করোনায় ভয়াবহ সংকটে পোশাক খাত, এলসি কমেছে ৭০ শতাংশ

  করোনা ভাইরাস


মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের কারণে ভায়বহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশের পোশাক খাত। প্রায় ২ মাস ধরে চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় একদিকে বায়ার হারাচ্ছে অন্যদিকে বিনা পরিশ্রমে শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে। তাতে এলসি খোলা কমেছে ৭০ শতাংশ। ফলে প্রতিদিনই হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশের শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত।

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভয়াবহ সংকটের কথা জানিয়েছে আমদানি-রফতানি সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। বাণিজ্যমন্ত্রণালকে এই তথ্য জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অবদান দ্বিতীয়। তৈরি পোশাক খাতের ৭০-৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমাদনি করা হয় চীন থেকে। প্রায় দুই মাস ধরে চীনের সঙ্গে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় একদিকে মালিকেরা সেল-বাই অর্ডার হারাচ্ছেন। পাশাপাশি ক্রেতারাও পাশ্ববর্তী দেশে শ্রীলঙ্কা, ভারত ও ভিয়েতনামে চলে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কোম্পানি শ্রকিদের ছুটি দিয়েছে। অর্থাৎ কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ৭০ শতাংশ এলসি খোলা বন্ধ রয়েছে। এক কথায় অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে পড়েছে। বড় ধরনের সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে পড়েছে অর্থনীতি।

তৈরি পোশাক মালিকাদের সংগঠন বিজিএমইর সাবেক সভাপতি ও বর্তমান এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে ৮ মাস ধরে নেগেটিভ অবস্থায় রয়েছে দেশের পোশাক খাত। কারোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা উভয় সংকটে পড়েছি। কাঁচামাল আমদানির জন্য নতুন করে কারো কাছে যেতেও পারছি না। ঠিক কবে চীন থেকে আমদানি করতে পারবো তাও বলতে পারছি না। তিনি বলেন, শুধু পোশাক আর চামড়া খাতই নয় সব খাতে একই অবস্থা বিরাজ করছে।

করোনা ভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হলে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে। দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর প্রয়োজনীয় উপকরণসহ সব ধরনের শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি হয় চীন থেকে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ওভেন সেক্টরে। এ খাতের ৬০ শতাংশ ফেব্রিক্স চীন থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে আমদানি ও জাহাজীকরণ বন্ধ রয়েছে। তাতে সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

অপরদিকে নিট ওয়ার খাতের ১৫-২০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি হয়। এছাড়া নিট এবং ডায়িং খাতের কেমিক্যাল এবং এক্সেসরিজ খাতের আমদানি ৮০-৮৫ শতাংশ চীন থেকে আসে। এক্ষেত্রেও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা দেখা দিবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, সরবরাহ ব্যবস্থায় ও সেবা খাতে প্রভাব পড়বে। কারণ সরবরাহ ব্যবস্থায় কাঁচামালের সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবে। এর ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও প্রভাব দেখা দিবে। কাঁচামালের সংকটের কারণে রফতানি খাতেও বিরাট প্রভাব পড়বে। উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা অর্থই হচ্ছে সেবা খাতেও সংকট দেখা দিবে। দেশের আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংক বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রেও সংকট দেখা দিবে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থায় এবং সরকারের রাজস্ব আহরণে প্রভাব পড়বে।

প্রতিবেদনে বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রস্তবনা বলা হয়, দেশের জাতীয় রফতানি আয়ের ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও দেশের পোশাক খাতের ৪৯ শতাংশ অবদান রাখার মাধ্য নিটওয়্যার খাত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যে ভূমিকা রাখেছে। সম্প্রতিক সময়ে চীনের উহান প্রদেশ থেকে সংক্রমিত করোনাভাইরাসের প্রভাব আমাদের নিট পোশাক খাতের উৎপাদনকে সরাসরি প্রভাবিত করছে।

