ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে হারিয়ে গেলেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে হারিয়ে গেলেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকেই আনন্দে হর্ষধ্বনি করছেন। কেউ কেউ বেদনাহত। তবু বাস্তবতা এই যে, নিজ দেশ ও বিশ্ব রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে হারিয়ে গেলেন তিনি!

মার্কিন দেশে নাটকীয়তায় ভরা উত্তেজক নির্বাচন শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আড়াই মাসের মধ্যেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। একই সঙ্গে ইতি ঘটবে, বিশ্বব্যাপী তার আলোড়ন জাগানো কার্যক্রমেরও। যেসব কথা ও কাজের অধিকাংশই মানুষকে ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন করেছিল।

তিনি একটি উগ্র দক্ষিণপন্থী নিকৃষ্ট রাজনৈতিক আবহাওয়া গড়ে তুলেছিলেন। বর্ণবাদী হুঙ্কারে মাঠে নামিয়ে ছিলেন আগ্রাসী শ্বেতাঙ্গদের। সংখ্যালঘু ও অভিবাসীদের নিত্য ভীতির মধ্যে আবর্তিত করেছিলেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক-জাতিগত ক্ষেত্রে সূচনা করেছিলেন চরম বিভাজনের। 'আমরা এবং ওরা' বলে নিজের দেশ ও বিশ্বকে ভাগ করেছিলেন।

মার্কিন গণতন্ত্রে তালে পরাজিত করেছে। বাইডেনের বিজয়ের চেয়ে তীব্র হয়েছে তার পরাজয়ের ঘটনাটি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পরাজয়ের পর তিনি যাবেন কোথায়? কেমন হবে তার সামনের দিনগুলো?

মার্কিন দেশের রীতিনীতিতে তিনি আর সরাসরি রাজনীতি করতে পারবেন না। পূর্ণ অবসরে যেতে হবে তাকে। উন্নয়নশীল দেশের মতো আমৃত্যু রাজনীতির স্বাদ তিনি পাবেন না। সাংবিধানিক নিয়মে সরকারি দায়িত্ব থেকে অন্তত ৪ বছরের জন্য তো বটেই অবসরে যেতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। তবে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে হলেও ট্রাম্পের জন্য সরকারি খাতে খরচ খুব কম হবে না আমেরিকায়।

বেশ মোটা অঙ্কের পেনশন তো পাবেনই আজীবন। সঙ্গে পাবেন আমেরিকার ঝাঁচকচকে এলাকায় অফিস চালানোর বিশাল জায়গা। তার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। সেই অফিসে বহু কর্মী রাখার যাবতীয় খরচও বহন করা হবে। তা ছাড়াও পাবেন বিস্তর ঘোরাঘুরি আর টেলিফোনের খরচের প্রচুর ডলার। আর আজীবন পাবেন তার ও তার পরিবারের জন্য সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা রক্ষার সুবিধা। যার সব খরচই সরকারের।

শুধু ট্রাম্প নন, তাকে নিয়ে আমেরিকার যে ৪৫ জন প্রেসিডেন্ট এখনও পর্যন্ত অবসরে গিয়েছেন আজীবন তাদের সকলের জন্যই সরকারি খাতে পেনশন-সহ ওই সব ক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের অর্থবরাদ্দ থাকে বাজেটে। আমেরিকার সংবিধান মোতাবেকই তা হয়, যার শুরুটা হয়েছিল আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ক্ষমতাসীন হওয়ার পরেই, ১৭৮৯ সালে।

সব প্রাক্তন প্রেসিডেন্টই আমেরিকার সংবিধানের রীতি অনুযায়ী, বেতন পান প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেটের সদস্যদের এখনকার মাইনের মতো। ২০১৭ সালে সেই পরিমাণ ছিল প্রতি বছরে ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮০০ ডলার। এর মধ্যে অন্যান্য ভাতা নেই, মনে রাখবেন।

