এইচএসসি পরীক্ষা: চট্টগ্রামে প্রথমদিনে বহিষ্কার ৩ পরীক্ষার্থী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে প্রথমদিনে বহিষ্কার ৩ পরীক্ষার্থী

চট্টগ্রামে প্রথমদিনে বহিষ্কার ৩ পরীক্ষার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিন চট্টগ্রামে অসুদাপয় অবলম্বন করায় তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সরকারি কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিলেন ওই তিনজন।

রোববার (৩০ জুন) বাংলা (আবশ্যিক)-১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন এই বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন মানবিক বিভাগের এবং একজন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের। ১১৫ কেন্দ্রেই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, প্রথমদিনের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর ১ দশমিক ০৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। বাংলা ১ম পত্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯৩ হাজার ১৪৪ জন। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯২ হাজার ১৬৯। অর্থাৎ ৯৭৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

একাদশে ভর্তি

দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শেষ হচ্ছে আজ রাতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শেষ হচ্ছে আজ রাতে

দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শেষ হচ্ছে আজ রাতে

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদন শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত ৮টায়। যারা প্রথম ধাপে আবেদন করেও‌ কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি, তারা রাত ৮টার মধ্যেই আবেদন শেষ করতে হবে। এই ধাপের আবেদন শুরু হয় ৩০ জুন।

একাদশে ভর্তির জন্য তৈরি করা কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ৫ থেকে ৮ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এরপর ১২ জুলাই দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।

গত মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে আট লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে এবার। তাই এবার ফল ভালো হলেও শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে অনেক কলেজ।

;

ছুটি শেষে বুধবার খুলছে প্রাথমিক স্কুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকাল মিলিয়ে মোট ২০ দিনের ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল বুধবার খুলছে প্রাথমিক স্কুল। স্কুল এমন এক সময়ে খুলছে যখন সারা দেশে মুষলধারে বৃষ্টি এবং সিলেটে বন্যা হচ্ছে। তবে এসব কারণে স্কুল খোলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ১৩ জুন শুরু হয় চলতি বছরের ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি। শিক্ষাপঞ্জি হিসেবে আজ ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগামীকাল ৩ জুলাই যথারীতি শুরু ক্লাস শুরু হবে।  

শিখন ঘাটতি পোষাতে মাধ্যমিকে ঘোষিত ছুটি এক সপ্তাহ কমিয়ে গত ২৬ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। তবে প্রাথমিকে পূর্বঘোষিত ছুটি বহাল রাখা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ২০ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে স্কুলের ছুটি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের অধীন নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবারের গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে। ২ জুলাই পর্যন্ত এই ছুটি থাকার কথা ছিল। এখন নতুন সিদ্ধান্ত হলো, বুধবার (২৬ জুন) থেকে খুলে দেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।

ছুটি সংক্ষিপ্ত করার কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হলো, পাঠদানের কর্মদিবস বছরব্যাপী কমেছে। এ ছাড়া শনিবারের বন্ধ পুনর্বহাল রাখার কারণে কর্মদিবস কমে যাবে। তাই গ্রীষ্মের ছুটি কমানো হয়েছে।

;

নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)।

সোমবার (১ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এনসিসিসির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন ছাড়াই খসড়াতে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান।

তিনি বলেন, আমরা যেভাবে প্রস্তাব করেছিলাম, আগে যা যা ছিল, সেভাবেই থাকছে। ছোটোখাটো কিছু সংশোধনীসহ মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে।

প্রস্তাবিত কাঠামো এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মশিউজ্জামান। বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক থাকছে।

এর মানে চূড়ান্ত অনুমোদনের ফলে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সামষ্টিক মূল্যায়নের লিখিত অংশের ওয়েটেজ হচ্ছে ৬৫ শতাংশ। আর কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ ৩৫ শতাংশ। আর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কার্যক্রম বলতে সহজে বললে হাতে-কলমে কাজ।

গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া প্রণয়ন করে এনসিটিবি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও উপস্থাপনের পরে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে নতুন কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়।

সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আবারও সংশোধন করে এনসিটিবির বোর্ড সভায় সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর পাঠানো হয় এনসিসিসির সভায় উপস্থাপনের জন্য।

;

বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে নিতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে



অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
অলঙ্করণ: মামুনুর রশীদ

অলঙ্করণ: মামুনুর রশীদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ প্রাচীন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞান বিতরণে অবদান রেখে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রাক্কালে যখন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন করছি, তখনও আমরা জানি যে, উচ্চ শিক্ষার এই বিদ্যাপীঠটি আগামীর সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বলিষ্ঠভাবে ভূমিকা রেখে যাবে।

বিশ্বনাগরিক গড়ে তোলার কারখানা বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়কে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি যুগের ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষিত-প্রশিক্ষিত করে তোলে, যাতে তারা তাদের সময়ে অর্থাৎ সামনের দিনগুলিতে দেশ ও জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। কেবলমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছি না, সারা দুনিয়ার সব বিশ্ববিদ্যালয় একই কাজ করে থাকে। সেদিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ভূমিকা, তা অবিস্মরণীয়!

