খরচ বাড়ল মোবাইল ফোনের, সিমকার্ডের

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়ছে। মোবাইলের কথা বলা ও ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এদিকে বাজেটে সিমকার্ডের ওপর ২০০ টাকার মূসক বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করেন। এর ফলে মোবাইল ফোনের খরচ বৃদ্ধির প্রস্তাবটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞাপন

গ্রাহক যদি ১০০ টাকা রিচার্জ করেন তাহলে এখান থেকে সরকার ২৮ টাকা শুল্ক-কর কেটে নেয়। এই টাকা কেটে নেওয়ার পর যে অর্থ থাকবে তা টক টাইম হিসেবে গ্রাহক ব্যবহার করতে পারবেন।

সর্বপ্রথম ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাজেটে এনবিআর এবার ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ প্রস্তাব করেছে। এমনিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের ৪০ শতাংশ নাগরিককে টেলিযোগাযোগ সেবার বাইরের রাখবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন এসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিযোগাযোগ সেবার ক্ষেত্রে নতুন করে ৫ শতাংশ কর বৃদ্ধি করার ফলে বর্তমানে গ্রাহকের কাছ থেকে কর আদায় করা হবে ৩৯ শতাংশ। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। যার ফলে গ্রাহকেরা কম পরিমাণ সেবা ভোগ করবে যেখানে অপারেটররা মূল্যবৃদ্ধি না করলেও দিন শেষে খরচ বৃদ্ধি পাবে।

অন্যদিকে দেশের ৪০ শতাংশ নাগরিক যেখানে এখনো টেলিযোগাযোগ সেবার বাইরে সেখানে নতুন করে সিমট্যাক্স বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে, যা আগে পূর্বে ছিল ২০০ টাকা। এখানেও এই অর্থ দিনশেষে সংযুক্তির বাইরে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আদায় করা হবে। এ ধরনের বাজেট কেন করা হলো তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।