২০১৮ সালে কংগ্রেসে যে বাজেট প্রস্তাব জমা পড়েছিল তাতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের জায়গার জন্য খরচ জানানো হয়েছিল ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ডলার। আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের ঘোরাঘুরির জন্য খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬৮ হাজার ডলার।

শুধু তাই নয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের স্বামী বা স্ত্রীদের মোটা অঙ্কের পেনশন পাওয়ারও অধিকার দেওয়া হয়েছে আমেরিকার সংবিধানে। সেটাও খুব কম নয়! বছরে ২০ হাজার ডলার। আজীবন। সঙ্গে তারাও পান ঘোরাঘুরি, টেলিফোন ও যোগাযোগরক্ষার যাবতীয় খরচ।

২০১৫-য় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও তার পরিবারের নিরাপত্তারক্ষার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২ লক্ষ ডলারেরও বেশি। আর সেই খরচটা আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ক্ষেত্রে ছিল ৮ লক্ষ ডলার।

এসব ছাড়াও আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা আত্মজীবনী লিখে, কোনও নামজাদা কর্পোরেট সংস্থার পরিচালন বোর্ডের সদস্য হয়ে বা বিশ্বের নানা প্রান্তে আমন্ত্রণী বক্তৃতা দিয়ে প্রচুর ডলার উপার্জন করতে পারেন। আমেরিকার সংবিধানে সেই অধিকার দেওয়া রয়েছে।

অবসর নেওয়ার পর শুধু বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন উপার্জন করেছিলেন সাড়ে ৬ কোটি ডলার। আর আত্মজীবনী ছাপিয়ে রোজগার করেছিলেন দেড় কোটি ডলার।

এসব সুযোগই থাকবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও। কিন্তু তিনি কোন ধরনের সুযোগ নেবেন, সেটা নির্ভর করছে তার ইচ্ছা ও আচরণের উপর। দেশ ও বিশ্বের রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে তাকেও খুঁজতে হবে নিজের একান্ত একটি জগৎ। তবে, সে জগতটিও সম্ভবত হবে তার ক্ষমতাকালের সময়কালের মতোই চমক, হটকারিতা ও নাটকীয়তায় ভরপুর। কারণ, ট্রাম্প বলে কথা! তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের তালিকা যেভাবে উদ্ভট মানুষ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন, অবসরেও নিশ্চয় তার কিছুটা ছাপ থেকেই যাবে!

 

   

ইসরাইলের হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতাসহ নিহত ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহ বাহিনীর নেতাসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির নিরাপত্তা সূত্র সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।

নিরাপত্তা সূত্র এবং লেবাননের সরকারি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সীমান্তবর্তী গ্রাম তাইর হারফায় হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সীমান্ত শহর নাকুরায় একটি রেস্তোরাঁয় হামলায় অন্তত আরও তিনজন নিহত হন।

ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ বলেছে, একদিন আগে দক্ষিণ লেবাননের হেব্বারিয়েহ গ্রামে ইসরাইলি আকাশ পথের হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে বুধবার ভোরে উত্তর ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা সীমান্তে তারা কয়েক ডজন রকেট ছুড়েছে।

ইসরাইলের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কারখানার এক কর্মী নিহত হয়েছেন। রকেট হামলার আগে এলাকাটিতে সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হলেও প্রাণহানি এড়ানো যায়নি।

কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর হামলার পর ইসরাইল ফের দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কথিত লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালায়।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ পরস্পরের দিকে গোলাবর্ষণ করে আসছে।

 

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে: জাতিসংঘের সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধে কয়েক মাস সতর্কতার পর সম্প্রতি পরিসংখ্যানগত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে।

