রোববার পর্যন্ত বাজেট অধিবেশন মুলতবি

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শেষ হয়েছে দেশের ৫৩তম বাজেট উত্থাপন। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি  টাকার বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বাজেট ঘোষণার পরই সংসদ অধিবেশন তিন দিনের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) থেকে আগামী রোববার (৯ জুন) সকাল ১১টা পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। 

এবারের বাজেট অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ৫৩তম বাজেট, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে ২১তম বাজেট।

বিজ্ঞাপন

রেওয়াজ অনুযায়ী এদিন অর্থমন্ত্রী ব্রিফকেস নিয়ে সংসদে প্রবেশ করেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অর্থমন্ত্রীকে ব্রিফকেস সরবরাহ করা হয়েছে। ওই ব্রিফকেসেই আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট ডকুমেন্টস নিয়ে সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন।

এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে সরকার ব্যয় বাড়াতে চায় আগের বছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।