জমজ বিয়ে!
![](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/http://172.104.170.144/bangla/wp-content/uploads/2017/12/Twin-Brothers-Marry-Twin-Sisters.jpg)
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু/ছবি: সংগৃহীত
উত্তর গাজায় হামাসের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি বলেছেন, শীঘ্রই উত্তর গাজায় হামাসের শাসনব্যবস্থা প্রতিস্থাপনের একটি পরিকল্পনা করা হবে। খবর এনডিটিভি।
রাইচম্যান ইউনিভার্সিটির বার্ষিক হারজলিয়া কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে হানেগবি বলেন, গাজায় হামাসের সামরিক শাসনের পতন করে যেসব দেশ একটি বিকল্প শাসক দেখতে চায়, তারা এই প্রক্রিয়ায় যোগদানের সুযোগ পাবে।
গাজার নতুন নেতৃত্বে ইসরায়েলের আব্রাহাম অ্যাকর্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের অংশীদার অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক মাস পরে এই ধারণাটি সম্পর্কে কথা বলেছি এবং আমরা যে প্রধান জিনিসটি জোর দেওয়ার চেষ্টা করেছি তা হল হামাসের জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই।
হানেগবি বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য করাও যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের পর গাজার শাসন ব্যবস্থার জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করার জন্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছে। বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের গাজা দখল বা স্ট্রিপকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে নামতে দেওয়ার বিরোধিতা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের তিনটি লক্ষ্য হল হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা, সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং গাজা যাতে আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা।
শুক্রবার মার্কিন ভিত্তিক পাঞ্চবোল নিউজের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধোত্তর গাজাকে একটি বেসামরিক-চালিত প্রশাসন আরব দেশগুলির সহায়তায় তত্ত্বাবধান করবে। তিনি এটিকে একটি ‘ডিরাডিকেলাইজেশন প্রক্রিয়া’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
ফ্লেভারযুক্ত ই-সিগারেট অনুমোদন দিল এফডিএ
ফ্লেভারযুক্ত ই-সিগারেটের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। সংস্থাটি বলছে, ফ্লেভার বা স্বাদযুক্ত ভেপিং পণ্যের ব্যবহার প্রথাগত তামাকনির্ভর ধূমপানের ক্ষতি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, ভেপিং পণ্য ধূমপানের হার কমাতে সহায়তা করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমন যুক্তি তুলে ধরেছে ভেপিং পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এফডিএর এ সিদ্ধান্ত ওই যুক্তির বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও জোরদার করেছে।
ধুমপানজনিত ক্যান্সার, ফুসফুসের রোগ ও হৃদরোগের কারণে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে চার লাখ ৮০ হাজার মৃত্যু ঘটে। দেশটিতে ২০০৭ সাল থেকে ই-সিগারেট বিক্রি শুরু হয়। ভেপিং ব্র্যান্ড ‘এনজয়’ থেকে চারটি মেনথল ফ্লেভারের ই-সিগারেট অনুমোদন করেছে এফডিএ।
তথ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেলসনের তথ্য অনুসারে, গত বছরে এনজয়-এর ভেপ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ই-সিগারেটের বাজারে ৩ শতাংশেরও কম দখল করতে পেরেছে। বরং রেনল্ডস আমেরিকান-এর মালিকানাধীন ব্র্যান্ড ভিউজ ও জুল এর দখলে রয়েছে বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ, এবং বাকি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে শতাধিক ডিসপোজেবল ব্র্যান্ড। এ যাবত এনজয়সহ মোট তিনটি কোম্পানির ভেপ পণ্যকে অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ।
আলট্রিয়ার বরাত দিয়ে এফডিএ জানিয়েছে, এনজয় ই-সিগারেট ধূমপায়ীদের প্রথাগত সিগারেটের ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সংস্পর্শ কমাতে সাহায্য করেছে।
এফডিএর সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ ভেপিং পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে টিকে থাকার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রমাণ করতে হবে যে, তাদের পণ্য অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্ররোচিত না করে ধূমপায়ীদের জন্য একটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে পারে।
এফডিএ-র সেন্টার ফর টোবাকো প্রোডাক্ট-এর ম্যাথিউ ফ্যারেলি বলেছেন, ‘আমরা বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে গবেষণা করে দেখেছি যে, প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদেরকে ধূমপান পুরোপুরি বাদ দিয়ে কম ক্ষতিকারক পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত করার মাধ্যমে যে ইতিবাচক পরিবর্তন অর্জন করা যায়, সে তুলনায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভেপ পণ্যে অভ্যস্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।’
