দিনে ফাঁকা রাস্তা, রাতের লন্ডন ভুতুড়ে

  করোনা ভাইরাস


হেফাজুল করিম রকিব, লন্ডন থেকে
করোনাভাইরাসের কারণে রাতের লন্ডনে ভুতুড়ে পরিবেশ

করোনাভাইরাসের কারণে রাতের লন্ডনে ভুতুড়ে পরিবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ১৫ বছরের লন্ডন আর গত কয়েক সপ্তাহে শহরটির অবস্থা আকাশ-পাতাল তফাৎ। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসকে প্রথমে গুরুত্ব না দেওয়া লন্ডনবাসীরা এখন নিজেদের সুরক্ষার চেষ্টায় আছেন।

ব্রিটেন ও ইউরোপে বড় বড় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এত আতঙ্কিত, ভীত-সন্ত্রস্ত হয়নি কেউ। গত ১৫ বছরের চিত্র পাল্টে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। ইংল্যান্ডের সভ্য জাতি নিজেদের আড়াল করে রাখছেন। কেউ স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন, কেউবা আইসোলেশনে।

যারা লন্ডন বেড়াতে গেছেন, অন্তর্জালে শহরটিকে দেখলে থমকে যাবেন। শুধু লন্ডন কেন, ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের অবস্থা এখন যেমন, শিউরে উঠতেও পারেন যে কেউ। রাতের লন্ডন যেখানে জমকালো আলোকচ্ছটায় প্রজ্জ্বলিত থাকতো, সেখানে এখন ভয়ঙ্কর ভুতুড়ে পরিবেশ। আর দিনের বেলা যেন কারফিউ লেগেছে। যারা থাকেন দেশটিতে তাদের অবস্থা শোচনীয়।

পুরো অচেনা এক নগরীর রূপ নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত লন্ডন নগরী। চারদিকে খা খা! রাজপথ, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পাব সব শূন্য। মনে হতে পারে উনিশ শতকে ফিরেছে ইউরোপের দেশটি। প্রায় নিস্তব্ধ চারদিক। হ্ঠাৎ চোখে পড়ে কোনো মানুষের। গাড়ি-ঘোড়া চলছে দু-একটা।

রাতের লন্ডন আপনাকে শিউরে দেবে। যে শহরে রাত আসতো ভোরে, সেখানে নেই কোনো উৎসব, নেই পার্টি, বাদ্য। থিয়েটার জনশূন্য, পাবগুলো খালি। কোনো রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেও মেরুদণ্ড বয়ে নেমে আসবে শীতল পরশ। ভয়ঙ্কর এ পরিবেশের পেছনে একটি মাত্র কারণ- করোনাভাইরাস।

করোনাভাইরাসের কারণে রাতের লন্ডনে ভুতুড়ে পরিবেশ

করোনাভাইরাস মহামারি ঘোষণা হওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দেশের জনসাধারণকে ঘরের ভেতর অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ১২ সপ্তাহ সামাজিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। পেশাজীবীদের বলেছেন ঘরে বসে কাজ করতে। ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলেছেন অত্যাবশ্যকীয় না হলে।

লন্ডনজুড়ে এমন পরিস্থিতিকে ‘ড্রাকোনিয়ান’ বা কঠোর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আরও বলেছেন, ‘জীবন রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

মানুষে মানুষে উপচেপড়া ইংল্যাণ্ডের রাজপথ জনশূন্য। রাতে লন্ডনের চায়না টাউনের রাস্তা দেখে গা শিউরে ওঠে। এখানেই অল্প ক’দিন আগে মানুষের গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগতো। এখন সেখানে বড়জোর দু-একজনের দেখা মেলে। ওয়েস্ট এন্ডের পাব, শহরের ট্রেন স্টেশন, রাস্তায় বাস স্টেশনগুলো একেবারে ফাঁকা।

সারা পৃথিবী থেকে গিয়ে বিমানগুলো জটলা পাঁকাতো যে হিথ্রো বিমানবন্দরে, যেখানে প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে একটি বিমান ওঠানামা করে, সেটিও নিস্তব্ধ। লন্ডন শহরের ২৭০টি পাতাল রেলস্টেশন দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন ৫ মিলিয়ন যাত্রী, অথচ এখন সেগুলোতে দিনের বেলায়ই ভুতুড়ে পরিবেশ।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে হিমশিম খাওয়া বরিস সরকার তার দেশে আগামী ১২ সপ্তাহের জন্য সব ধরনের আয়োজন খারিজ করে দিয়েছে। বাদ পড়েছে গ্রান্ড ন্যাশনাল ও প্রিমিয়ারশিপ রাগবি। স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। মসজিদগুলো সব আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির গণমাধ্যম প্রথম থেকেই সচেতনতার সঙ্গে কাজ করছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,৬৯৫ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩৭ জন। এ পর্যন্ত তিনজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি মারা গেছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। মৃত-আক্রান্ত সকলের পরিবারের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন বরিস জনসন। বলেছেন, ‘সবাই সর্তক থাকবেন, হয়তোবা আমরা আমাদের অনেক স্বজনকে হারাতে পারি।’

