করোনার চোখ রাঙানি, যুদ্ধ, ক্ষমতার লড়াই নিয়ে যেমন কাটল ‘২১

  সালতামামি


মোস্তাফিজুর রহমান পলিন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বিদায় নিতে যাচ্ছে ২০২১ সাল। নতুন কিছুর প্রত্যাশায় বিশ্ব বরণ করে নিতে যাচ্ছে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২২ সালকে। তবে বিদায়ী ২০২১ সাল ইতিহাসে জায়গা করে নিবে নানা ঘটন-অঘটনের বছর হিসেবে। এসব মধ্যে রয়েছে নতুন রূপে করোনাভাইরাসের আগমন। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, মার্কিন কংগ্রেসে (ক্যাপিটল হিল) হামলা, আফগানিস্তানে তালেবানের ফের ক্ষমতায় আসা, অকাস নিয়ে বিতর্ক, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, গাজায় ইসরাইলি হামলা, অভিবাসী সংকট, মালালার বিয়ে, ইউরোপের দেশ সুইডেনে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীসহ নানা ঘটনার কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিদায়ী বছরটি।

নতুন রূপে করোনা, ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ

বছরের শেষ সময়ে এসে নতুন করে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এর ফলে ইউরোপের অনেক দেশ ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি সীমানা বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছে। অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) অস্তিত্ব মিলেছে ৮৯টি দেশে। মহামারি পুরোপুরি নির্মূল না হতেই লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলাকেই এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শক বিজ্ঞানীরা বলেন, বিস্তার ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে হাসপাতালগুলো বিশাল চাপের মুখে পড়বে। করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন ইউরোপে বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স। এদিকে করোনা প্রতিরোধে টিকা কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্বের সব দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিলে আগামী বছরের মধ্যে মহামারির অবসান সম্ভব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বয়স্ক বাইডেন

মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (৭৮) ২০ জানুয়ারি শপথ নেন। এছাড়া দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথা ভেঙে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করার পরপরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করেন। যুক্তরাষ্ট্র ফের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফেরে। এছাড়া ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তি পুনর্বহালের বিষয়ে আগ্রহে প্রকাশ করে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়া বাইডেন প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সৌদি আরবে ক্রমাগতভাবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিমান হামলার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ক্যাপিটল ভবনে নজিরবিহীন হামলা

গত ৬ জানুয়ারি জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয়নে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকরা নজিরবিহীন হামলা চালায়। এঘটনায় চার ব্যক্তি নিহত হন। এমনকি রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কারফিউ জারি করা হয়। এ ঘটনায় বিস্মিত হয় বিশ্বের রাজনৈতিক নেতারা। একে লজ্জাজনক বলেও উল্লেখ করেন তারা। মার্কিন গণতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন উঠে।

২০ বছর পর ফের ক্ষমতায় তালেবান

দীর্ঘ ২০ বছর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর গত ১৫ আগস্ট ফের আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। দেশ ছেড়ে পালান পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। তালেবান ক্ষমতায় আসায় এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এছাড়া আফগানিস্তানে গণতন্ত্রের যতটুকু চর্চা শুরু হয়েছিল, নারীর ক্ষমতায়নের যে ধারার সূচনা হয়েছিল, তা তালেবানের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে থমকে গেল। আবার দেশটি যেন ২০ বছর পেছনে ফিরে গেল। দেশটিতে দুই দশকের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হয়েছে। সরকারি হিসেবে আড়াই হাজারের বেশি মার্কিন সৈন্য ও প্রায় ৪ হাজার মার্কিন বেসামরিক লোক নিহত হন। অন্যদিকে আফগানিস্তানে ১ লাখ ৭০ হাজারের ওপর প্রাণহানি ঘটে। এদিকে তালেবান আবারও কঠোর শাসন চালু করতে শুরু করেছে, তার সঙ্গে দেশটিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তারা প্রায় দেশটিতে রক্তক্ষয়ী হামলা চালাচ্ছে।

অকাস উত্তেজনা

চীনকে মোকাবিলা করতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অকাস (এইউকেইউএস) নামের একটি নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা দেয়। যার ফলে ওই অঞ্চলে হঠাৎ করে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সরবরাহ কথা বলা হয়েছে। এতে করে অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে এবং এর মধ্য দিয়ে কৌশলগত এই অঞ্চলে নতুন মেরুকরণের সূত্রপাত হবে। কিন্তু পরমাণু শক্তিধর দেশ ফ্রান্স এই চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেছে। অকাসের তীব্র নিন্দা করে বলেছে এর মাধ্যমে তাদের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে। এর জেরে ক্ষুব্ধ প্যারিস যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ায় তাদের নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়। যা খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের ব্যাপক সমালোচনা হয়। ধারণা হচ্ছে ২০২২ সালে কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে এর মূল্য দিতে হবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল একটি অতি স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত নৌ-অঞ্চল। মূলত বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলার জন্যই অকাস জোট গঠন করা হয়েছে।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান

চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকার। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। এর জেরে সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এক বিলিয়ন ডলারের সরকারি তহবিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যাতে ব্যবহার করতে না পারে, সে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তরের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করে বলে আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে এটি করা হবে। জান্তা সরকার ৬ ডিসেম্বর মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়।

গাজায় ইসরাইলি হামলা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে হামলা চালায়। এতে গাজায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। নারী-শিশুসহ মারা যায় ১৮১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। যার ফলে সংঘাত ছড়িয়ে গেছে ইসরাইলেও। সেখানে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে সংঘর্ষে দেখা দেয়। পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি দখলদারদের হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে মুসলিম বিশ্ব। পবিত্র মসজিদের ভিতর নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, বাংলাদেশসহ প্রায় সব মুসলিম দেশ। তবে এই ইস্যুতে অনেকটাই নমনীয় সুর ছিল পশ্চিমাদের।

গভীর হচ্ছে অভিবাসী-সংকট

দিন যত যাচ্ছে ততই অভিবাসী-সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ এশীয় দেশগুলো থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে ওই অঞ্চলে চলমান অভিবাসী-সংকট গভীর হচ্ছে। এছাড়া হাইতি ও হন্ডুরাসের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রমুখী হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে অভিবাসী সংকট নতুন মাত্রা যোগ করে এ বছর। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ১৭ লাখ মানুষ ঢোকে, অন্যদিকে ইউরোপে গত বছরের তুলনায় এবার ৭০ শতাংশ বেশি অভিবাসী ঢুকেছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেকে সাগর পথে ইউরোপে প্রবেশ করার সময় নৌকাডুবে মারা গেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, এ বছর শুধু মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথে নৌকা দুর্ঘটনা এবং জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় ১৫০০ শরণার্থী ডুবে মারা গেছে। সম্প্রতি লিবিয়া উপকূলে ভেসে এসেছে ইউরোপগামী ২৭ জন শরণার্থীর লাশ। বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রুটের এই ঘটনাকে সবশেষ ট্যাজেডি বলছে রেড ক্রিসেন্ট।

বিয়ে করেছেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই

পাকিস্তানের নারীশিক্ষা অধিকারকর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই বিয়ে করেছেন। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মালালা। কারণ একসময় তিনি বলেছিলেন, মানুষ কেন বিয়ে করে। ভোগ ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৩ বছর বয়সী মালালা বলেন, আমি নিশ্চিত নই যে কখনো বিয়ে করবো কি না। আমি এখনো বুঝতে পারছি না কেন মানুষকে বিয়ে করতে হবে’ তিনি আরও বলেন, আপনি যদি আপনার জীবনে একজন ব্যক্তি থাকতে চান, তাহলে কেন বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে, কেন এটি একটি কেবল অংশীদারিত্ব হতে পারে না? বিয়ে করার পর এ নিয়ে মালালা বলেন, আমি একজন সেরা বন্ধু ও সঙ্গী খুঁজে পেয়েছি। তাঁর ভাষ্য, এবার সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিয়েকে দেখেছেন তিনি।

সুইডেনে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন

সুইডেনের ইতিহাসে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন দেশটির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন তিনি। ফের ২৯ নভেম্বর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এক দলীয় সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

   

ফের বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরশাহির আবহাওয়া অফিস ‘দ্য ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটেরিয়োলজি’ (এনসিএম) দুবাইয়ে ফের বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে।

তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, ফের বৃষ্টি হলেও তা গত সপ্তাহের মতো ভয়াবহ অবস্থা হবে না। বুধবার (২৪ এপ্রিল) নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে তাপমাত্রা ৫-৭ ডিগ্রি কমতে পারে।

গত সপ্তাহে এক দিনে ৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। রেকর্ড গড়া বৃষ্টিতে চার দিন ধরে পানিতে ডুবে ছিল দুবাই বিমানবন্দর। আবু ধাবি, শারজার অবস্থাও শোচনীয় হয়েছিল।

এনসিএম-এর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আহমেদ হাবিব বলেন, ‘‘চিন্তার কিছু নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর যাই হোক, ভারী বৃষ্টি হবে না। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই নেই। মাঝারি বৃষ্টি হবে। মেঘ পশ্চিম উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ঢুকছে।’’

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় গোটা পৃথিবী জুড়েই স্পষ্ট। মরুভূমির দেশের বৃষ্টি হচ্ছে, মেরু অঞ্চলে হিমবাহ গলছে। সম্প্রতি ওমানে প্রবল ঝড় হয়। ২০ জনের মৃত্যু হয় সে দেশে। তার পরে সেই ঝড়-বৃষ্টি ধেয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।

  সালতামামি

;

মধ্যস্থতার জন্য ইতিবাচক হলে দোহায় থাকবে হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতারা ততক্ষণ দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য ইতিবাচক হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, ততক্ষণ তারা দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কার্যকর এবং ইতিবাচক হবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরসহ মধ্যস্থতাকারীরা রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘কাতার তার ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।’

এই ঘোষণার ফলে হামাস নেতাদের গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

