে ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। আক্রান্তের ২৭ দিন পর ৯ মে করোনা মুক্ত হন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। বাসায় থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১২ অক্টোবর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে এদিন রাতেই সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। এর ৬ দিন পর ১৩ নভেম্বর আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিম। ক্রমশই তার শারীরিক অবস্থা জটিল হচ্ছে। এ রোগের চিকিৎসার জন্য এ মুহূর্তে যে প্রযুক্তি দরকার তা ভারতীয় উপমহাদেশে নেই। এসমস্ত চিকিৎসা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে সম্ভব বলে জানিয়েছে মেডিকেল টিম এবং যত দ্রুত সম্ভব বিদেশে দেয়ার পরামর্শ দেন তারা।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে পরিবারের চিঠি

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি একবার আবেদন করা হয়। সে আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে আবারও চিঠি দেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।

মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসা দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে একের পর এক কর্মসূচি পালন করছে দলটি। ২০ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমানে গণ-অনশন করে দলটি। গণ-অনশন থেকে ২২ নভেম্বর একই দাবিতে সারাদেশে মহানগর ও জেলায় সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। এসময় হরতাল দেয়ার দাবি জানান নেতাকর্মীরা। ২২ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ হয়। ২৪ নভেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে বিএনপি।

২৪ নভেম্বর ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। ২৫ তারিখ যুবদল সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। ২৬ তারিখ সারাদেশে মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া, ২৮ তারিখ সেচ্ছাসেবক দল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। ৩০ তারিখ বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ, ২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদলের মানববন্ধন, ৩ তারিখ কৃষকদল মৌন মিছিল। ২২ ডিসেম্বর থেকে জেলায় জেলায় সমাবেশ শুরু করছে বিএনপি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত একই দাবিতে ৩২ জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব সমাবেশ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন।

ধারণা করা হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসার দাবিতে কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরাও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কাছে বিভিন্ন সময় হরতালের মতো কর্মসূচির দাবি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়নি মাঠের প্রধান বিরোধী দল।

নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

সাড়ে তিন বছর পর সেপ্টেম্বরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে দলের হাইকমান্ড। ১৪,১৫,১৬ তারিখে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকমণ্ডলি এবং অঙ্গ সংগঠনের মোট ২৮৬ জন নেতা অংশ নেন। ২১,২২,২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান হয়। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা যারা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নয় তারাও এ বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। তিন দিনের সে সিরিজ বৈঠকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতি মিলে মোট ৩৬৩ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিএনপির এ বৈঠক দেশের রাজনৈতিক অঙ্গে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।

বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা

বরাবরের মত এবারও বিএনপির মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এঘটনায় পুলিশের আট সদস্য আহত হয়। অন্যদিকে দেড় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। এতে ছাত্রদলের ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

১৭ আগস্ট সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের।

করোনাকালে রাজনীতি

সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নেতা-কর্মী-সমর্থক-জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে ১ এপ্রিল ‘রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক’ কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিএনপি। এসময় নিয়মিত ভার্চুয়াল আলোচনা ও নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে দলটি। সাধ্যমত ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী বিতরণ করেছেন দলটি। করোনা মহামারীর প্রকোপ কমে আসলে ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু করে সাংগঠনিক কার্যক্রম।

কারণ দর্শানোর নোটিশ ও বহিষ্কার

১৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ বা গুমে’র বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ২২ এপ্রিল বিতর্কিত মন্তব্যে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় দল। ২৬ এপ্রিল জবাব দেন তিনি। মির্জা আব্বাসের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয় বিএনপি। বছরের শেষে এসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২৫ ডিসেম্বর তাকে অব্যাহতি দেয়ার পর খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার ১৬টি ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের ৫৬১ নেতা-কর্মী পদত্যাগ করে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির শাখা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দলটি। ঢাকা দক্ষিণে আহ্বায়ক করা হয় আবদুস সালাম ও উত্তরে আহ্বায়ক হয়েছেন আমান উল্লাহ আমানকে। দক্ষিণে সদস্য সচিব করা হয়েছে রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হককে উত্তরের। ২ আগস্ট বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উল্লেখিত কমিটি দুটি অনুমোদন করেছেন।

না ফেরার দেশে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মওদুদ আহমদে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ১৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এর আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি, আইনমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ।

ইউপি নির্বাচন বর্জন

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ২৮ ফেব্রুয়ারি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ও সব পৌরসভার নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে চরম ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান।

রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকার ব্যতিরেকে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কোনও নির্বাচন কমিশনই করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন, তার কোনও ক্ষমতা নেই পরিবর্তন করার। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনও ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। বিএনপি অর্থহীন কোনও সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।