প্রথমত, দেশের শতভাগ রফতানিকারী বেশির ভাগ নিট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সাধারণত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় মৌলিক কাঁচামাল এল.সি প্রক্রিয়ায় আমদানি করে থাকে। এক্ষেত্রে আমদানি নীতির বাধ্যবাধকতা থাকায় সাধারণত প্রতিষ্ঠানগুলো তিন-চার মাস বা সর্বোচ্চ ছয় মাসের বেশি পরিমাণ কাঁচামাল নিজেদের সংগ্রহ রাখতে পারে না।

জানুয়ারির শুরু থেকে এই ভাইরাসের প্রভাব এবং চীনের নতুন বর্ষ উদযাপন উভয় কারণে দেশের উৎপাদকদের কাছে উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল, কেমিকেলসহ মধ্যবর্তী কাঁচামাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্রেতার অর্ডার অনুসারে সর্বোচ্চ তিন চার মাসের কাঁচামাল মজুদ থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের কাছে মজুদকরা কাঁচামাল প্রায় শেষ হবার পথে এবং সে সুযোগে আমদানিকারকরা তাদের কাছে পূর্বের মজুদ করা কাঁচামালের মূল্য ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু ক্রেতার সাথে পূর্বনির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহের চুক্তি বিদ্যমান থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

দ্বিতীয়ত অন্যান্য দেশগুলোকে কাঁচামাল আমদানির বিকল্প উৎস হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে দেখা যাচ্ছে, সেই দেশগুলোও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চীন থেকে আমদানি করা কাঁচামালের উপর সরাসরি নির্ভরশীল এবং চীন থেকে তারা কাঁচামাল সংগ্রহ করতে না পারায় ও চাহিদার তুলনায় তাদের মজুদের পরিমাণ কম থাকায় প্রত্যেকটি কাঁচামালের মূল্য সেখানেও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তৃতীয়ত, চীনের সাথে অতি দ্রুত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে গেলেও দেশের নিট উৎপাদকদের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে ২০-২৫ কার্যদিবস লেগে যাবে। ফলে সামগ্রিকভাবে রফতানি কার্যক্রমে আমরা ইতোমধ্যেই প্রায় এক দেড় মাস পিছিয়ে পড়েছি।
এক্ষেত্রে কিছু বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মানবিক কারণকে বিবেচনাধীন রেখে পণ্য গ্রহণ অথবা ডিসকাউন্টের বিষয়াবলিকে এখনো উপস্থাপন না করলেও বেশিরভাগ নিট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান পণ্য রফতানিতে বড় ধরনের আশঙ্কায় রয়েছেন। চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে সংক্রমিত করোনা ভাইরাস বছরজুড়ে ঋণাত্মক প্রবণতায় থাকা নিট রফতানিকে সরাসরি প্রভাবিত করছে এবং এর ফলে ছোট ও মাঝারি অনেক প্রতিষ্ঠানসমূহ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

প্রাথমিকভাবে নিট উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনায় উক্ত বিষয়গুলো উপস্থাপিত হলেও সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে এই সংক্রমণের দৃশ্যমান প্রভাব এখন সবাই অনুধাবন করতে পারছেন এবং আশু ভবিষ্যতের দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে রয়েছি। যদিও এখানে লক্ষ্যনীয় যে, চীনের উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে পণ্যের অর্ডার দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং উদ্যোক্তারা এ বিষয়ে অনেক আশাবাদী।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বলছে, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে ১৩.৬৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৮৩১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। মূলত চীন থেকে থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর উপকরণসহ নানা ধরনের শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি হয়। অন্যদিকে, পোশাক, চামড়াসহ বেশকিছু পণ্য রফতানি হয়। স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য ও মসলা পণ্যের সংখ্যা অসংখ্য। খেলনা, প্লাস্টিক পণ্য, খাদ্য থেকে শুরু করে ভারী শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি হয় চীন থেকে। আবার রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেশিনারিজ, কাঁচামাল, প্রাথমিক পণ্য ও আমদানি হয়। সামগ্রিকভাবে দেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশের বেশি আমদানি হয় চীন থেকে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বলছেন, আরএমজি শিল্পে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে প্রায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করা হয়। পাশাপাশি টেক্সটাইল ও আরএমজি খাতে প্রায় ৪০ শতাংশ মেশিনারি ও যন্ত্রাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়। দেশের ৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন রফতানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ এই খাত থেকে অর্জিত হয়েছে। উক্ত অর্থবছরে এই খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ১১ দশমিক ৪৯শতাংশ।

