২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট
হোটেল, হাসপাতাল, ক্লিনিক রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা
সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ২০২৪-২০২৫ নতুন অর্থবছরের বাজেটে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মোটেল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নকালে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধানের প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে শীর্ষক বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব রাখেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাব রেখে বলেন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মোটেল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স করার সময় ও নবায়ন এবং কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল বা সমজাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো সেবা গ্রহণকালে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা এবং অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এবারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল তিনটায় জাতীয় সংসদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি হচ্ছে তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।
সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত রয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়সহ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে।
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম করা হয়েছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিংখাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে।
এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।