যদিও এফডিএর এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেন অভিভাবক ও তামাক-বিরোধী সংগঠনগুলো। তাঁদের মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে কিশোর-কিশোরীদের জন্যও মেনথল ও অন্যান্য ফ্লেভারের ভেপ পণ্যের দীর্ঘমেয়াদি অভ্যাস তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য পানের কারণে বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন (৩০ লাখ) মানুষ মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটি জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে গেলেও অ্যালকোহল পানের প্রভাবে মৃত্যুর বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) ডব্লিউএইচও'র বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ২০ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটে অ্যালকোহল পানে। মদ্যপানে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণে নানারকমের রোগের সৃষ্টি হয়। এসব কারণে পরবর্তীতে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন (২৬ লাখ) মানুষ অ্যালকোহল সেবনের কারণে মৃত্যু হয়েছে। যা ওই বছরে মোট মৃত্যুর ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ছিল পুরুষ।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, এসবের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী রোগসহ, মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়। যার ফলে দুঃখজনকভাবে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এর প্রভাবে মৃত্যুর সম্মুখীন হয়।
তবে ২০১০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী অ্যালকোহল সেবন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে সবচেয়ে বেশি (১৩ শতাংশ) মারা গেছেন ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ।
অ্যালকোহল পানের কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ১৬ লাখের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি। তাঁদের মধ্যে ৪ লাখ ৭৪ হাজার জন হৃদ্রোগ, ৪ লাখ ১০ হাজার ক্যানসার এবং ৭ লাখ ২৪ হাজার জন আঘাতের কারণে মারা গেছেন। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ও নিজেকে আঘাত করার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।
অ্যালকোহলের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষের যক্ষ্মা, এইচআইভি ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০১৯ সালে বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি ৯০ লাখ মানুষ অ্যালকোহলে আসক্ত ছিলেন; যা মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
এদিকে বিশ্বে মাথাপিছু বিশুদ্ধ অ্যালকোহল পানের পরিমাণ কিছুটা কমে গড়ে সাড়ে পাঁচ লিটার হয়েছে। নয় বছর আগে যা ৫ দশমিক ৭ লিটার ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলোতে; যা গড়ে ৯ দশমিক ২ লিটার। এরপরই রয়েছে আমেরিকার দেশগুলো; গড়ে ৭ দশমিক ৫ লিটার। সবচেয়ে কম অ্যালকোহল পান করা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে।
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের দিল্লি হাইকোর্টে জামিন খারিজের দিনেই ফের ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর মঙ্গলবার (২৫ জুন) তিহার জেলে গিয়ে তাকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। বুধবার (২৬ জুন) তাকে আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পেয়েছে সিবিআই।
আদালতে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে সিবিআই।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ করলেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে আপ নেতা সঞ্জয় সিং এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়ালের জামিনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই কেন্দ্র এবং সিবিআই মিলে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চাইছে। গোটা দেশ এসব দেখছে। দেশের মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে আছে।’
প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। গত শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে হাইকোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে।
শুনানিতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে আপতত তিহার জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে।
দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার তার সেই আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করেন শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার জানায়, বুধবারের মধ্যে ইডির মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট কোনে রায় দেয় কি না, তা দেখতে চায় তারা। তারপরেই শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেসমেষ মঙ্গলবারই তার জামিন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।