এ প্রতিবেদন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রতি আইনী দায়িত্ব পালনের জন্য ইসরায়েলের উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। এটি গাজায় যাদের প্রয়োজন মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহের জন্য অনুমতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবিসি-র এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য দোষ করেছে। এর একটা প্রমাণযোগ্য ঘটনা হলো ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ অভিপ্রায় প্রমাণিত হলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির একজন  জেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ ও ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নির বারকাত জাতিসংঘের এ সতর্কবার্তাকে ‘অর্থহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন জিনিস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বারকাত জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্বের সমস্ত সহায়তা দিতে দিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি হামাস সহায়তা না করায় ত্রাণ বিতরণে জাতিসংঘকে করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়ম, গাজা উপত্যকায় পাঠানো প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বোঝাই লরিগুলোর দীর্ঘ লাইন রাফাহ সীমান্তের মিশরীয় দিকে নিদারুণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ধারাবাহিক তল্লাশির পরই তারা কেবল ইসরায়েলের মধ্য দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

স্থলপথে পর্যাপ্ত সরবরাহ না করতে পেরে জর্ডান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য সহায়তাকারী দেশগুলোকে আকাশপথে ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে।

বিমান থেকে প্যারাসুটে পাঠানো ত্রাণসহায়তা নিতে স্থলভাগে থাকা ফিলিস্তিনিরা ভিড় করছেন। এমনকি সাগরে পড়া খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে মারাও যাচ্ছেন।

মার্কিন নৌবাহিনী সমুদ্রপথে স্থল সাহায্যের জন্য একটি অস্থায়ী পিয়ার তৈরি করতে আটলান্টিক জুড়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্লোটিলাও পাঠাচ্ছে।

ইসরায়েল যদি গাজায় সম্পূর্ণ রাস্তার প্রবেশাধিকার দেয় এবং গাজা স্ট্রিপের উত্তরে প্রায় আধা ঘণ্টার পথের দূরত্বে আশদোদের আধুনিক কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত করে তবে আকাশপথ ও জলপথে সহায়তা পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।

জেনেভায় এক সাক্ষাত্কারে তুর্ক বলেছেন, ইসরায়েল সাহায্য সরবরাহের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বা আটকে রেখেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বেসামরিক ও সৈন্যদের ওপর হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে তুর্ক বলেন, যুদ্ধে কোনও পক্ষই গাজায় প্রয়োজন এমন লোকদের কাছ থেকে সাহায্য সরবরাহ বন্ধ করার যে কোনও প্রচেষ্টা সহ তার ক্রিয়াকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াবে না।

তিনি বলেন, আমার সমস্ত মানবিক সহকর্মীরা বলেছেন গাজা সহায়তায় অনেক বাধা রয়েছে। যা ইসরায়েলকে উল্লেখযোগ্য উপায়ে দোষ দেওয়া হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গত সপ্তাহে মানচিত্র, চার্ট এবং পরিসংখ্যানের পাশাপাশি স্বচ্ছ লিখিত মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের মিত্ররা আরও সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, এটি উচ্চ বিস্ফোরক বা ক্ষুধা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত।

অধ্যয়নটি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ শ্রেনি বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদন, যা আইপিসি নামে পরিচিত। এটি সরকার, জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলিকে ক্ষুধার মাত্রা পরিমাপের জন্য অরাজনৈতিক তথ্য সরবরাহ করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল - ‘গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। ১.১ মিলিয়ন মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে।’

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি না হলে এবং ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় দুর্ভিক্ষ কীভাবে আসতে পারে তা এর তথ্য ব্যাখ্যা করেছে।

বিবিসির সাংবাদিক গাজার একটি হাসপাতালে এক তরুনীকে বিছানায় অর্ধ-সচেতন অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে। নুরা মোহাম্মদ নামের মেয়েটির ফুসফুস এবং লিভারের ফাইব্রোসিস রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক মাস অনাহারে থাকা এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

নুরা মোহাম্মদ গাজার একটি হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না

নুরা মোহাম্মদের মা বলেন, আমার মেয়ে নড়াচড়া করতে পারে না। সে অ্যানিমিক, সবসময় ঘুমায় এবং তাকে খাওনোর মতো পুষ্টিকর কিছুই নেই। নুরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেও এক মিলিয়নেরও বেশি গাজাবাসীর বেশিরভাগেরই কোনো বিকল্প নেই।