বিদায়ী বছরে রাজনৈতিক মূল্যয়ন করতে যেয়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে বিএনপি মনোনীত সাংসদ রুমিন ফারহানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিদায়ী বছরে বিরোধী দলীয় রাজনীতির সাথে যারা যুক্ত তাদের কারও জন্যই খুব স্বস্তি ছিল না। আমাদের উপরে সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণ অব্যাহত ছিল। যা ২০১৩-১৪ সালে শুরু হয়েছে তার ধারাবাহিকতা একুশেও ছিল।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে রাজপথে বিএনপি যে আন্দোলন করার কথা ছিল তা অব্যাহত রয়েছে। আইনের পথেও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। একইসাথে ৪০১ ধারায় সরকারের কাছে আবেদন পত্রও জমা দেয়া হয়েছে। সরকার এখন এতটাই স্বৈরাতান্ত্রিক, এতটাই ফ্যাসিস্ট আচরণ করছে যে কোনো ব্যাপারে তাদের কর্ণপাত করা আলামত দেখতে পারছি না।

বিএনপির রাজনীতি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন প্রশ্ন করলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এসব হতাশার কথা বলে তো লাভ নেই। তাদের অনেক দূর যেতে হবে। তাদের ঘুম থেকে জাগতে হবে। তারা এখনো ঘুম থেকে জাগে নাই। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেনি তারা। তাদের যদি ইচ্ছা থাকতো তাহলে গত বছরেই হাইকোর্ট ঘেরাও করা উচিত ছিল। সেটা তারা করে নাই। নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে থাকা এবং গুলশানে থাকা একই কথা। বরং শেখ হাসিনাকে পলিটিক্যাল অ্যাডভান্টেজ দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিগত দিনের বিএনপির রাজনীতি জনগণের পক্ষে ছিল, এখনো আছে, সামনেও থাকবে। গণতন্ত্রের পক্ষে, জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে, বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতার পক্ষে, আইনের শাসনের পক্ষে, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার পক্ষে বিএনপির রাজনীতি ছিল-আছে-থাকবে। যতদিন বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে না পাবে ততদিন বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে। সমগ্র দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেগেছে।

কঠোর কর্মসূচির প্রসঙ্গে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারাদেশে বিএনপির জোড়ালো কর্মসূচি চলছে। কর্মসূচি একদিনও বাদ যাচ্ছে না। যখন যে কর্মসূচি প্রয়োজন হবে সে সিদ্ধান্ত দল নিবে।

বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলে কাদের বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর তালিকা..পত্র-পত্রিকায় দু’শোর মতো বা দু’শো চেয়ে একটু বেশি। আমরা এটার খোঁজ খবর নিচ্ছি। অনেক জায়গায়.. জাহাঙ্গীরের (গাজীপুরের সাবেক মেয়র) সঙ্গে জুয়েল নামে একটি ছেলে সবসময় থাকত, তাকে উত্তরায় মেরে লাশ লটকিয়ে রাখা হয়েছে। কি বর্বর, নৃশংসতা। পুলিশকে মেরে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক নিরহ মানুষ মারা গেছে। জানালায় দিয়ে বাইরের দৃশ্যপট দেখতেছিল..বাচ্চা যখন তাকালো, সেই বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা গেল। তারপরে এ ধরণের ঘটনা আরও অনেক ঘটেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে, নিষ্পাপ, নির্বোধ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেও লাশ হয়ে পড়েছিল। এরকম ঘটনা অনেক আছে। এগুলো জামায়াত-শিবিরের তান্ডব। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সময়মতো সাংবাদিকেরাও নিচ্ছেন। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’

আপনি বলেছেন অনেকেই রাস্তায় বের হয়ে, জানালা দিয়ে দেখার সময় গুলি খেয়ে মারা গেছে। মৃতদের বেশিরভাগই গানশর্টে মারা গেছে। তাহলে আপনি কি বলেছেন জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। থাকলে সেই অস্ত্র কি উদ্ধার করা হয়েছে?  সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো চলছে (উদ্ধার অভিযান)। উদ্ধার হবেই। এদের নির্দেশ দাতা ও হোতারা কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ডে আছে। অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে।’  

এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমরাতো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করছি। প্রশাসনিকভাবে মোকাবিলা করছি। আপনাদেরও আমরা সহযোগিতা চায়। এ অপশক্তি সকলেরই শত্রু। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’

কাদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে যখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রে নৈরাজ্য-নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নির্দেশদাতা ও অর্থদাতাদের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল..থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে। তখন তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছেন। তারা সবসময় জনগণের আস্থা না রেখে বিদেশী প্রভুদের উপর ভর করে রাজনীতি করে। এক্ষেত্রেও তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র উম্মোচিত হওয়া থেকে দায়মুক্তির জন্য বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করছে।’

বিএনপি-জামায়াত-উগ্রবামপন্থী-জঙ্গিগোষ্ঠি কুচক্রি মহল এখনো সক্রিয় আছে বলে দাবি করে কাদের বলেন, ‘তাদের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে প্রস্তুত হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। তারা আবারও বিভিন্নভাবে হামলা চালাতে পারে। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান যেখানে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের খোঁজ পাবেন, তাদের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন ।’

নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির, জঙ্গিগোষ্ঠির সন্ত্রাসীরা আর যাতে সহিংসতা ছড়াতে না পারে সে জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’ এছাড়া নেতাকর্মীদের কারফিউ মেনে চলার অনুরোধ করেন কাদের।

  সালতামামি

;