পৃথিবীতে বহু বিশ্ববিদ্যালয় আছে, কিন্তু কোনো বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতির মুক্তিতে এতটা ভূমিকা রেখেছে, তা কখনও দেখা যায়নি। এইদিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তাঁর ছাত্র রাজনীতির উৎকর্ষ লাভ করেছিলেন। এখান থেকেই তিনি যে যাত্রা শুরু করলেন, সেই যাত্রার পথ ধরেই আমাদের দেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয় যে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে, ইতিহাসে তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে জীবনদান করে দেশটিকে স্বাধীন করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে ফ্রান্সের দার্শনিক আঁদ্রে মালরো ঢাকা সফরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমি আজ পৃথিবীর এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবিত ছাত্র-ছাত্রীদের চেয়ে মৃত ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি’!

এই মৃত ছাত্র-ছাত্রী কারা! তাঁরা হচ্ছেন-মহান মুক্তিযুদ্ধে শরীরের রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করা বীরসন্তানেরা! পরবর্তী সময়ে যদি আমরা দেখি, তবে দেখবো, দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ভূমিকা। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ প্রতিষ্ঠা দিবস। এই দিবসে আমরা আশা করবো, এই একবিংশ শতাব্দীর যে বাস্তবতা, এই শতাব্দীর যে চ্যালেঞ্জ, সেটি মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা দেওয়া এবং তাদের মানসিক পূর্ণ বিকাশে; বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ যা আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে,তার আদর্শে তাদের গড়ে তোলা, মানসিকতাকে সম্বৃদ্ধ করার মতো কাজগুলো বিশ্ববিদ্যালয় অবিরামভাবে করে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আছেন, তাঁরা যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক মেধাবী এবং অনেক বেশি যোগ্য ও দক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকগণ প্রায় সবাই পৃথিবীর বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর গবেষণা ডিগ্রি নিয়েছেন। গবেষণায় বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে আছে বলে বিভিন্ন সময় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়, তার একটা মূল কারণ হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গবেষণাখাতে যতটুকু বরাদ্দ দেওয়া দরকার, যে পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি থাকা দরকার, সেগুলোর কিছুটা ঘাটতি আছে। অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতা আছে। সেকারণে আমার মনে হয়, গবেষণার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বর্তমান সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে বিষয়গুলো মোকাবিলার চেষ্টা করছে, তাতে আমার ধারণা অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাবে।

আমাদের এও মনে রাখতে হবে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় সবসময়ই যে পিছিয়ে ছিল তা নয়, আমরা জানি, অধ্যাপক সত্যেন বোস থেকে শুরু করে অনেক গুণী শিক্ষক ও গবেষকগণ যাঁরা বিভিন্ন সময় অধ্যয়ন, গবেষণা করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, তাঁরা যে অবদান বিজ্ঞানচর্চায়, সমাজবিজ্ঞানে কিংবা দর্শনের ক্ষেত্রে রেখেছেন, তা সারা পৃথিবীতে আজও সমাদৃত।

আমার মনে হয়, সবকিছু মিলিয়েই একটি বিশ্ববিদ্যালয়! বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থাকবে, লেখাপড়ার পরিবেশ থাকবে; রাজনীতি সচেতন জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। সেখানে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থাকবে। আজ যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খেলাধুলা কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে, তা আমরা দেখতে পাচ্ছি। খেলাধুলায় যাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে, তারা যেন তাদের শারীরিক ও মানসিক গঠনে ভূমিকা পালন করতে পারে, সেই বিষয়গুলিও আমাদের দেখার প্রয়োজন আছে।

আমরা এখন একটা গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করি। হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমানতালে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। শিক্ষা ও গবেষণাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে যাঁরা আছেন, তাঁরা আর্থিক বরাদ্দ ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবেন, সেটাই কাঙ্ক্ষিত!

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শ্রুতিলিখন: নিউজরুম, বার্তা২৪.কম

;