বিবিসি জানায়, গাজার মানবিক বিপর্যয়ের প্রমাণ অপ্রতিরোধ্য। হাসপাতাল থেকে তোলা ছবিগুলোতে ফোলা জয়েন্ট, ক্ষয়প্রাপ্ত অঙ্গ এবং ডার্মাটাইটিসসহ শিশুদের তীব্র অপুষ্টির সমস্ত ক্লাসিক লক্ষণ দেখা গেছে।

এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে ইসরাইল। ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নীর বারকাত বলেছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য হামাসকে ধ্বংস করা এবং ৭ অক্টোবর জিম্মিদের মুক্ত করার পথে কোনো কিছুই বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের কৌশলগত লক্ষ্যকে সমর্থন করেছে। আমরা মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, এবং আমরা হামাসকে মানচিত্র থেকে শেষ না করা পর্যন্ত বিশ্ব আমাদের মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনার একটি সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমি তাদের বলতে পারি যে একটি উদীয়মান আন্তর্জাতিক ঐকমত্য রয়েছে। মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে এই সপ্তাহের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে এটি এখন স্পষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবাধিকার পরিস্থিতি এতটাই মর্মান্তিক যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

লোহিত সাগরে ইয়েমেনের চারটি ড্রোন ধ্বংস: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনীর পাঠানো চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।

বুধবার (২৭ মার্চ) ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বাহিনী সানা সময় রাত ২টার (২৩০০জিএমটি) দিকে চারটি দূরপাল্লার ড্রোন ধ্বংস করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বা জোট বাহিনীর জাহাজে কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অস্ত্রগুলো এই অঞ্চলে বাণিজ্য জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর জন্য একটি আসন্ন হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এই পদক্ষেপগুলো নেভিগেশনের স্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং মার্কিন নৌবাহিনী এবং বাণিজ্য জাহাজগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমাকে আরও নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত করার জন্য নেওয়া হয়।

 

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

রাজহাঁসের নৌকায় ভালুকের দল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিমে বেডফোর্ডশায়ার কাউন্টিতে ওবার্ন সাফারি সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিতে ১৩ একর জমিতে পানি জমে সাফারি পার্কে ছোট্ট একটি হ্রদের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এটি দেখে ওবার্ন সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়কেরা ভালুকের বিচরণ এলাকায় জলের উপর একটি রাজহাঁস প্যাডালো নৌকা ভাসানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই নৌকায় চড়ে বসে একদল কালো ভালুক।

পার্কের মাংসাশী প্রাণী বিভাগের উপপ্রধান টমি বাবিংটন বলেন, নিজেদের এলাকায় হ্রদের মধ্যে এমন রাজহাঁসের মতো নৌকা ভাসতে দেখে কৌতূহলী হয়ে মনে হয় এতে চড়ে বসেছে ভালুকের দল। এই জিনিস কী, তা জানতে এতটুকুও সময় নষ্ট করেনি তারা।

রাজহাঁসের নৌকায় কৌতূহলী ভালুক

টমি আরও বলেন, ‘এ বছর এত বেশি বৃষ্টি ছিল যে কালো ভালুকের বিচরণ এলাকায় একটি নতুন ছোট হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা এটিকে তাদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করেছি।’

ভালুক স্বভাবজাতভাবেই বেশ উৎসুক প্রকৃতির। আর এরা যেন সেটি বজায় রাখতে পারে, সে ধরনের সব চেষ্টা করে যাবেন সাফারি কর্মীরা। সেই বোটে ওঠা চার ভালুকের মধ্যে দুটি ভাই ও দুটি বোন। এদের নাম হার্ভার্ড, ম্যাপল, কলোরাডো ও আসপেন।

উত্তর আমেরিকার বনে সচরাচর কালো ভালুক দেখা যায়। এরা দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ছয় ফুট তিন ইঞ্চি ও ওজনে ৩০০ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;