দুর্নীতি প্রতিরোধ জোরদার করতে দুদকের বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে সরকার 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি' গ্রহণ করে গতবারের চেয়েও প্রায় ৪০ কোটি টাকা বেড়ে একশত ৯৩ কোটি ৩০ লাখ করা প্রস্তাব দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে শীর্ষক বাজেট বক্তৃতা তিনি এই তথ্য জানান। বাজেট অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের জন্য বরাদ্ধ হয়েছিলো একশত ৫৪ কোটি। নতুন অর্থ বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে প্রায় ৪০ কোটি টাকা বেড়ে একশত ৯৩ কোটি ৩০ লাখ করা প্রস্তাব দেন তিনি।

দুদকের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে একশত ৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় হিসেবে পাঁচ বিভাগীয় শহরে নতুন ভবন নির্মাণ ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে।

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারের সব সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকার দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জনগণের ভোগান্তি হ্রাসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে সকল সরকারি দপ্তর/সংস্থায় সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি (সিটিজেন্স চার্টার) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বাজেট বক্তব্য অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দ্রুত সেবা প্রদান, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কার্যক্রম এবং স্মার্ট সিভিল সার্ভিস গঠন-সংক্রান্ত কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং জনগণের হয়রানি হাসের জন্য সেবা প্রদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দূর্নীতি প্রতিরোধে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক আন্দোলনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের লক্ষ্য সকল জেলায় ১৩ সদস্য জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং সকল উপজেলায় ৯ সদস্য বিশিষ্ঠ উপজেলা কমিটি পরিচালন ব্যয়, জেলায় জেলায় গুনশুনানি ব্যয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর চালুকরণে ব্যয় করা হবে।