ব্যস্ত লন্ডনের রাস্তাঘাট হয়ে গেছে ফাঁকা

টাওয়ার হ্যামলেটসের সর্বাধিক বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা হলো হোয়াইটচ্যাপেল। এখানে আছে দুটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন। বিস্তৃত কাঁচাবাজার, ৫টি হাইস্ট্রিট ব্যাংক, নানা ধরনের বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইস্ট লন্ডন মসজিদ অ্যান্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টার, আলতাব আলী পার্ক, শহীদ মিনার। যেখানে সারাদিন বাংলাদেশিদের আনাগোনা লেগেই থাকতো, সেখানেও সুনশান নীরবতা। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেন না কেউ।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রাণচঞ্চল মানুষগুলোর হাসি আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। সকলের মধ্যে চাপা আতঙ্ক। একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা হলে এখন আর আগের মতো জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করছেন না। কনুইর সঙ্গে কনুই মিলিয়ে হ্যান্ডশেক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতার পাশাপাশি এই ভয়াবহ বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছেন। ভবিষ্যত খাবার সঙ্কট মোকাবিলায় নিজেদের খাবার মজুদ করতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন মার্কেটে। সারা ব্রিটেনের সুপার স্টোরগুলোতেও ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে পণ্য সংকট।

এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে শুক্রবার (২০ মার্চ) থেকে ব্রিটেনের সব স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকার ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্কুল বন্ধের পাশাপাশি আগামী মে ও জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্ধারিত পরীক্ষাগুলোও স্থগিত বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২০ হাজার সেনাসদস্যকে।

লন্ডনের ৪০টি পাতাল রেলস্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাতে আন্ডারগ্রাউন্ড বন্ধ থাকবে। সুপারস্টোরগুলোও ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা হয়েছে। পাবলিক বাস-ট্রেন চালু থাকলেও তা সীমিত হয়ে আসবে। শুধু ডাক্তার, নার্স বা সেবা দানকারীদের জন্য এই গণপরিবহন চালু থাকবে।

লন্ডনের মেয়র খুব জরুরি না হলে নগরবাসীকে গণপরিবহন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। বড় বড় মসজিদ, গির্জা বন্ধ করা হচ্ছে।

হেফাজুল করিম রকিব: গণমাধ্যমকর্মী, লন্ডন

   

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

  করোনা ভাইরাস

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

  করোনা ভাইরাস

;

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

ব্রুনাইতে হাইকমিশনার সুমনা’র বিদায়ী ঈদ পুনর্মিলনী

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রুনাই দারুসসালামে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের জন্য ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ আয়োজন করেছে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন। গত বৃহস্পতিবারের (এপ্রিল ১১) এই আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয় এবং স্থানীয় নাগরিকরা।

ব্রুনাই দারুসসালামে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অতিথিদের স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সুমনা তার বক্তব্যে জানান, আয়োজিত ওপেন হাউজটি ব্রুনাইয়ে তার শেষ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। কারণ তার মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে।

হাইকমিশনার বলেন, ব্রুনাইতে তার বন্ধুদের আন্তরিকতা তাকে মুগ্ধ করেছে। সুলতানাতে তার মেয়াদকালে সকল সহযোগিতা পেয়েছেন এবং ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, ব্রুনাই এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ঈদ-উল-ফিতরের পরের পুনর্মিলনী বা ওপেন হাউজ। যেখানে সকলের সঙ্গে দেখা হয় এবং ভাবের আদান প্রদান করা যায়।

কাম্পং তাানাহ জাম্বুতে অবস্থিত চ্যান্সারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

  করোনা ভাইরাস

;

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ (৩১), আলি আজগর ও মো. সোহেল মিয়া।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের দিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে দেশটির পেরাক রাজ্যের কাম্পার এলাকায় উত্তর-দক্ষিণ এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গাড়িতে থাকা ৮ বাংলাদেশির সবাই ক্যামেরন হাইল্যান্ডে একটি ফার্মে কাজ করতেন। এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদপত্র বারনামা।

গাড়িচালক কবির হোসেন ( ৩২), সাইফুল ইসলাম ( ২৫), রাজু মিয়া (২৭) সোহেল রানা (৩০ ) অক্ষত অবস্থায় রয়েছেন। তবে মোহাম্মদ সোহেল নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় পার্শ্ববর্তি তাপাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কাম্পার পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুয়ালালামপুর আশার পথে চলন্ত গাড়ির টায়ার ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং গার্ডরেলে ধাক্কা লেগে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে পেছন থেকে একটি লরি সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

  করোনা ভাইরাস

;