সেই গুঞ্জন অবসানে আনসারি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাতার তার মধ্যস্থতা ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং দোহাতে হামাস সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।’

রয়টার্স জানিয়েছে, এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিচালনাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আনসারি মঙ্গলবার বলেন, ‘সবাই জানে যে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কাতারের ভূমিকা কী।’

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে সফলভাবে গাজা যুদ্ধের একমাত্র বিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

  সালতামামি

;

ইউক্রেনের জন্য সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করবেন সুনাক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য তার সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটেন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পোল্যান্ড সফরের সময় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ওই সামরিক প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেবেন।

রাশিয়ার বাহিনী সামনের সারিতে অগ্রসর হতে শুরু করায় এবং তাদের বিমান হামলা বাড়ানোর কারণে বর্ধিত সাহায্যের জন্য মরিয়া হয়ে আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন।

হোয়াইট হাউস প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দীর্ঘ বিলম্বিত সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় যুক্তরাজ্য এই ঘোষণা দিয়েছে।

ব্রিটিশ সরকার বলেছে, চলতি অর্থবছরে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাজ্যের মোট সামরিক সহায়তাকে ৩ বিলিয়ন পাউন্ডে নিয়ে যাবে তারা।

নতুন প্যাকেজের আওতায় গোলাবারুদ, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ড্রোন এবং প্রকৌশল সহায়তার জন্য অর্থায়ন করবে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ মিডিয়া অনুসারে আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ এই প্যাকেজে ৬০টি নৌযান এবং ১,৬০০টিরও বেশি আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি স্টর্ম শ্যাডো নামের দূর-পাল্লার নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও ১৬২টি সাঁজোয়া যানসহ ৪০০টিরও বেশি যানবাহনের পাশাপাশি ৪ মিলিয়ন রাউন্ড ছোট অস্ত্রের গোলাবারুদও সরবরাহ করা হবে এই প্যাকেজে।

সুনাক বলেছেন, ‘রাশিয়ার নৃশংস উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে রক্ষা করা আমাদের নিরাপত্তা এবং সমগ্র ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি পুতিনকে এই আগ্রাসনের যুদ্ধে সফল হতে দেওয়া হয়, তবে পোল্যান্ডও ছাড়বেন না।’

এদিকে, সুনাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনের জন্য সমর্থন নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে ওয়ারশতে
দেখা করার কথা রয়েছে। এরপর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে দেখা করতে জার্মানি যাবেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ‘প্যাকেজটি ইউরোপে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে সর্বপ্রথম এনএলএডব্লিউ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করবে। এ ছাড়াও সর্বপ্রথম আধুনিক ট্যাংক এবং সর্বপ্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদান করা হবে।’

সুনাক বলেন, ‘এখন আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেন যে অস্তিত্বের লড়াই চালাচ্ছে, তা আমরা বিশ্বকে কখনোই ভুলতে দেব না এবং আমাদের স্থায়ী সমর্থনে তারা জয়ী হবে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, পোল্যান্ডের জন্যও সুনাকের একটি প্রস্তাব রয়েছে। সেটি হলো, আগামী বছর পোল্যান্ডে ন্যাটোর বিমান পুলিশিং চালানোর জন্য একটি ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের টাইফুন স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা।

  সালতামামি

;

‘এই গ্রীষ্মে অপ্রত্যাশিত এলাকায় হামলা চালাবে রাশিয়া’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা যখন ইউক্রেনে তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ পরিচালনা করবে, তখন তারা ফ্রন্টের অপ্রত্যাশিত অংশে হামলা চালাবে এবং তারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দ্বারা হামলা চালানো হয়েছে।

তবে ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভের বাহিনী মস্কোর যেকোনো আক্রমণকে ব্যর্থ করতে প্রস্তুত থাকবে।

তিনি ইউক্রেনের নিউজ আউটলেট রিগা ডট নেট-কে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। হ্যাঁ, শত্রুরা আমাদের অপ্রীতিকরভাবে চমক দেবে। তারা এমন এলাকায় হামলা করবে, যেখানে আমরা আশা করি না। কিন্তু, তারা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।’

এদিকে, রাশিয়া পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কিন্তু, দীর্ঘ বিলম্বিত মার্কিন সামরিক সহায়তা অবশেষে এই সপ্তাহে অনুমোদিত হবে এবং শীঘ্রই ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই সহায়তার আওতায় গোলাবারুদের ঘাটতি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বিজয় দিবস মস্কো ৯ মে’র মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর চসিভ ইয়ার দখল করতে চাইবে।

পিভনেঙ্কো বলেন, তিনি কিয়েভের সেনাদের কিছু অসুবিধা আগে থেকেই দেখেছেন। তবে, রাশিয়ান বাহিনী জয় লাভ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত তাদের লক্ষ্যের ১০-১৫% পূরণ করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু, এটি কৌশলগত বিজয় হবে না।’

তিনি আশা করেন যে, রাশিয়ার সেনারা খারকিভের বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানবে, যার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে রাশিয়ান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

  সালতামামি

;