এছাড়া অন্যান্য উৎপাদনমূলক শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন- স্টিল, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রনিক্স, ফুড, ওষুধ ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করা হয়। এমতাবস্থায়, পর্যাপ্ত কাঁচামাল সরবরাহের অভাবে দীর্ঘমেয়াদি শিল্প উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছে। দেশে আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। গত ৮ দিনে এলসি খোলার হার প্রায় ৩৭ শতাংশ কমে গেছে বলে মনে করছে সংগঠনটি। নতুন এলসি খোলার হার কমে যাওয়াতে আগামীতে এই আমদানির পরিমাণ আরো অনেক কমে যাবে। এলসি খোলার হার কমে যাওয়ায় ব্যাংকের মুনাফাতেও ঘাটতি দেখা দিবে।

এগুলোর পাশাপাশি চীনের সাথে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বর্তমান সরকার কর্তৃক চলমান ১ লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ফলে এসব প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দু’টোই বৃদ্ধি পাবার কারণে দেশের অর্থনীতির উপর বাড়তি চাপ পড়বে বলে আশংকা করছে। চীন থেকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও ইকুইপমেন্ট আসতে না থাকলে অবকাঠামো উন্নয়নের এসব প্রকল্পের কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তাই কর্ণফুলী টানেল-সহ অনেক মেগা প্রকল্প সম্পন্ন করতে দেরি হওয়ার কারণে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি পাবে। চীন থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তার বিকল্প উৎস জরুরি ভিত্তিতে খুঁজে বের করতে হবে এসব বিকল্প সূত্র থেকে এলসি খোলার মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এই অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সমন্বয় বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রলণালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের বাহিরের মিশনগুলোতে আউট সোর্সিং সেল খুলে স্বল্প ও দীর্ঘকালীন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে আগামী দিনে যাতে আর কখনো ভোগান্তিতে পড়তে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারিভাবে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

   

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভোজ্য তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক-ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ভোজ্য তেলের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। দাম নেবার কারণ জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর ব্যবসায়ীদের।

গতকাল (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সংবাদ সম্মেলনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন তোয়াক্কা করছে না দোকানীরা।

প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও লিটার প্রতি ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা করে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। তবে ভিন্ন চিত্র ছিলো ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দামে। সরকারের বেঁধে দামের চাইতেও প্রতি ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম মূল্যে ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন দোকানীরা।

সরকারের বেঁধে দামে তেল বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে রাব্বি ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী লুতফুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গতকাল কি ঘোষণা হইছে তেলের দাম কমছে নাকি বাড়ছে তা ভালো করে জানিনা। তবে শুনছি ফেছবুকে টিভিতে। আমাদের দোকানে যে তেল আছে তা আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন তেল আসলে আবার নতুম দামে বিক্রি করবো। খোলা তেলে ১৮ টাকা বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ যে বললাম আগের দামে কেনা। আমি তো নতুন দামের চাইতে ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম নিচ্ছি এখনো। কিন্তু খোলা তেল আমার আগের দামে কেনা তাই ১৮ টাকা বেশি নিতেছি। দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এলে যতো দ্রুত দাম বাড়ে কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা এলে কমেনা কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বড় বড় পাইকারদের কাজ। তারা সিন্ডিকেট করে। কিন্তু আমাদের এমন সুযোগ নেই। আমরা এক দুই টন মাল সর্বোচ্চ কিনি। কখনো আরও কম কিনি।