অরাজকতা রুখতে মাঠে ছিলাম-আছি-থাকবো: লিটন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যে কোনো অরাজকতা রুখতে আমরা মাঠে ছিলাম, এখনো আছি ও ভবিষ্যতেও থাকবো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাদ জুম্মা রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদে আয়োজিত দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগরীরের সকল মসজিদে এই দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় নিহত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমরা শুরু থেকে লক্ষ্য রাখছিলাম। আমাদের কাছে মনেই হচ্ছিলো, এটা হয়তো ভিন্নখাতে প্রবাহিত হবে এবং কয়েকদিন যেতে না যেতেই সেটা প্রমাণিত হতে শুরু করলো। তখন থেকে আমরা সতর্ক হয়ে যাই এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা রাজপথে থাকি। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যাতে কেউ অরাজকতা করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঠে ছিলাম। আমরা এতে সফল হয়েছি। রাজশাহীর শান্তিপ্রিয় মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন, সাধুবাদ জানিয়েছেন।

মেয়র লিটন বলেন, বিছিন্নভাবে আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করা হয়নি; তা নয়, বিভিন্ন অলি-গলি থেকে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ছিলেন। আমরা মাঠে আছি, সেভাবে আমরা এ পর্যন্ত রাজশাহীকে নিরাপদ রেখেছি। জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কারফিউ উঠে হলে আরো স্বাভাবিক হবে।

এরআগে সাহেববাজার বড় মসজিদে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। জুম্মার নামাজ শেষে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান নেন।

কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক এ্যাড. আসলাম সরকারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  সালতামামি

;

‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা সকল স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজীর স্থাপন করেছে তা দেশ-বিদেশের সকল স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার, কারান্তরীণ ও জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অবৈধ সরকার নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেফতার করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বরিশাল মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন সিকদার, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজকে গ্রেফতার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র গ্রেফতারকৃত সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকনকে ৩ দিন পর আদালতে তোলা হয়েছে। অব্যাহত গতিতে দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতাকর্মী বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হচ্ছে, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাসহ অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দকে গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন/চার কিংবা পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের নাগরিকদেরকে গুম করে রাখার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। সরকারকে এ ধরণের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন দেশে সরকারের দায়িত্ব হলো-রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, গত কিছুদিন যাবত কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনরত তখন সেই মুহূর্তে সরকার প্রধানসহ সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে নির্দেশ দেয় তাদেরকে নির্মূল করার। সরকারি দলের সন্ত্রাসী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে জনগণের টাকার কেনা গুলি, টিয়ারসেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপের মাধ্যমে শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীকে গণহারে হত্যা এবং হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে আহত করেছে যা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী অবলক্ষণ করেছে।

নির্মম অত্যাচারে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ হতবাক ও ক্ষুদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলও একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে এবং সারা দেশে কর্মসূচীও পালন করেছে। কিন্তু অবৈধ সরকার মরিয়া হয়ে রাষ্ট্রের সকল বাহিনীসহ দলীয় সন্ত্রাসীদেরকে সাধারণ মানুষ, বিএনপি নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ব্লক রেড দিয়ে গ্রেফতার করছে। এখন পর্যন্ত তাদের হিসাবে প্রায় ৩ হাজার গ্রেফতার করছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার।

তিনি বলেন, ছাত্র জনতার ন্যায় সংগত আন্দোলনকে দমন করার জন্য সেনা বাহিনীকে ব্যবহার কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার এবং সেনা বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বরাবরই আওয়ামী লীগ লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গত কয়ক দিন যে পরিমাণ নিরীহ ছাত্র-মানুষকে গুলি চালিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।

গত কয়েকদিনে কতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে জনগণ তার সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চায়। এছাড়া জনগণের টাকায় কেনা কি পরিমান গোলাবারুদ, টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে তার হিসাবও জনগণ জানতে চায়। রাষ্ট্রের টাকায় কেনা হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নিবে।

সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ কারার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই। তাই এই অবৈধ সরকারকে বলবো-অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।”

  সালতামামি

;

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অসহায় কর্মজীবী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বরগুনা জেলা পরিষদ ডাক বাংলো হলরুমে অসহায় কর্মজীবী মানুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রত্যয় দেব প্রান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাদুমনি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম সাগর। ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন রায়, মো. শাহরিয়ার শুভসহ জেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

খাদ্য সামগ্রী পেয়ে ফরহাদ জানান, দেশের বর্তমান অবস্থা তাতে রিকশা গাড়ি নিয়ে বের হতে পারি না। পরিবার নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছাত্রলীগ আমাকে সরকারের তরফ থেকে যতটুকু দিয়েছে আমি অনেক খুশি, কয়েকদিন পরিবার নিয়ে ভালো চলবে।

হলিমা খাতুন বলেন, আমার ম্বামী অনেক আগেই মারা গেছে। দুই সন্তান, আমি ডেইলি মানুষে বাসায় কাজ করে সংসার চলাই। কয়েক দিন ধরে কাজে যেতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারে কিছুদিন চলবে, দেশের পরিস্থিতি ভালো হলে আবার কাজে ফিরবো।

  সালতামামি

;