১৪ বছরে বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ৯৭ লাখ লোকের

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ হতে ২০২৩ পর্যন্ত ১৪ বছরে বাংলাদেশ হতে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ৯৭ লক্ষ ৭ হাজার ২৫০ জন কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী কর্মী।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে

২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আহরিত রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিমিত্ত বিশ্ব শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন লক্ষ্যে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বৈদেশিক ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বক্তৃতায় বলা হয়, ২০০৯ হতে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে মোট ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৭০ জনকে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৪৩টি টিটিসি'র মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজ ভাষাসহ বিভিন্ন ধরণের বিদেশি ভাষার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যমান ১০৪টি টিটিসির পাশাপাশি আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়াও 'দেশে- বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান' শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ বছরে মোট ১ লক্ষ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে মর্মে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়।

এদিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।

অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দেবেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।