আরেক ব্যবসায়ী খাদিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোসলে উদ্দিন বলেন, ৫ লিটারের তেলের বোতলে যে দাম ৮০০ টাকা দেয়া সেই দামে বিক্রি করছি। এছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম ১৬৩ টাকা দামে বিক্রি করছি। তবে খোলা তেল আমার কেনা ছিলো ১৬৩ টাকা করে তাই আমি ১৬৪/১৬৫ টাকা দামে বিক্রি করতেছি। খোলা তেল ১৪৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করছে কিন্তু সেটা কি ভালো নাকি মন্দা জানিনা। যে দামে কিনি তার থেকে এক দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করি।

একটি সিকিউরিটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলতাফ হোসেন। তার কাছে খোলা তেল কতো নিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৫ টাকা নিলো। খোলা তেলে দুই টাকা কমে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানেন কিনা প্রশ্ন করলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভাই এসব খবর দিয়ে তো কোন কাজ হয়না। দাম বাড়লে তখন ব্যবসায়ীরা পারলে আরও বাড়িয়ে নেয়। অথচ কমলে তিন মাসেও দাম কমার খবর থাকেনা। আপনার সামনেই তো বেশি নিলো কিছু করার আছে বলেন? আমি এক লিটার তেল নিতে আসছি। এখন এদের সাথে কি দাম নিয়ে ঝগড়া করবো।

আরেকজন ক্রেতা সজিব মোল্লা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ে তবে খোলা তেলের দাম কমাইছে শুনে ভালো লাগলো। তবে দুই টাকা দাম কমায় তার প্রভাব আসলে বাজারে পরেনি। তাছাড়া লোক দেখানো বাজার মনিটরিং করে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব না। একদিকে ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্স বসাইবেন। জরিমানা করবেন আবার বলবেন দাম কমাইতে তারা কিভাবে দাম কমাবে। জীবনে শুনছেন কোনকিছুর দাম বাড়লে তা আবার কমে সহজে।

  করোনা ভাইরাস

;

শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রায় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা গবেষণায় এ তথ্য মিলেছে। শিশুদের খাবারে যাতে চিনি যুক্ত করা না হয় এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানদণ্ড পরীক্ষায় কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিষয় সামনে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিএসটিআই’র পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি নেসলে বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুধ ও সিরিয়াল পণ্যগুলোতে বাড়তি চিনি ও মধু যুক্ত করে, যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। নেসলের শিশুখাদ্যে বাড়তি চিনি যুক্ত করার আইন লঙ্ঘনের এই ঘটনা কেবল এশিয়ান, আফ্রিকান এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক থেকে একজন শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয়, তাতে প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম বাড়তি চিনি উপস্থিতি আছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নেসলের শিশুখাদ্য পণ্যের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গবেষণায় পাওয়া ফল একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, খাদ্যে ভেজাল কিংবা দূষণের কারণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। এক গবেষণায় নেসলের দুটি পণ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। বিএসটিআই’র মানদণ্ডে পরিমাপ করব। সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সামনে এলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পণ্য দুটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করব। এছাড়া মামলা করারও সুযোগ আছে।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নেসলে ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্রর সঙ্গে কথা বলেছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন, তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে নেসলের ১৫টি সেরেলাক শিশুখাদ্য থেকে একটি শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে গড়ে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। একই পণ্য জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি চিনি ছাড়াই। অন্যদিকে ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডে এই চিনির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই সূত্র জানায়, এটি অন্য দেশের তৈরিকৃত পণ্য। তবে এগুলো আমাদের দেশের মানদণ্ড অনুযায়ী এক নাও হতে পারে। সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে, তাই এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে দেখা হবে। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে পদক্ষেপ নেব।

  করোনা ভাইরাস

;

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

  করোনা ভাইরাস

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;